ওয়েম্বলি, 8 জুলাই : ফের জ্বলে উঠলেন হ্যারি কেন ৷ ইউরোর ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড ৷ অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করলেন ইংরেজ অধিনায়ক ৷ ডেনমার্ককে স্টার্লিংদের কাছে হারতে হল 2-1 ব্যবধানে ৷
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড ৷ খেলার 30 মিনিটে গোল করে ডেনমার্ক ৷ লুক শ ডেনমার্কের আন্দ্রেস ক্রিসটেনকে মাঠে ফেলে দিলে রেফারি ফ্রিকিক দেন ৷ দুরন্ত শটে গোল করেন মাইকেল ড্যামসগার্ড ৷ বলে হাত ছুঁইয়েও গোল বাঁচাতে পারেননি ইংরেজ গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড ৷ যদিও 9 মিনিটে গোল শোধ হয়ে যায় ৷ আত্মঘাতী গোল খায় ডেনমার্ক ৷ আত্মঘাতী গোল হলেও তার পেছনে কেনের ভূমিকা রয়েছে ৷ বুকায়ো সাকাকে দুরন্ত বল বাড়ান কেন ৷ এর পর সাকা হয়ে স্টার্লিংয়ের পায়ে বল পৌঁছানোর আগেই ভুল করে নিজেদের গোল বল ঢুকিয়ে দেন ডেনমার্কের সেন্টার ফরোয়ার্ড সাইমন কায়ের ৷
এর পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড ৷ অন্যদিকে ইংরেজ বাহিনীর একাধিক আক্রমণ রুখে দেন ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেল ৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও স্কোরবোর্ডে পার্থক্য হতে দেননি ডেনমার্কের গোলকিপার ৷ অপরপক্ষে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি ডেনমার্ক ৷ নির্ধারিত 90 মিনিটে ফলাফল ছিল 1-1 । ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে ।
আরও পড়ুন: Euro 2020 : টাইব্রেকারে শেষ হাসি ইতালির, স্পেনকে হারিয়ে 9 বছর পর ইউরোর ফাইনালে আজ্জুরিরা
102 মিনিটে নিজেদের বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন মাহলে । রেফারি ভিআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে । 104 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন ৷ যদিও কেনের শট প্রথম দফায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ড্যানিশ গোলরক্ষক ৷ কিন্তু ফিরতে বল গোলে ঢুকিয়ে দেন ইংরেজ অধিনায়ক । 2-1 ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যন্ড । রবিবার তারা ঐতিহাসিক ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইতালির সঙ্গে ৷
1966 সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর গত 55 বছর কোনও বড় টুর্নামেন্ট জেতেনি ইংল্যান্ড ৷ এই ইতিহাস বদলানোর পথে আর এক কদম দূরে হ্যারি কেনরা ৷
