ETV Bharat / sports

ফের শূন্য থেকে শুরু করতে চান পেন ওরজি - east bengal

দলবদলের মরসুমে তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার কয়েকটি ক্লাব নাকি কথা বলেছে । তা থেকেই আশায় বুক বাঁধছেন পেন ওরজি ।

পেন ওরজি
author img

By

Published : May 2, 2019, 11:26 PM IST

কলকাতা, 2 মে : কলকাতা ক্লাব ফুটবলে ফের ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন পেন ওরজি । ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার লাল হলুদ জার্সিতে দাপিয়ে খেলার পর কার্যত হারিয়ে গেছেন । গত মরসুমে গোয়ার ভাস্কো স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন । একটি স্কুলের স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার । সেখানে এসে জানালেন দলবদলের মরসুমে তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার কয়েকটি ক্লাব নাকি কথা বলেছে । তা থেকেই আশায় বুক বাঁধছেন পেন ওরজি ।

অমৃতা বিদ্যালয়ামের স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে এসে পেন ওরজি নতুন প্রতিভার অন্বেষণ ও তাদের গড়ে তোলার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন । শুধু তাই নয় এই উদ্যোগে তিনি মেন্টর হিসেবে কাজ করার কথা বলেছেন । ফুটবল, ক্রিকেট দাবা তিরন্দাজ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে অমৃত বিদ্যালয়াম স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে । প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখার্জী এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

একসময়ে ট্রেভর জেমসের কোচিংয়ে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার । এরপর কলকাতার ক্লাব ফুটবলে দাপুটে ফুটবলার পোলান্ডে চলে গেছিলেন । অবশ্য সেখানে তাঁর পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত মান স্পর্শ করতে ব্যর্থ । ফলে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন পেন ওরজি । কলকাতা ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় ইনিংসটা সুখকর হয়নি । ফিরে আসার লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলের সেই সময়ের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ।

ট্রেভর জেমস মরগ্যানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে । শুনেছেন মোহনবাগানের কোচ হতে পারেন মরগ্যান । তাঁর মতে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ান কোচের মত কোচ নেই । তাই পেনের মতে মোহনবাগান যদি মরগ্যানকে দায়িত্ব দেয় তাহলে তা সঠিক সিদধান্ত হবে । পাশাপাশি আজ পেন জানালেন কোচিং ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছের কথা । তবে সবার আগে নিজিকে পুরানো ছন্দে ফিরে পেতে চান পেন ওরজি ।

কলকাতা, 2 মে : কলকাতা ক্লাব ফুটবলে ফের ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন পেন ওরজি । ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার লাল হলুদ জার্সিতে দাপিয়ে খেলার পর কার্যত হারিয়ে গেছেন । গত মরসুমে গোয়ার ভাস্কো স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন । একটি স্কুলের স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার । সেখানে এসে জানালেন দলবদলের মরসুমে তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার কয়েকটি ক্লাব নাকি কথা বলেছে । তা থেকেই আশায় বুক বাঁধছেন পেন ওরজি ।

অমৃতা বিদ্যালয়ামের স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে এসে পেন ওরজি নতুন প্রতিভার অন্বেষণ ও তাদের গড়ে তোলার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন । শুধু তাই নয় এই উদ্যোগে তিনি মেন্টর হিসেবে কাজ করার কথা বলেছেন । ফুটবল, ক্রিকেট দাবা তিরন্দাজ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে অমৃত বিদ্যালয়াম স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে । প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখার্জী এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

একসময়ে ট্রেভর জেমসের কোচিংয়ে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার । এরপর কলকাতার ক্লাব ফুটবলে দাপুটে ফুটবলার পোলান্ডে চলে গেছিলেন । অবশ্য সেখানে তাঁর পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত মান স্পর্শ করতে ব্যর্থ । ফলে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন পেন ওরজি । কলকাতা ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় ইনিংসটা সুখকর হয়নি । ফিরে আসার লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলের সেই সময়ের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ।

ট্রেভর জেমস মরগ্যানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে । শুনেছেন মোহনবাগানের কোচ হতে পারেন মরগ্যান । তাঁর মতে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ান কোচের মত কোচ নেই । তাই পেনের মতে মোহনবাগান যদি মরগ্যানকে দায়িত্ব দেয় তাহলে তা সঠিক সিদধান্ত হবে । পাশাপাশি আজ পেন জানালেন কোচিং ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছের কথা । তবে সবার আগে নিজিকে পুরানো ছন্দে ফিরে পেতে চান পেন ওরজি ।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.