কলকাতা, 4 অগস্ট: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে 'খেলা হবে' দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমি চাই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলুক ৷" এরপরেই উদ্যোগী হয়েছে ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে কর্মকর্তারা ৷ চুক্তি জট খুলতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছেন তাঁরা ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চাইবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকের শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ক্লাবের প্রাক্তন সহসচিব শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত এই খবর জানিয়েছেন । তিনি বলেন, "চুক্তিতে চূড়ান্ত স্বাক্ষরের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই । মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । প্রাক্তন ফুটবলাররা আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছিলেন । কিন্তু সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে ছিলেন না । "
ইতিমধ্যেই লগ্নিকারীর তরফে নতুন চুক্তিপত্র ক্লাবে এসেছে । চুক্তির শর্তাবলীর সিংহভাগ মেনে নেওয়ার কথা প্রাক্তন সহ-সচিব জানিয়েছিলেন । লগ্নিকারীর তরফে ক্লাবের নতুন লোগোও পাঠানো হয়েছে । সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে চায় ক্লাব । এক্সিট ক্লজ নিয়ে যে ক্লাব কর্তাদের দ্বিধা রয়েছে তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তের কথায় পরিষ্কর । তিনি আরও বলেন, "লগ্নিকারীর সঙ্গে আমরা দীর্ঘকালীন সম্পর্ক চাই । সারাজীবন আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই । তার আগে পুরোটা বুঝে নেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য । পাশাপাশি আমরা চাই কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ডে ক্লাব খেলুক । তারজন্য দ্রুত দল গঠনের আর্জি জানাচ্ছি ৷ "
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী চান আইএসএল খেলুক ইস্টবেঙ্গল, চুক্তি জট মেটার ইঙ্গিত
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'খেলা দিবস' প্রকল্প চালু করার মঞ্চ থেকে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি বিতর্ক নিয়ে সরাসরি বার্তা দিয়েছিলেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "মোহনবাগান আইএসএলে খেলছে । চুক্তি ঠিক আছে । কোনও সমস্যা নেই । ইস্টবেঙ্গলের কি মন খারাপ ? চিন্তা নেই, হয়ে যাবে । একটু ঝগড়াঝাটি মনোমালিন্য হচ্ছে । কিন্তু আমি চাই ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলুক । এবার বলছি, একটু ছেড়ে খেলুন । সব হয়ে যাবে । পাঁচ বছরের জন্য, কেউ দায়িত্ব নেবেন, এটাও মুখের কথা নয় । 50 কোটি টাকা করে লাগে । তাঁদেরও অনেক বলে রাজি করানো হয়েছে । সদস্যদের নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তাও মিটে গিয়েছে । বাকি সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি । আমি আশাবাদী, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে । আমার কাছে সেইরকম তথ্য রয়েছে ৷" মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে কর্তারা মঙ্গলবার বিকেলে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেছিলেন ।