কালকাতা, 24 অগাস্ট : ঈশ্বরের আপন দেশ, না ফুটবল মক্কা । ডুরান্ডের নয়া ঠিকানা কী হতে চলেছে তা জানতে শনিবাসরীয় সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করতে হবে । তবে ফাইনালের যুযুধান দুই দলই বলছে, শারীরিক প্রতিকূলতা সরিয়ে ফাইনালের চ্যালেঞ্জ নিতে তারা তৈরি।
দশবছর পরে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান । শেষ ডুরান্ড কাপ জয় আরও নয় বছর আগে । 2000 সালে শেষবার ডুরান্ড জয়ের পর আরও দু'বার ফাইনালে উঠলে ট্রফি অধরা থেকেছে ৷ ষোলো বার ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড জিতলেও মাঝের সময় অনেক বদল হয়েছে । বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রফির খোঁজে মোহনবাগান । মরশুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তোলার হাতছানিতে বাগান কোচ কিবু ভিকনাও এখন দর্শন বদলে ট্রফিতে চোখ রাখতে চাইছেন ।
অনুশীলনে নামার আগে দল নিয়ে আধঘণ্টার টিম মিটিং । সংবাদ মাধ্যমের জন্যে মাত্র পনেরো মিনিট বরাদ্দ করে সবুজ মেরুন চাণক্য ফাইনালের প্রস্তুতি আস্তিনের তলায় ঢেকে রাখলেন । প্রতিপক্ষ গোকুলাম কেরালা শিবিরকে সমীহই করছেন । অধিনায়ক জোসেফের গোল করার ক্ষমতা জায়গা করে নিয়েছে সবুজ মেরুন হেডস্যারের নোটবুকে । এদিকে হেনরি কিসিয়াকা সম্পর্কে হোমওয়ার্ক সেরে ফেলেছেন বাগান কোচ ৷ গোল পোস্টের নিচে উবেদ সি কে-র পারফরমেন্সেও নজর কিভুনার । শনিবাসরীয় ফাইনালে গোকুলম যে মোহনবাগানকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে তা ভালো মতোই আঁচ করতে পেরেছেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ ৷
সেমিফাইনালে সুয়ের ভিপি জোড়া করলেও রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিলেন ফ্রান গঞ্জালেস । পেটের সমস্যায় ফাইনালেই এই স্প্যানিয়ার্ড অনিশ্চিত ৷ সেমিফাইনালে একশো কুড়ি মিনিট খেলার ঝক্কি সামলে ফাইনালের ধকল নেওয়ার প্রস্তুতি । সবুজ-মেরুন হেডস্যার বলছেন এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন । FIFA-র নিয়ম মেনে অতিরিক্ত সময়ে চার নম্বর পরিবর্তন করার সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও সরব তিনি । আর্দ্রতার কারণে এই ধরনের টুর্নামেন্টে অতিরিক্ত তিরিশ মিনিট না খেলিয়ে সরাসরি টাইব্রেকার করা উচিত বলে দাবি তুলেছেন বাগান কোচ ৷
নিয়ম নিয়ে সরব হলেও কোনও অজুহাত দিতে চান না । বরং ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার কৃতিত্বকে ট্রফির সাফল্যে রঙিন করতে চান ভিকুনা । আক্রমণ ও রক্ষণের উন্নতির পাশাপাশি সেটপিসের ফায়দা হাতছাড়া করতে নারাজ তিনি । ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলা হলেও নিজের দল মোহনবাগান ফেভারিট, মানতে চান না কিবু ভিকুনা । রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজিমাতের অভ্যাস ছেলেরা ফাইনালে বজায় রাখুক এটাই চাইছেন তিনি ।