কলকাতা, 17 নভেম্বর : ফিরিয়ে দাও সোনালি বিকেল। রেডরোডের ধারে শতাব্দী প্রাচীন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাঁবুতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই আকুতি। গত 41 বছর ধরে কলকাতা ফুটবলে 'থার্ড বয়' হয়ে থাকা সাদা-কালো শিবির এবছর খেতাবি দৌড়ের শেষ ধাপে। করোনাকাল পার করে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাওয়া কলকাতা ফুটবল লিগ তাদের প্রতিযোগিতাকে নয়া ফর্ম্যাটে সাজিয়েছে। এসসি ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান না থাকলেও তাই জৌলুস সেভাবে ধাক্কা খায়নি।
লিগ ফাইনালে আন্দ্রে চেরনিশভের মহমেডান স্পোর্টিং বনাম সৌরিন দত্তর রেলওয়ে এফসি'র ম্যাচ ঘিরে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ। রেলের চাকায় বড় দলের আটকে যাওয়ার ইতিহাস নতুন নয়। প্রথমবার কলকাতা লিগ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রেলওয়ে এফসি বিনা যুদ্ধে মাঠ ছাড়তে নারাজ। বাংলা দলে যোগ দেওয়া দুই ফুটবলার দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শক্তি বেড়েছে রেলের। একঝাঁক আনকোরা নতুন মুখের সঙ্গে কয়েকজন পোড়খাওয়া ফুটবলারের মেলবন্ধনে তৈরি সৌরিন দত্তর রেল। লিগের প্রথম সাক্ষাতে মহমেডানের কাছে হেরে গিয়েছিল তারা। তবে অতীত নয়, বর্তমানে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে মাপতে চায় তারা। লিগ ফাইনালের চাপ, পরিবেশ সামলানোই বাড়তি চ্যালেঞ্জ রেল দলের। যা সৌরিন দত্ত নিজেও স্বীকার করছেন।
আরও পড়ুন : সেলেকাওদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ভাগ করেও বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা
অন্য়দিকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছেও শেষরক্ষা হয়নি মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বলছেন লিগ এবং ডুরান্ড কাপের সমান্তরাল দৌড় সামলে জয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। মাঝে একমাস খেলা বন্ধ ছিল। বিরতিতে ছন্দ কেটে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও ব্ল্য়াক-প্য়ান্থার্সদের কোচ বলছেন তারা তৈরি। ভাল ফুটবল খেলে ট্রফি জয়ই পাখির চোখ। ফুটবলাররা প্রত্যেকেই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার কথা বলছেন। সাজঘরের এই মানসিকতা কোচের কাজ কমিয়ে দেয়। এখন দেখার সাজঘরের মরিয়া মেজাজ মাঠেও প্রতিফলিত হয় কি না। সবমিলিয়ে দু'দলই ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে থাকলেও এগিয়ে মহমেডান স্পোর্টিং।