ETV Bharat / sports

মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ ইস্টবেঙ্গলের

ISL-এ পর পর দু'টি ম্যাচেই হারের মুখ দেখল রবি ফাওলারের দল ।

EASTBENGAL LOST SECOND ISL MATCH
ইস্টবেঙ্গলের হার
author img

By

Published : Dec 1, 2020, 10:52 PM IST

বাম্বোলিম, 1 ডিসেম্বর : ডার্বি হারের ধাক্কা সরিয়ে পয়েন্টের খোঁজে ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা সফল করতে আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। তাড়াহুড়ো করে আইএসএলে যোগ দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা কলকাতা লিগের ছোট দলগুলোর মত। বড় দলের কাছে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণই ভবিতব্য। কোনওরকমে বড় দলকে রুখে দিতে পারলে তাদের নামের আগে জায়ান্ট কিলারের তকমা বসে। প্রথম দুই ম্যাচের নিরিখে তা মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল বোধহয় সেই তকমা অর্জন করতে পারবে না। দলে একাধিক বিগত যৌবনের ফুটবলারের ভিড়। যাদের অতীত উজ্বল,কিন্তু তার ছায়া আর ভরসা দিচ্ছে না। তাই লাল হলুদ মশালে শীতের নীরবতা।


ডার্বির পরে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে পরাজিত এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ফল 3-0।অ্যাডাম লি ফন্ড্রের জোড়া গোলের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে নাম রয়েছে হারনান সান্টানার। খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যে দলের অধিনায়কের চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া যে কোনও দলের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত প্ল্যান বি এর প্রয়োগ সফল করা যেকোনও কোচ এবং ফুটবলারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সামলাতে না পারলে যে কোনও দল সমস্যায় পড়ে। ইস্টবেঙ্গল ব্যতিক্রম নয়। কোচ রবি ফাওলার ইতিমধ্যে বলেছেন প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি শক্তির বিচারে অন্যমানের। তাই ম্যাচটি কঠিন হতে চলেছে।


লাল হলুদ হেডস্যারের পর্যবেক্ষণ যে সঠিক তা প্রমাণিত। হুগো বোওমাস,অ্যাডাম লি ফন্ড্রের মত ফুটবলারের আক্রমনভাগে উপস্থিতির পাশে মাঝমাঠে রওলিন বর্জেস,বিপিন সিং,মন্দার রাও দেশাই লাল হলুদ রক্ষণকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল। রক্ষণ সামলে দ্রুত গতির প্রতি আক্রমণে জয়ের অঙ্ক কষার কৌশল নিয়েছেন চলতি আইএসএলের কোচেরা। সেখানে ড্যানি ফক্সের চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া এবং পুরো দলের প্রস্তুতির অভাব ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা জটিল করে তুলেছে। এই অবস্থায় রাওলিন বর্জেসের লম্বা পাস ধরে বোওমাসের কার্যত বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়ে ফন্ড্রের জন্য গোলের বল সাজিয়ে দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের অসহায় অবস্থাকে সামনে নিয়ে এসেছে। ফলে মুম্বই সহজেই 1-0। তার আগে দেবজিৎ মজুমদার সেভজিত হয়ে ওঠায় ইস্টবেঙ্গল আরও দ্রুত পিছিয়ে পড়েনি।

পিছিয়ে পড়ে খেলার রাশ লাল হলুদ ফুটবলাররা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আশার সমুদ্রে তা বুদবুদ মাত্র।তাই মহম্মদ রফিকের দূরপাল্লার শট কিংবা মাঘোমার মাটি ঘেসা প্লেসিং ব্যর্থ আশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিরতির প্রথম পাচ মিনিটের মধ্যে আবার গোল করে এগিয়ে যায় মুম্বই। এবার 47 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল মুম্বই সিটির। গোলদাতা ফের ফন্ড্রে।

দশ মিনিট পড়ে ফের এগিয়ে যায় মুম্বই। এবার দুরন্ত সেটপিসের বুদ্ধিদীপ্ত বাস্তবায়ন। যার নাগাল লাল হলুদ রক্ষণের কাছে ছিল না। গোলদাতা হারনান সানটানা।
রক্ষণে অ্যান্টনি ফক্সের অনুপস্থিতি পূরন করার লোক নেই। আক্রমণভাগে বলবন্ত সিংয়ের উপস্থিতি জার্সি নম্বর দেখে বুঝতে হয়। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে জেজে বলের যোগানের অভাবে ভুগলেন।তাই চোট সারিয়ে মাঠে নেমে তিনি আশা জাগাতে পারবেন কি না তা বোঝা গেল না।


মাঝ মাঠে পিলকিংটন এবং মাঘোমা এবং মহম্মদ রফিক ছাড়া বাকিরা স্কিল এবং শারীরিকভাবে এতটাই পিছিয়ে যে কলকাতা লিগ এবং হয়তো আই লিগে চলতে পারেন। আইএসএলে নন। ফলে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল কে শক্তিশালী ইমারত নয়,দড়মাড় বেড়া দিয়ে গড়া কুটির লাগছে । যা মুম্বই সিটি এফসির আক্রমণের সামনে সব সময় কাঁপল।

বাম্বোলিম, 1 ডিসেম্বর : ডার্বি হারের ধাক্কা সরিয়ে পয়েন্টের খোঁজে ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা সফল করতে আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। তাড়াহুড়ো করে আইএসএলে যোগ দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা কলকাতা লিগের ছোট দলগুলোর মত। বড় দলের কাছে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণই ভবিতব্য। কোনওরকমে বড় দলকে রুখে দিতে পারলে তাদের নামের আগে জায়ান্ট কিলারের তকমা বসে। প্রথম দুই ম্যাচের নিরিখে তা মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল বোধহয় সেই তকমা অর্জন করতে পারবে না। দলে একাধিক বিগত যৌবনের ফুটবলারের ভিড়। যাদের অতীত উজ্বল,কিন্তু তার ছায়া আর ভরসা দিচ্ছে না। তাই লাল হলুদ মশালে শীতের নীরবতা।


ডার্বির পরে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে পরাজিত এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ফল 3-0।অ্যাডাম লি ফন্ড্রের জোড়া গোলের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে নাম রয়েছে হারনান সান্টানার। খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যে দলের অধিনায়কের চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া যে কোনও দলের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত প্ল্যান বি এর প্রয়োগ সফল করা যেকোনও কোচ এবং ফুটবলারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সামলাতে না পারলে যে কোনও দল সমস্যায় পড়ে। ইস্টবেঙ্গল ব্যতিক্রম নয়। কোচ রবি ফাওলার ইতিমধ্যে বলেছেন প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি শক্তির বিচারে অন্যমানের। তাই ম্যাচটি কঠিন হতে চলেছে।


লাল হলুদ হেডস্যারের পর্যবেক্ষণ যে সঠিক তা প্রমাণিত। হুগো বোওমাস,অ্যাডাম লি ফন্ড্রের মত ফুটবলারের আক্রমনভাগে উপস্থিতির পাশে মাঝমাঠে রওলিন বর্জেস,বিপিন সিং,মন্দার রাও দেশাই লাল হলুদ রক্ষণকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল। রক্ষণ সামলে দ্রুত গতির প্রতি আক্রমণে জয়ের অঙ্ক কষার কৌশল নিয়েছেন চলতি আইএসএলের কোচেরা। সেখানে ড্যানি ফক্সের চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া এবং পুরো দলের প্রস্তুতির অভাব ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা জটিল করে তুলেছে। এই অবস্থায় রাওলিন বর্জেসের লম্বা পাস ধরে বোওমাসের কার্যত বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়ে ফন্ড্রের জন্য গোলের বল সাজিয়ে দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের অসহায় অবস্থাকে সামনে নিয়ে এসেছে। ফলে মুম্বই সহজেই 1-0। তার আগে দেবজিৎ মজুমদার সেভজিত হয়ে ওঠায় ইস্টবেঙ্গল আরও দ্রুত পিছিয়ে পড়েনি।

পিছিয়ে পড়ে খেলার রাশ লাল হলুদ ফুটবলাররা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আশার সমুদ্রে তা বুদবুদ মাত্র।তাই মহম্মদ রফিকের দূরপাল্লার শট কিংবা মাঘোমার মাটি ঘেসা প্লেসিং ব্যর্থ আশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিরতির প্রথম পাচ মিনিটের মধ্যে আবার গোল করে এগিয়ে যায় মুম্বই। এবার 47 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল মুম্বই সিটির। গোলদাতা ফের ফন্ড্রে।

দশ মিনিট পড়ে ফের এগিয়ে যায় মুম্বই। এবার দুরন্ত সেটপিসের বুদ্ধিদীপ্ত বাস্তবায়ন। যার নাগাল লাল হলুদ রক্ষণের কাছে ছিল না। গোলদাতা হারনান সানটানা।
রক্ষণে অ্যান্টনি ফক্সের অনুপস্থিতি পূরন করার লোক নেই। আক্রমণভাগে বলবন্ত সিংয়ের উপস্থিতি জার্সি নম্বর দেখে বুঝতে হয়। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে জেজে বলের যোগানের অভাবে ভুগলেন।তাই চোট সারিয়ে মাঠে নেমে তিনি আশা জাগাতে পারবেন কি না তা বোঝা গেল না।


মাঝ মাঠে পিলকিংটন এবং মাঘোমা এবং মহম্মদ রফিক ছাড়া বাকিরা স্কিল এবং শারীরিকভাবে এতটাই পিছিয়ে যে কলকাতা লিগ এবং হয়তো আই লিগে চলতে পারেন। আইএসএলে নন। ফলে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল কে শক্তিশালী ইমারত নয়,দড়মাড় বেড়া দিয়ে গড়া কুটির লাগছে । যা মুম্বই সিটি এফসির আক্রমণের সামনে সব সময় কাঁপল।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.