কলকাতা, ১৮ মার্চ : সুপার কাপ ও ISL খেলার আর্জি জানিয়ে কোয়েসকে চিঠি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সোমবার কার্যকরী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে এই মর্মে ক্লাবের তরফে বিনিয়োগকারী সংস্থার অফিসে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, "শুধু চিঠি নয়, আলোচনায় বসার কথাও বলা হয়েছে।"
সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল খেলবে কি না তা নিয়ে লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল চরমে। কার্যত দুভাগ হয়ে গিয়েছিল সদস্য সমর্থকরা। স্লোগান প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাবি তোলা সবই চলছিল। তারই মাঝে আজ দরজা আটকে শুরু হয় ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ক্লাবের। সুপার কাপে না খেলার ব্যাপারে ক্লাব জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন লাল হলুদ বিনিয়োগকারী সংস্থা। যার বিরোধীতা করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা। তাদের অবস্থানকে সমর্থন করে বার্তা পাঠিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনরা। সদস্য সমর্থকদের আবেগ প্রাক্তনদের আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে সুপার কাপে খেলার বিষয়টি বিবেচনার কথা চিঠিতে থাকছে। ফেডারেশন সোমবারের মধ্যে সুপার কাপে খেলার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। এই বৈঠকের পরে ইস্টবেঙ্গল ফেডারেশনের কাছে আটচল্লিশ ঘণ্টার সময় চেয়েছে।
লাল হলুদ কর্তারা জানিয়েছেন ফুটবল দলের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন বিনিয়োগকারী সংস্থার হাতে। দার্জিলিং গোল্ড কাপে অংশ নেওয়ার সময় পরিস্থিতি বুঝিয়ে বিনিয়োগকারী সংস্থার অনুমতি নিতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্তারা। আজকের বৈঠকের পরে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন পরিস্থিতি বুঝে হয়ত অবস্থান বদল হতে পারে। তবে এদিনের বৈঠকের পরে প্রমাণিত ক্লাব কর্তাদের হাতে ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও ক্ষমতা নেই। যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিলেও তা বিনিয়োগ সংস্থার দিকে তাকাতে হবে।
বিনিয়োগ সংস্থা ও ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্কের উচাটনে অনেকে মোহনবাগানের ইন্ধনের গন্ধ পাচ্ছে বলে ময়দানের খবর। সহ সচিব ও ফুটবল সচিবকে পাশে বসিয়ে লাল হলুদ শীর্ষকর্তা বলেছেন যে যার বাগান সামলালেই ভালো।
এদিকে আজ সুপার কাপ বয়কটের পথে হাঁটল রিয়াল কাশ্মীরও। এরফলে সুপার কাপের ভবিষ্যৎ আরও অস্তাচলে। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চিঠিতে বিনিয়োগ সংস্থার কর্তারা বোর্ড অব ডাইরেক্টরের বৈঠকে আগামী দিনের রূপরেখা তৈরি হবে।