কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: বল পায়ে প্রস্তুতি না নিয়েই সোমবার পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের ম্যাচে নামবে লাল-হলুদ শিবির৷ পাঁচ ম্যাচে 10 পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুই নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল । লাল-হলুদ কোচ অবশ্য পয়েন্ট নিয়ে ভাবছেন না । তাঁর চোখে শুধুই সোমবারের পিয়ারলেস ম্যাচ । রবিবার আলেয়ান্দ্রো মেনেন্ডেজ় গার্সিয়া দল নিয়ে মাঠমুখো হলেন না । যে আবাসনে লাল হলুদ ব্রিগেড থাকছে সেখানকার জিম, সুইমিংপুলে ফুটবলারদের নিয়ে গা ঘামালেন । পরে খাওয়ার টেবিলে হল পিয়ারলেসের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে কাটাছেঁড়া ।
এদিকে লিগের সূচি নিয়ে সরব হয়েছেন লাল-হলুদ কোচ । বৃষ্টি ভেজা কাদা মাঠে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে ৷ তিনি মনে করেন এই ধরনের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন, ফুটবল খেলা তো অন্য কথা । প্রসঙ্গত ফুটবলারদের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গল কোচ নতুন সূচি তৈরির বৈঠকে সাতদিনে একটি করে ম্যাচ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন । এই প্রস্তাব ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি IFA-র বৈঠকে পেশ করেছিলেন ৷ কিন্তু তা ধোপো টেকেনি ৷ কারণ, সব দল যদি সাত দিনে একটা ম্যাচ খেলে তা হলে পুজোর আগে কলকাতা লিগ শেষ করা সম্ভব হবে না । তাই নতুন সূচিতে দুটি ম্যাচের মধ্যে চারদিনের ব্যবধান রাখা হয়েছে ৷
ইতিমধ্যে ডুরান্ড ও কলকাতা লিগে মোট নয়টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল । নয় ম্যাচে দলের সব ফুটবলারকে সুযোগ দিয়েছেন আলেয়ান্দ্রো । আই লিগের আগে পুরো দল সাজিয়ে নিতে চান লাল-হলুদ কোচ ৷ সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে নতুন লেফট উইঙ্গার জুয়ান মেরে গঞ্জালেসকে অল্প সময়ের জন্যে ব্যবহার করেছিলেন আলেয়ান্দ্রো । অল্প সময় খেলেও নজর কেড়েছেন বাঁ পায়ের ফুটবলারটি ।
আলেয়ান্দ্রোর দাবি জুয়ান কে তিনি ভালোমত চেনেন ৷ তিনি জানান এবার সবাই জুয়ানের ম্যাজিক দেখতে পাবে ৷ তবে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে জুয়ান প্রথম একাদশে থাকবে কি না তা খোলসা করেনি লাল-হলুদ কোচ ৷ গত বছর গ্যালারিতে বসে ক্রোমার সামনে বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টাকে ব্যর্থ হতে দেখেছিলেন ৷ গত আই লিগে ক্রোমাকে সামলে দিলেও কাদা মাঠে সামলানো যে বড় চ্যালেঞ্জ তা ভালমতই বুঝতে পারছেন লাল-হলুদ কোচ । এদিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে সোমবারের ম্যাচ যে জিততেই হবে তা মুখে না বললেও মানছেন লাল-হলুদ কোচ ।
প্রতিপক্ষ পিয়ারলেস বড় দলের ভয়ের কারণ । কাদা মাঠে তাদের বিদেশি স্ট্রাইকার ক্রোমা যে কোনও ডিফেন্ডারের কাছে দুঃস্বপ্ন । গতবারের রানার্স জহর দাসের দল ইতিমধ্যে মোহনবাগানকে হারিয়েছে । তাই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ভালো কিছুর স্বপ্ন তাঁর চোখে । তবে মোহনবাগানকে তিন গোল দিলেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করেন জহর দাস । পরপর তিন ম্যাচ জিতে পিয়ারলেস শিবির বেশ আত্মবিশ্বাসী ।
আলোচনার কেন্দ্রে ক্রোমা থাকলেও জহর দাস বলছেন, " আমার দলে অ্যন্টনি উলফের মত বিশ্বকাপারও রয়েছে । এছাড়াও এডমন্ডও যে কোনও দিন ম্যাচের রঙ বদলাতে পারে ৷" দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে পঙ্কজ মৌলা, জিতেনের মত ময়দানের পোড়খাওয়া ফুটবলার জহর দাসের শক্তি ৷ সব মিলিয়ে জায়ান্ট কিলাররা তৈরি লাল-হলুদকে টেক্কা দিতে ৷