ETV Bharat / sports

সোমেনদার চলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলের কাছে বড় ক্ষতি : দেবব্রত সরকার

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ছিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি । সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান অন্ত প্রাণ। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট । আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতি দুর্বলতা ছিল সোমেন মিত্রর । তিনি মোহনবাগানেরও সদস্য ছিলেন । ক্লাবের শেষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন । তবে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ছোড়দার মনটা ইস্টবেঙ্গলের প্রতি একটু বেশি নরম ছিল ।

সোমেন মিত্র
সোমেন মিত্র
author img

By

Published : Jul 30, 2020, 7:28 PM IST

কলকাতা, 30 জুলাই : রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে ঘিরে নানান মিথ । সাতের দশকে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে অমর আকবর অ্যান্টনি ছিলেন সোমেন, প্রিয়রঞ্জন, সুব্রত । ছাত্র যুব আন্দোলনে ভর দিয়ে বৃহত্তর রাজনীতিতে প্রবেশ তিনজনের । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি পরবর্তী সময়ে দক্ষ সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ৷ বাকি দু’জন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সোমেন মিত্র রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের বিস্তার বাড়িয়েছেন ।

পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্য হয়েছে, দল বদলেছেন এই তিন মূর্তি । রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও একটি জায়গায় এই তিনজন ছিলেন একসুতোয় বাঁধা । প্রিয়, সোমেন ও সুব্রত তিনজনই ফুটবল ভালোবাসতেন । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ছিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি । ফিফায় প্রতিনিধিত্ব পর্যন্ত করেছেন । সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান অন্ত প্রাণ । মোহনবাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট । দলের খেলা ব্যস্ততার ফাঁকেও দেখতে চলে আসেন ।

আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতি দূর্বলতা ছিল সোমেন মিত্রর । তিনি মোহনবাগানেরও সদস্য ছিলেন । ক্লাবের শেষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন । তবে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ছোড়দার মনটা ইস্টবেঙ্গলের প্রতি একটু বেশি নরম ছিল । বিধানসভায় শেষবারের মতো সোমেন মিত্রর প্রবেশ করল । অনুগামীদের ভিড়ে তাল সামলানো দায় । বিধায়করা শেষ শ্রদ্ধা জানালেন । বিধানসভাতেই লাল হলুদ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হল সোমেন মিত্রর দেহ ।

আরও পড়ুন :- বাবা হলেন হার্দিক

ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং ফুটবল সচিব রজত গুহ তাঁকে লাল-হলুদ গোলাপের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান । "সোমেনদা আমাদের ক্লাবের বহু পুরানো সদস্য । পল্টুদার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব কতটা গভীর ছিল তা ভাষায় বলা যাবে না । আজ তাঁর চলে যাওয়া বড় ক্ষতি । অন্তত ইস্টবেঙ্গলের কাছে তো বটেই," বলছিলেন দেবব্রত সরকার । একই সঙ্গে বললেন,"ময়দান মিত্র হারা এই শব্দ বন্ধনী তাঁকে নিয়ে বা তাঁর সম্বন্ধে বলাই যায় ।"

সোমেন মিত্রকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার

ইস্টবেঙ্গলের বিভিন্ন দরকারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন । নেপথ্যে থেকে ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছেন । প্লাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠান বা অন্য কোনও সাহায্য, ইস্টবেঙ্গলের জন্য সদা প্রস্তুত ছিলেন প্রয়াত সোমেন মিত্র । ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি অন্য ক্লাবের কর্তারাও তাঁর কাছে বিপদের সময় সাহায্য পেয়েছেন । "আর্মির পারমিশন নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল । অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ি করেও সুরাহা হচ্ছিল না । শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সোমেনদার কাছে যেতেই দ্রুত সমাধান হয়েছিল ," স্মৃতিচারণ দেবব্রত সরকারের ।

কলকাতা, 30 জুলাই : রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে ঘিরে নানান মিথ । সাতের দশকে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে অমর আকবর অ্যান্টনি ছিলেন সোমেন, প্রিয়রঞ্জন, সুব্রত । ছাত্র যুব আন্দোলনে ভর দিয়ে বৃহত্তর রাজনীতিতে প্রবেশ তিনজনের । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি পরবর্তী সময়ে দক্ষ সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ৷ বাকি দু’জন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সোমেন মিত্র রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের বিস্তার বাড়িয়েছেন ।

পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্য হয়েছে, দল বদলেছেন এই তিন মূর্তি । রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও একটি জায়গায় এই তিনজন ছিলেন একসুতোয় বাঁধা । প্রিয়, সোমেন ও সুব্রত তিনজনই ফুটবল ভালোবাসতেন । প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ছিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি । ফিফায় প্রতিনিধিত্ব পর্যন্ত করেছেন । সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান অন্ত প্রাণ । মোহনবাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট । দলের খেলা ব্যস্ততার ফাঁকেও দেখতে চলে আসেন ।

আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতি দূর্বলতা ছিল সোমেন মিত্রর । তিনি মোহনবাগানেরও সদস্য ছিলেন । ক্লাবের শেষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন । তবে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ছোড়দার মনটা ইস্টবেঙ্গলের প্রতি একটু বেশি নরম ছিল । বিধানসভায় শেষবারের মতো সোমেন মিত্রর প্রবেশ করল । অনুগামীদের ভিড়ে তাল সামলানো দায় । বিধায়করা শেষ শ্রদ্ধা জানালেন । বিধানসভাতেই লাল হলুদ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হল সোমেন মিত্রর দেহ ।

আরও পড়ুন :- বাবা হলেন হার্দিক

ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং ফুটবল সচিব রজত গুহ তাঁকে লাল-হলুদ গোলাপের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান । "সোমেনদা আমাদের ক্লাবের বহু পুরানো সদস্য । পল্টুদার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব কতটা গভীর ছিল তা ভাষায় বলা যাবে না । আজ তাঁর চলে যাওয়া বড় ক্ষতি । অন্তত ইস্টবেঙ্গলের কাছে তো বটেই," বলছিলেন দেবব্রত সরকার । একই সঙ্গে বললেন,"ময়দান মিত্র হারা এই শব্দ বন্ধনী তাঁকে নিয়ে বা তাঁর সম্বন্ধে বলাই যায় ।"

সোমেন মিত্রকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার

ইস্টবেঙ্গলের বিভিন্ন দরকারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন । নেপথ্যে থেকে ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছেন । প্লাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠান বা অন্য কোনও সাহায্য, ইস্টবেঙ্গলের জন্য সদা প্রস্তুত ছিলেন প্রয়াত সোমেন মিত্র । ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি অন্য ক্লাবের কর্তারাও তাঁর কাছে বিপদের সময় সাহায্য পেয়েছেন । "আর্মির পারমিশন নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল । অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ি করেও সুরাহা হচ্ছিল না । শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সোমেনদার কাছে যেতেই দ্রুত সমাধান হয়েছিল ," স্মৃতিচারণ দেবব্রত সরকারের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.