ভাস্কো, 12 ডিসেম্বর : প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠালেও তা ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। যার জেরে ষষ্ঠ ম্যাচে এসেও আইএসএলে জয় অধরা রইল লাল-হলুদের ৷ রবিবাসরীয় ভাস্কোর তিলক ময়দানে 37 মিনিটে টমিস্লাভ মার্সেলা গোল করে এগিয়ে দিলেও কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal shared a point with Kerala Blaster in their sixth match of hero ISL) ৷ এগিয়ে যাওয়ার সাত মিনিটের মধ্যে মার্সেলার সৌজন্যেই এদিন সমতায় ফেরে কেরালা ব্লাস্টার্স।
আলভারো ভাসকুয়েজের শট বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে টমিস্লাভ নিজেদের গোলে বল পাঠিয়ে দেন। দিনের শেষে ম্যাচের ফল 1-1। ফলে এক পয়েন্ট এলেও জয় অধরাই মানোলো দিয়াজের শিবিরে (after six matches SC East Bengal still winless in Hero ISL)। এদিন 4-5-1 ছকে দল সাজিয়েছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। পাঁচ ম্যাচে জয়ের দেখা না পাওয়া কোচের হাতে রক্ষণ সামলে দল নামানো ছাড়া অন্যপথ খোলাও ছিল না। পাশাপাশি চোটের তালিকায় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা। প্রতি-আক্রমণে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দেওয়ার ছকে লাল-হলুদ ফুটবলাররা রবিবার সফল। তবে প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে লাল-হলুদ কোচ এখনও দ্বিধায়।
বেশ কিছু তথাকথিত ভাল ফুটবলার দলে জায়গা পাচ্ছেন না কেন, সেটাও বড় রহস্য। রহস্য রাজু গায়কোয়াড়ের টানা খেলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও। যদিও এদিন তাঁর থ্রো থেকেই টমিস্লাভ গোল করেন। আবার রাজুর দুর্বল ক্লিয়ারেন্স থেকে গোলের অযাচিত সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ। তবে অগোছালো প্রতিপক্ষকে পেয়েও কেন কেরালা ব্লাস্টার্স সাহসী হল না সেটাও প্রশ্ন। অথচ মেন ইন ইয়েলো প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওড়িশা এফসিকে হারিয়েছে তারা। সেই জয়ের ঝাঁঝ উধাও এদিন।
আরও পড়ুন : ATK Mohun Bagan vs Chennaiyin FC : হারের হ্যাটট্রিক এড়িয়ে পয়েন্ট এল বাগানে
তাদের দু'টো গোল বাতিল হয় হ্যান্ডবল এবং ফাউলের কারণে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কেরালা ব্লাস্টার্স শিবির। তাহলে দু'দলের খেলায় নজরকাড়া পারফরম্যান্স কী কিছুই নেই? প্রাক্তন ফুটবলার তরুণ দে খুশি লাল-হলুদ জার্সিতে হীরার দ্যুতি এবং পেরোসেভিচের ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানা দেখে।