ETV Bharat / sports

ONLINE RACISM: দোষ প্রমাণ হলে মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নয়া আইন ইংল্যান্ডে

অনলাইন বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে এবার কঠোর মনোভাব ইংল্যান্ড সরকারের ৷ ইউরোয় পেনাল্টিতে গোল করতে না পারায় ইংল্যান্ডের তিন কৃষ্ণ বর্ণের ফুটবলারকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায় ৷ সেই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে ৷ আর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণে দোষী সাব্যস্ত হলে মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে ৷

uk-to-ban-online-racists-from-games-after-euro-2020-uproar
ইউরো ফাইনালে হারের পর ইংল্যান্ড ফুটবল দল
author img

By

Published : Jul 15, 2021, 11:08 AM IST

লন্ডন, 15 জুলাই : ইউরো 2020-র ফাইনালে পেনাল্টিতে গোল না করতে পারায়, অনলাইন বর্ণবিদ্বেষের (ONLINE RACISM) শিকার হয়েছেন ইংল্যান্ডের তিন ফুটবলার মার্কস ব়্যাশফর্ড, জডন সাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ইংল্যান্ড সমর্থকদের বিরুদ্ধে ৷ যে ঘটনায় এবার কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার ৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল ম্যাচ নিয়ে অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য বা আচরণে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তবে তার মাঠে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে ৷

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার তাঁর আইনসভার সদস্যদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড দলের তিন সদস্যের উপর যেভাবে বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ করা হয়েছে, তারপর সরকারের কঠোর হওয়ার সময় এসেছে ৷ তাই তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে অনলাইন বর্ণবিদ্বেষের ঘটনাকে অপরাধের তালিকায় সামিল করা হবে ৷ যার শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত দর্শকদের বিরুদ্ধে মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে ৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ করতে চাইছি, যাতে ফুটবলের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আসে ৷ এতে কোনও সমর্থক অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষমূলক অপরাধে সামিল হলে, সে ম্যাচ দেখতে যেতে পারবে না ৷’’ আর এক্ষেত্রে কোনও যদি, কিন্তু, অব্যাহতি এবং কারণ শোনা হবে না ৷ যদি কোনও সমর্থক অনলাইন বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণে দোষী সাব্যস্ত হয়, তবে আদালত তার মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ৷ এই নিয়ম শুধু বর্ণবিদ্বেষের ক্ষেত্রে শুধু নয় ৷ অভব্য আচরণ বা অস্ত্র সঙ্গে রাখার মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন ৷

আরও পড়ুন : Marcus Rashford : এক টুইটেই ক্ষমা চেয়ে, সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য়ে ক্ষোভ প্রকাশ রাশফোর্ডের

প্রসঙ্গত, ইউরো 2020’র ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করতে না পারায় ইংল্যান্ডের তিন ফুটবলার মার্কস ব়্যাশফর্ড, জডন সাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকাকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয় ৷ কারণ কেবলমাত্র তাঁরাই ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার যাঁরা কৃষ্ণ বর্ণের ৷ এ নিয়ে ইংল্যান্ডের এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেছেন, ইংল্যান্ড ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষ দীর্ঘদিনের সমস্যা ৷ যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ৷

আরও পড়ুন : Kevin Pietersen : ইংল্য়ান্ড কি 2030 বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্য ? ফুটবলারদের বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে প্রশ্ন পিটারসনের

এই পরিস্থিতি বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়া ফুটবলার জডন সাঞ্চো তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ বুধবার তরুণ ফুটবলারদের সাহস জোগাতে তিনি এ নিয়ে লেখেন, ‘‘যাঁরা একই ধরনের হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাঁরা শক্ত থাকুন এবং নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করুন ৷’’ তিনি আরও জানান, এমনটা নয় যে, তিনি এবং তাঁর সতীর্থ দুই ভাই মার্কস ও বুকায়ো এর আগে ম্যাচের পর এমন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হননি বা এমন ঘটনা দেখেননি ৷ কিন্তু, দুঃখের বিষয় এটা নতুন কিছু নয় !’’ আক্ষেপের সঙ্গে লেখেন জডন সাঞ্চো ৷

লন্ডন, 15 জুলাই : ইউরো 2020-র ফাইনালে পেনাল্টিতে গোল না করতে পারায়, অনলাইন বর্ণবিদ্বেষের (ONLINE RACISM) শিকার হয়েছেন ইংল্যান্ডের তিন ফুটবলার মার্কস ব়্যাশফর্ড, জডন সাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ইংল্যান্ড সমর্থকদের বিরুদ্ধে ৷ যে ঘটনায় এবার কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার ৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল ম্যাচ নিয়ে অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য বা আচরণে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তবে তার মাঠে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে ৷

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার তাঁর আইনসভার সদস্যদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড দলের তিন সদস্যের উপর যেভাবে বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ করা হয়েছে, তারপর সরকারের কঠোর হওয়ার সময় এসেছে ৷ তাই তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে অনলাইন বর্ণবিদ্বেষের ঘটনাকে অপরাধের তালিকায় সামিল করা হবে ৷ যার শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত দর্শকদের বিরুদ্ধে মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে ৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ করতে চাইছি, যাতে ফুটবলের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আসে ৷ এতে কোনও সমর্থক অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষমূলক অপরাধে সামিল হলে, সে ম্যাচ দেখতে যেতে পারবে না ৷’’ আর এক্ষেত্রে কোনও যদি, কিন্তু, অব্যাহতি এবং কারণ শোনা হবে না ৷ যদি কোনও সমর্থক অনলাইন বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণে দোষী সাব্যস্ত হয়, তবে আদালত তার মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ৷ এই নিয়ম শুধু বর্ণবিদ্বেষের ক্ষেত্রে শুধু নয় ৷ অভব্য আচরণ বা অস্ত্র সঙ্গে রাখার মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন ৷

আরও পড়ুন : Marcus Rashford : এক টুইটেই ক্ষমা চেয়ে, সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য়ে ক্ষোভ প্রকাশ রাশফোর্ডের

প্রসঙ্গত, ইউরো 2020’র ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করতে না পারায় ইংল্যান্ডের তিন ফুটবলার মার্কস ব়্যাশফর্ড, জডন সাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকাকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয় ৷ কারণ কেবলমাত্র তাঁরাই ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার যাঁরা কৃষ্ণ বর্ণের ৷ এ নিয়ে ইংল্যান্ডের এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেছেন, ইংল্যান্ড ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষ দীর্ঘদিনের সমস্যা ৷ যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ৷

আরও পড়ুন : Kevin Pietersen : ইংল্য়ান্ড কি 2030 বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্য ? ফুটবলারদের বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে প্রশ্ন পিটারসনের

এই পরিস্থিতি বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়া ফুটবলার জডন সাঞ্চো তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ বুধবার তরুণ ফুটবলারদের সাহস জোগাতে তিনি এ নিয়ে লেখেন, ‘‘যাঁরা একই ধরনের হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাঁরা শক্ত থাকুন এবং নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করুন ৷’’ তিনি আরও জানান, এমনটা নয় যে, তিনি এবং তাঁর সতীর্থ দুই ভাই মার্কস ও বুকায়ো এর আগে ম্যাচের পর এমন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হননি বা এমন ঘটনা দেখেননি ৷ কিন্তু, দুঃখের বিষয় এটা নতুন কিছু নয় !’’ আক্ষেপের সঙ্গে লেখেন জডন সাঞ্চো ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.