কলকাতা, ১৬ মার্চ : সুপার কাপ ঘিরে অনিশ্চয়তার মেঘ ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। ভুবনেশ্বরে আজ সুপার কাপের দুটো খেলা বাতিল হয়েছে। গোকুলাম FC ও আইজ়ল FC না আসায় খেলা বাতিল হয়েছে। প্রাথমিক পর্বের চারটে ম্যাচের তিনটি ম্যাচ বাতিল হওয়ায় সুপার কাপের অস্তিত্ব নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল অংশগ্রহণ করবে কি না তা জানতে চিঠি দিয়েছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। এই অবস্থায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বিকেল পাঁচটায় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে লাল হলুদ শিবির ধরেই নিয়েছে বয়কট যেভাবে চলছে তাতে সুপার কাপ চলতি বছরে বন্ধ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। তবে বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে না জানা পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান ঠিক করার বিষয়টি সেরে রাখতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
সোমবার বিকেলে ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে আমন্ত্রিত হলেও কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের তরফে কোনও প্রতিনিধি থাকবেন না বলে খবর। কোয়েস শিবির থেকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন ক্লাবের সঙ্গে কম্পানির কোনও যোগাযোগ নেই। ক্লাব তার আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে সুপার কাপ খেলতে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল তৈরি। কম্পানি রাজি সুপার কাপ খেলতে। ক্লাব কর্তারা সুপার কাপ না খেলার অবস্থানের বিরোধিতা করছেন। যা দেখে মনে হতেই পারে গন্ডগোল কোথাও নেই। লাল হলুদ ক্লাব কর্তারা সুপার কাপে খেলার সিদ্ধান্ত নিলে কোয়েস সাগ্রহে মেনে নেবে। কিন্তু কোয়েস শিবিরের বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ফুটবল সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ক্লাবের নেই। কারণ চুক্তি অনুযায়ী কোয়েস ইস্টবেঙ্গল ফুটবলের স্বত্ত্ব তাদের হাতে। একথা প্রমাণ করে যে লাল হলুদ কর্তারা ক্লাবে বসে যাই আস্ফালন করুক না কেন আদতে ফুটবল বিভাগের নিয়ন্ত্রক তাঁরা নন।
আজ দুপুরে ময়দানে খবর ছড়িয়ে পড়ে ফেডারেশন সচিবকে চিঠি লিখেছেন কোয়েস কর্ণধার অজিত আইজ়্যাক। ফেডারেশন কর্তাও না কি পালটা চিঠি দিয়েছেন। কোয়েস কর্তার চিঠির বয়ান না কি মোহনবাগানের এক শীর্ষ কর্তা তৈরি করেছেন। অবশ্য অজিত আইজ়্যাক বলেছেন তিনি সুপার কাপ নিয়ে কোনও চিঠি ফেডারেশনকে দেননি।