কলকাতা, 22 অগস্ট : মাথা বিকিয়ে ফুটবল সম্ভব নয় । লগ্নিকারীর যাবতীয় শর্তে ইস্টবেঙ্গল রাজি । কিন্তু স্বত্বাধিকার ছাড়ার প্রশ্নে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে লাল হলুদ কর্তারা। রবিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ক্লাবের প্রাক্তন সহসচিব বলেন, তাঁদের চেয়ার থাকল কি না, তাঁদের প্রবেশপথ বদলে গেল কি না তা নিয়ে সমস্যা নয় । সমস্যা স্বত্ব লিখে দেওয়া নিয়ে । যা আদতে ক্লাবের উপর দখলদারি মনে করছেন কর্তারা।
প্রাক্তন সহসচিব যখন চুক্তি বিতর্ক নিয়ে যুক্তি সাজাচ্ছেন তখন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ছাড়তে কতটা হয় তাঁরা জানেন । সবকিছু ছেড়েই এখানে এসে একটি পরিচয় গড়ে তুলেছেন । সেই পরিচয় সত্তা সঠিকভাবে রক্ষা হল কি না তা দেখে নেওয়া এবং দেখে রাখা তাঁদের কর্তব্য । তার এই "ছাড়তে জানা" কথাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতির পাল্টা কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে । তবে চুক্তি বিতর্কের শেষ লগ্নে ক্লাব বনাম লগ্নিকারীর দ্বৈরথ জমে উঠেছে ।
লগ্নিকারীর তরফে বলা হয়েছে, তারা আমন্ত্রিত হয়ে বিনিয়োগ করেছিল । ফলে বিনিয়োগের জায়গা ঘিরে পরিকল্পনা রয়েছে । যা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে পুনরায় বিনিয়োগ সম্ভব নয় । তাই ইস্টবেঙ্গলের এই মরসুমে খেলা নির্ভর করবে কর্তাদের পদক্ষেপের উপর ।
এই সংক্রান্ত খবর : মধ্যস্থতাকারীদের ফোনে চুক্তিজটের বৈঠক স্থগিত রাখল ইস্টবেঙ্গল
লগ্নিকারীর তরফে বিরক্তি এখন শেষ সীমায় পৌঁছেছে বলে বলা হচ্ছে । ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বলছে তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবকিছু দেখে নিয়ে পা ফেলতে চায় । "ইস্টবেঙ্গল ছাড়া ভারতীয় ফুটবল হবে না । আমাদের নিতে হবে । এই স্বাভিমান আমাদের আছে ৷" বলছেন শান্তিবাবু ।
টানাপোড়েনে লগ্নিকারী এবং ক্লাবের সম্পর্কের পারদ চড়ছে । পরিসমাপ্তি কোথায় তার উত্তর এখনও বিশ বাঁও জলে ।