কলকাতা, 25 অগাস্ট : ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামার আগে গোকুলাম শিবিরের গলায় শোনা গিয়েছিল প্রতিজ্ঞার সুর ৷ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত কেরালার জন্য যেভাবেই হোক ডুরান্ডটা জিততে চেয়েছিল গোকুলাম ৷ কথা রেখেছে তাঁরা ৷ তাও আবার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ভারতীয় ফুটবলের দুই জায়ান্ট ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়ে ৷
শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে 2-1 গোলে পরাজিত মোহনবাগান । 19 বছর পরে ডুরান্ড কাপ ঘরে তোলার সাক্ষী হতে 44 হাজার দর্শক ভিড় জমিয়েছিলেন । কিন্তু প্রিয় দলের ছন্দহীন ফুটবল এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁদের ৷ বাগান কোচের ব্যাখ্যা 120 মিনিটের সেমিফাইনাল খেলার ধকলের ক্লান্তিই হারের মূল কারণ ৷
এদিকে বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার মুখে হাসি ফুটিয়ে ডুরান্ড ঘরে তুলল গোকুলাম ৷ মোহনবাগানের চার স্প্যানিয়ার্ডকে বোতল বন্দী করতে প্রেসিং ফুটবলের ছক করেছিল গোকুলাম শিবির ৷ গোকুলামের আর্জেন্তাইন কোচ ভালেরার এই ছক সফল করতে মূল ভুমিকা নিয়েছে দলের চার ডিফেন্ডার ও দুই স্ট্রাইকার ৷ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ছিল কেরালার ফুটবলারদের পায়েই ৷
প্রতিযোগিতায় 11গোল করে সোনার বুটের মালিক গোকুলামের মার্সাক । দক্ষিণ অ্যান্টিগা থেকে ভারতে গত মরসুমে খেলতে এসেছিলেন । মার্কাসের মা ও ঠাকুমা ক্রিকেটার । বাবা ফুটবলার । মা ও ঠাকুমার মতো ব্যাট না ধরে মার্কাস বাবার জুতোয় পা গলিয়েছেন । নিজের ক্রীড়া পরিবারকেই ডুরান্ডের সাফল্য উৎসর্গ করেছেন তিনি ।
আরেক কলকাতার প্রাক্তনীর কথা না বললেই নয় ৷ চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে গোকুলাম কেরালায় যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের ভূমিপুত্র উবেদ সি কে ৷ সেমিফাইনালে তাঁর হাতই আটকে দিয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে ৷ ফাইনালে মোহনবাগানের একের পর এক বলকে নিপুণ দক্ষতায় আটকালেন গোকুলামের গোলরক্ষক উবেদ ৷