কলকাতা, ৭ মার্চ : সকাল থেকেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের পরিবেশ হট্টমেলায় পরিণত। অনুশীলনের সময়ে হট্টগোল পছন্দ করেন না আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া। যদি কখনও অপেক্ষমান সমর্থকরা হইচই করেন তাহলে দলের সঙ্গে থাকা কর্তাদের দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বৃহস্পতিবার সদস্য সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের সামনে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ থমকে গেলেন। বললেন, "সমর্থকদের জন্যই আইলিগ জিততে চাই।"
গতকাল ক্লাবের তরফে আগামী দুটি মরশুমের জন্য তাঁকে রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জবাবে তিনি জানান, ক্লাবকে আগামী দুটি মরশুমে সাফল্য এনে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। আজ বললেন, "আমার আরও দু'বছরের জন্য এই ক্লাবে থাকার কারণ সদস্য সমর্থকদের আবেগ।"
শনিবার আইলিগের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি গোকুলাম FC। খেতাব জয়ের স্বপ্নপূরণ ছাড়া ভিন্ন ভাবনার স্থান নেই সাজঘরে। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে অনুশীলনে কড়া মেজাজে লাল হলুদ ফুটবলাররা। কোচের কড়া চোখের সামনে সকলেই অনুশীলনে অক্লান্ত।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাল হলুদ চাণক্য বলেন, "শনিবার আমরা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছি। বিশ্রাম পেয়ে দল এখন চাঙ্গা। আমরা সকলেই মোটিভেটেড ও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি।" কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বোরখা গোমেজ পেরেজ। তবে পাওয়া না পাওয়ার তালিকায় চোখ না রেখে নতুন স্ট্যান্সে গোকুলাম ম্যাচের চ্যালেঞ্জ সামলাতে দলকে তৈরি করছেন আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া।
বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে শনিবারের ম্যাচটি যে নিজের কোচিং কেরিয়ারের কঠিনতম ম্যাচ তা স্বীকার করেছেন লাল হলুদের হেডস্যার। বছরভর কঠিন পরিশ্রম। একঝাঁক ভালো ফুটবলারের একস্বপ্নে মনসংযোগ করার কারণেই আইলিগের স্বপ্ন এখনও জীবিত বলে বিশ্বাস করেন তিনি। খেতাবি লড়াইয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাই সিটি FC একই সময়ে খেলবে। ফলে তাদের পারফরম্যান্সে নজর রাখাই স্বাভাবিক। কিন্তু আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস জানিয়েছেন, তিনি শুধু নিজের ম্যাচেই চোখ রাখতে চান। সেজন্য শাস্তির কারণে জোবি জাস্টিনকে না পাওয়া ক্ষতি বললেও হাহুতাশ করতে রাজি নন। বদলে যা আছে তাই নিয়েই জয় দিয়ে শেষ করতে চান আইলিগ।