ETV Bharat / sports

কথা রাখল গোকুলাম, হাসি ফুটল বন্যাবিধ্বস্ত কেরালায় - Ubaid CK

সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরালার জন্য যেভাবেই হোক ডুরান্ডটা জিততে চেয়েছিল গোকুলাম ৷ কথা রেখেছে তাঁরা ৷ তাও আবার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ভারতীয় ফুটবলের দুই জায়ান্ট ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়ে ৷

gokulam
author img

By

Published : Aug 25, 2019, 2:43 AM IST

Updated : Aug 25, 2019, 6:11 AM IST

কলকাতা, 25 অগাস্ট : ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামার আগে গোকুলাম শিবিরের গলায় শোনা গিয়েছিল প্রতিজ্ঞার সুর ৷ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরালার জন্য যেভাবেই হোক ডুরান্ডটা জিততে চেয়েছিল গোকুলাম ৷ কথা রেখেছে তাঁরা ৷ তাও আবার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ভারতীয় ফুটবলের দুই জায়ান্ট ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়ে ৷

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে 2-1 গোলে পরাজিত মোহনবাগান । 19 বছর পরে ডুরান্ড কাপ ঘরে তোলার সাক্ষী হতে 44 হাজার দর্শক ভিড় জমিয়েছিলেন । কিন্তু প্রিয় দলের ছন্দহীন ফুটবল এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁদের ৷ বাগান কোচের ব্যাখ্যা 120 মিনিটের সেমিফাইনাল খেলার ধকলের ক্লান্তিই হারের মূল কারণ ৷

এদিকে বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার মুখে হাসি ফুটিয়ে ডুরান্ড ঘরে তুলল গোকুলাম ৷ মোহনবাগানের চার স্প্যানিয়ার্ডকে বোতল বন্দী করতে প্রেসিং ফুটবলের ছক করেছিল গোকুলাম শিবির ৷ গোকুলামের আর্জেন্তাইন কোচ ভালেরার এই ছক সফল করতে মূল ভুমিকা নিয়েছে দলের চার ডিফেন্ডার ও দুই স্ট্রাইকার ৷ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ছিল কেরালার ফুটবলারদের পায়েই ৷

প্রতিযোগিতায় 11গোল করে সোনার বুটের মালিক গোকুলামের মার্সাক । দক্ষিণ অ্যান্টিগা থেকে ভারতে গত মরসুমে খেলতে এসেছিলেন । মার্কাসের মা ও ঠাকুমা ক্রিকেটার । বাবা ফুটবলার । মা ও ঠাকুমার মতো ব্যাট না ধরে মার্কাস বাবার জুতোয় পা গলিয়েছেন । নিজের ক্রীড়া পরিবারকেই ডুরান্ডের সাফল্য উৎসর্গ করেছেন তিনি ।

আরেক কলকাতার প্রাক্তনীর কথা না বললেই নয় ৷ চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে গোকুলাম কেরালায় যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের ভূমিপুত্র উবেদ সি কে ৷ সেমিফাইনালে তাঁর হাতই আটকে দিয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে ৷ ফাইনালে মোহনবাগানের একের পর এক বলকে নিপুণ দক্ষতায় আটকালেন গোকুলামের গোলরক্ষক উবেদ ৷

কলকাতা, 25 অগাস্ট : ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামার আগে গোকুলাম শিবিরের গলায় শোনা গিয়েছিল প্রতিজ্ঞার সুর ৷ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরালার জন্য যেভাবেই হোক ডুরান্ডটা জিততে চেয়েছিল গোকুলাম ৷ কথা রেখেছে তাঁরা ৷ তাও আবার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ভারতীয় ফুটবলের দুই জায়ান্ট ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়ে ৷

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে 2-1 গোলে পরাজিত মোহনবাগান । 19 বছর পরে ডুরান্ড কাপ ঘরে তোলার সাক্ষী হতে 44 হাজার দর্শক ভিড় জমিয়েছিলেন । কিন্তু প্রিয় দলের ছন্দহীন ফুটবল এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁদের ৷ বাগান কোচের ব্যাখ্যা 120 মিনিটের সেমিফাইনাল খেলার ধকলের ক্লান্তিই হারের মূল কারণ ৷

এদিকে বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার মুখে হাসি ফুটিয়ে ডুরান্ড ঘরে তুলল গোকুলাম ৷ মোহনবাগানের চার স্প্যানিয়ার্ডকে বোতল বন্দী করতে প্রেসিং ফুটবলের ছক করেছিল গোকুলাম শিবির ৷ গোকুলামের আর্জেন্তাইন কোচ ভালেরার এই ছক সফল করতে মূল ভুমিকা নিয়েছে দলের চার ডিফেন্ডার ও দুই স্ট্রাইকার ৷ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ছিল কেরালার ফুটবলারদের পায়েই ৷

প্রতিযোগিতায় 11গোল করে সোনার বুটের মালিক গোকুলামের মার্সাক । দক্ষিণ অ্যান্টিগা থেকে ভারতে গত মরসুমে খেলতে এসেছিলেন । মার্কাসের মা ও ঠাকুমা ক্রিকেটার । বাবা ফুটবলার । মা ও ঠাকুমার মতো ব্যাট না ধরে মার্কাস বাবার জুতোয় পা গলিয়েছেন । নিজের ক্রীড়া পরিবারকেই ডুরান্ডের সাফল্য উৎসর্গ করেছেন তিনি ।

আরেক কলকাতার প্রাক্তনীর কথা না বললেই নয় ৷ চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে গোকুলাম কেরালায় যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের ভূমিপুত্র উবেদ সি কে ৷ সেমিফাইনালে তাঁর হাতই আটকে দিয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে ৷ ফাইনালে মোহনবাগানের একের পর এক বলকে নিপুণ দক্ষতায় আটকালেন গোকুলামের গোলরক্ষক উবেদ ৷

Intro:1997 সালে এফসি কোচি,2004 সালে ইস্টবেঙ্গল,2009সালে চার্চিল ব্রাদার্স এবং 2019 সালে গোকুলাম এফসি- সাম্প্রতিক অতীতে সবুজ মেরুন নৌকার ভরাডুবির অন্যতম কারন। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গোকুলামের বিরুদ্ধে 2-1 গোলে পরাজিত মোহনবাগান। 19 বছর পরে ডুরান্ড কাপ ঘরে তোলার সাক্ষী হতে 44 হাজার দর্শক ভিড় জমিয়ে ছিলেন। তাদের সিংহভাগ মোহনবাগান সমর্থক। কিন্তু প্রিয় দলের ছন্দ হীন ফুটবল।এবং পরাজয় তাদের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়তে বাধ্য করল। 120 মিনিটের সেমিফাইনাল খেলার ধকল সামলে ফাইনালে ক্লান্ত হয়ে পড়ে ছিল ছেলেরা। তাই হার। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই দলের হারের ব্যাখ্যা দিলেন কিবু ভিকুনা।
প্রতিপক্ষের চার স্প্যানিশ আর্মাডাকে ভোতা করতে প্রেসিং ফুটবলের ছক আকড়ে ছিলেন। গোকুলামের আর্জেন্টিনার কোচ ভালেরার এই ছক সফলে দলের চার ডিফেন্ডার ও দুই স্ট্রাইকার হেনরি কিসিয়াকা ও মার্কাসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যার জেরে প্রথম থেকে ম্যাচের রাশ কেরলের পায়ে। বিরতির এক মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে গোকুলামের প্রথম গোল মার্কাসের। তবে তারা আরও আগে গোল পেতে পারত যদি না দেবজিৎ মজুমদার রক্ষা কর্তা না হতেন। অন্তত তিনবার নিশ্চিত গোল বাচান দেবজিৎ।
বিরতির পরে ফের গোল গোকুলামের। 63 মিনিটে আশুতোষ মেহতা র ভুলের ফায়দা তুললেন মার্কাস। প্রতিযোগিতায় 11গোল করে সোনার বুটের মালিক তিনি। দক্ষিণ আন্টিগা থেকে ভারতে গত মরসুমে খেলতে এসেছেন। মার্কাসের মা ও ঠাকমা ক্রিকেটার।বাবা ফুটবলার। মা ও ঠাকুমার পদাঙ্ক অনুসরন না করে মার্কাস বাবার জুতোয় পা গলিয়েছেন। দুই ছেলের বাবা মার্কাস ডুরান্ডের সাফল্য পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন।
দুগোলে পিছিয়ে পড়ার পড়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান। 63 মিনিটে সালভো চামারো র গোল সেই চেষ্টার ফল।এরপর আক্রমন হানলেও তা ডুরান্ডে সোনার গ্লাভস পাওয়া উবেদ সি কের নাগাল এড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
83 মিনিটে জাস্টিন জর্জ দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখায় রেফারি লাল কার্ড দেখান। বাকি সময় গোকুলাম কে দশজনে পেয়েও মোহনবাগান ব্যর্থ, কারন গোলরক্ষক উবেদ সি কে। অতিরিক্ত সময়ে মোহনবাগান পেনাল্টির দাবি করলেও তা যথার্থ ছিল না। সুয়ের ভিপির শট গোকুলামের ইরশাদের হাতে নয় পেটে লেগেছিল।
জয়ী দলকে ট্রফি তুলে দেন রাজ্যপাল ও রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।


Body:ডুরান্ড


Conclusion:
Last Updated : Aug 25, 2019, 6:11 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.