ETV Bharat / sports

স্তব্ধ খেলার দুনিয়া, হাহাকার ময়দান মার্কেটে

অনান্যবার এই সময় দম ফেলার সময় পেতেন না ময়দান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ৷ কিন্তু কোরোনার দাপটে দীর্ঘ লকডাউন, তারপর বাজার খুললেও চাহিদা নেই ৷ তাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ময়দান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ৷

author img

By

Published : Jun 23, 2020, 1:59 AM IST

Updated : Jun 23, 2020, 5:15 PM IST

image
ময়দান মার্কেটে

কলকাতা, 23 জুন : কলকাতা ময়দানের জোয়ার-ভাটায় এই বাজারের অর্থনীতির পারদ ওঠা নামা করে। লকডাউনে স্তব্ধ কলকাতা ময়দান । ফলে, ধর্মতলার ডা: বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট তথা ময়দান মার্কেট 80 দিনের বেশি তালাবন্দী ছিল। সারাবছর এই বাজারে 60 কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয় । তবে আনলক ওয়ানে বাজার খুললেও, বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটেনি।

পোশাকি নাম ডা: বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট ৷ কিন্তু সবাই ময়দান মার্কেট নামেই চেনে এই প্রবীণ বাজারকে । কলকাতা ময়দানে যাবতীয় খেলার সরঞ্জামের একটাই ঠিকানা- ময়দান মার্কেট । শুধু খেলার সরঞ্জাম নয়, ট্রফি, মেডেল, শিল্ডসহ পুরস্কারের স্মারকও এই বাজারেই মেলে ।

মরশুমের এই সময়টাতে দম ফেলার সময় থাকে না ময়দান মার্কেটের বিক্রেতা, কর্মচারী থেকে কারিগরদের । ইডেনে IPL-এর ভরা মরশুম, কলকাতা মাঠে ফুটবলের পাঁচটি ডিভিশনের খেলা ছাড়াও অন্যান্য বহু খেলার সরঞ্জাম যোগানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এই ময়দান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন ক্লাবের বিভিন্ন ধরনের জার্সি তৈরি হয় এখানে । খেলার বুটের বিক্রি, মেরামতি সব হয় এই বাজারে । এর পাশাপাশি সারা রাজ্যের বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টের স্মারক ও পুরস্কারের যোগান দিয়ে থাকে ময়দান মার্কেট ।

IPL এর সময় প্রিয় দলের জার্সি পরে মাঠে ঢোকেন দর্শকরা । তাঁদের ন্যায্য দামে জার্সি যোগায় এই ময়দান মার্কেটে । এর পাশাপাশি ট্রফি, মেডেল বিক্রি তো আছেই ।

লকডাউনের জেরে ময়দানে বল কবে গড়াবে জানে না কেউ । মরশুম শুরুর চেষ্টা হচ্ছে । কিন্তু তাতে নিশ্চয়তা মিলছে না । IPL-এর ভবিষ্যৎ কারো জানা নেই । ফলে, ময়দানে বল গড়ালে-ইডেনে আলো জ্বললে যে চাহিদা যোগানের জোয়ার আসত তা এখন বন্ধ । বিক্রেতারা বলছেন, এই ক্ষতি কীভাবে মিটবে তা বুঝতে পারছেন না । ছোট ক্লাবগুলি এই ধাক্কা কাটিয়ে অর্ডার কতটা দেবে তা জানেন না । দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্রে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বিক্রেতারা কথা বলেছেন । কিন্তু তাতে আশার আলো মেলেনি । বড় ক্লাবগুলির জার্সি, জুতো, মোজা তো বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা করে । ফলে ছোটো ক্লাবের চাহিদায় ময়দান মার্কেটের অনেক কিছু নির্ভরশীল । সেখানে ময়দান মার্কেট খোলার পরে যোগানের লিস্ট আসছে, কিন্তু তা যৎসামান্যই।

বিধান মার্কেটের বাইরের দেওয়ালে একাধিক ছোটো দোকানে ভিড় স্বাভাবিক সময়ে থাকলেও এখন নেই । জার্সি, ট্র্যাকস্যুট বিক্রি করে থাকেন বিক্রেতারা । কয়েকজন চর্মকার বল ও খেলোয়াড়দের বুট মেরামত করেন । তারাও এখন বেপাত্তা । লকডাউনে তাদের বিক্রিবাট্টা বিশ বাঁও জলে ।

সবচেয়ে বড় সমস্যায় ময়দান মার্কেটের ট্রফি, মেডেল বিক্রেতারা । মোরাদাবাদ থেকে এই ময়দান মার্কেটে যোগান আসে । কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ ৷ তাই নিজেদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ময়দান বাজারের বিক্রেতারা । বাজার খোলার পরে তাঁরাও দোকান খুলছেন । কিন্তু খদ্দের নেই । যাঁরা অগ্রিম দিয়ে বরাত দিয়েছিলেন, তাঁরাও অর্ডার বাতিল করে পয়সা ফেরত চাইছেন । নতুন ট্রফির অর্ডার নেই । বিক্রেতারা বলছেন, এই ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা নেই । তাই ময়দান মার্কেট খুললেও, সেখানে এখন জোয়ার নয়, শুধুই ভাটা ।

কলকাতা, 23 জুন : কলকাতা ময়দানের জোয়ার-ভাটায় এই বাজারের অর্থনীতির পারদ ওঠা নামা করে। লকডাউনে স্তব্ধ কলকাতা ময়দান । ফলে, ধর্মতলার ডা: বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট তথা ময়দান মার্কেট 80 দিনের বেশি তালাবন্দী ছিল। সারাবছর এই বাজারে 60 কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয় । তবে আনলক ওয়ানে বাজার খুললেও, বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটেনি।

পোশাকি নাম ডা: বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট ৷ কিন্তু সবাই ময়দান মার্কেট নামেই চেনে এই প্রবীণ বাজারকে । কলকাতা ময়দানে যাবতীয় খেলার সরঞ্জামের একটাই ঠিকানা- ময়দান মার্কেট । শুধু খেলার সরঞ্জাম নয়, ট্রফি, মেডেল, শিল্ডসহ পুরস্কারের স্মারকও এই বাজারেই মেলে ।

মরশুমের এই সময়টাতে দম ফেলার সময় থাকে না ময়দান মার্কেটের বিক্রেতা, কর্মচারী থেকে কারিগরদের । ইডেনে IPL-এর ভরা মরশুম, কলকাতা মাঠে ফুটবলের পাঁচটি ডিভিশনের খেলা ছাড়াও অন্যান্য বহু খেলার সরঞ্জাম যোগানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এই ময়দান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন ক্লাবের বিভিন্ন ধরনের জার্সি তৈরি হয় এখানে । খেলার বুটের বিক্রি, মেরামতি সব হয় এই বাজারে । এর পাশাপাশি সারা রাজ্যের বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টের স্মারক ও পুরস্কারের যোগান দিয়ে থাকে ময়দান মার্কেট ।

IPL এর সময় প্রিয় দলের জার্সি পরে মাঠে ঢোকেন দর্শকরা । তাঁদের ন্যায্য দামে জার্সি যোগায় এই ময়দান মার্কেটে । এর পাশাপাশি ট্রফি, মেডেল বিক্রি তো আছেই ।

লকডাউনের জেরে ময়দানে বল কবে গড়াবে জানে না কেউ । মরশুম শুরুর চেষ্টা হচ্ছে । কিন্তু তাতে নিশ্চয়তা মিলছে না । IPL-এর ভবিষ্যৎ কারো জানা নেই । ফলে, ময়দানে বল গড়ালে-ইডেনে আলো জ্বললে যে চাহিদা যোগানের জোয়ার আসত তা এখন বন্ধ । বিক্রেতারা বলছেন, এই ক্ষতি কীভাবে মিটবে তা বুঝতে পারছেন না । ছোট ক্লাবগুলি এই ধাক্কা কাটিয়ে অর্ডার কতটা দেবে তা জানেন না । দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্রে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বিক্রেতারা কথা বলেছেন । কিন্তু তাতে আশার আলো মেলেনি । বড় ক্লাবগুলির জার্সি, জুতো, মোজা তো বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা করে । ফলে ছোটো ক্লাবের চাহিদায় ময়দান মার্কেটের অনেক কিছু নির্ভরশীল । সেখানে ময়দান মার্কেট খোলার পরে যোগানের লিস্ট আসছে, কিন্তু তা যৎসামান্যই।

বিধান মার্কেটের বাইরের দেওয়ালে একাধিক ছোটো দোকানে ভিড় স্বাভাবিক সময়ে থাকলেও এখন নেই । জার্সি, ট্র্যাকস্যুট বিক্রি করে থাকেন বিক্রেতারা । কয়েকজন চর্মকার বল ও খেলোয়াড়দের বুট মেরামত করেন । তারাও এখন বেপাত্তা । লকডাউনে তাদের বিক্রিবাট্টা বিশ বাঁও জলে ।

সবচেয়ে বড় সমস্যায় ময়দান মার্কেটের ট্রফি, মেডেল বিক্রেতারা । মোরাদাবাদ থেকে এই ময়দান মার্কেটে যোগান আসে । কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ ৷ তাই নিজেদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ময়দান বাজারের বিক্রেতারা । বাজার খোলার পরে তাঁরাও দোকান খুলছেন । কিন্তু খদ্দের নেই । যাঁরা অগ্রিম দিয়ে বরাত দিয়েছিলেন, তাঁরাও অর্ডার বাতিল করে পয়সা ফেরত চাইছেন । নতুন ট্রফির অর্ডার নেই । বিক্রেতারা বলছেন, এই ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা নেই । তাই ময়দান মার্কেট খুললেও, সেখানে এখন জোয়ার নয়, শুধুই ভাটা ।

Last Updated : Jun 23, 2020, 5:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.