কলকাতা, 22 অগাস্ট : গোকুলাম FC-র কাছে টাইব্রেকারে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল ৷ তবে দল হারলেও ফুটবলারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া ।
গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে গোকুলাম FC এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয় । নির্ধারিত নব্বই মিনিট 1-1গোলে শেষ হয় । অতিরিক্ত সময়ে স্কোরশিটে কোনও বদল হয়নি । এরপর টাইব্রেকারে উবেদের দুরন্ত গোলরক্ষায় ভর দিয়ে 3-2 গোলে জয়ী হয় গোকুলাম FC । প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল কেরলের এই ক্লাবদল । তবে এখনও কাজ যে শেষ হয়ে যায়নি তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন ম্যাচের সেরা উবেদ ৷ বলেন, ফাইনালে ওঠার আনন্দ থাকলেও কাজ শেষ হয়নি । ট্রফি জিতে বানভাসি কেরালার মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চান তাঁরা ।
অন্যদিকে, ম্যাচ হারলেও দলের পারফরমেন্সে খুশি লাল হলুদ কোচ । গার্সিয়া বক্তব্য, 120 মিনিটের ম্যাচে ফুটবলাররা যেভাবে শেষ আধঘণ্টা লড়াই করেছে তাতে তিনি গর্বিত । দলের প্রশংসা করলেও রেফারিং নিয়ে সরব হন । বক্সের মধ্যে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি দেওয়া ছাড়াও মেহতাব সিংকে লাল কার্ড দেখান রেফারি । গার্সিয়ার মতে, একই দোষে দু'বার শাস্তি হতে পারে না । তাছাড়া FIFA-র নিয়ম অনুসারে, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলের যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়নি। ফলে তা নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন লাল হলুদ কোচ ।
গতকাল খেলা শুরুর 18 মিনিটে সামাদ আলি মল্লিকের দূরপাল্লার শট থেকে গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । এসময় প্রত্যাশিত ভাবে রাশ ধরে রেখেছিল তারা । একের পর এক আক্রমণ হেনে গোকুলাম FC-র ডিফেন্স ভাঙার একটা চেষ্টা ছিল । কিন্তু লাল হলুদ মাঝমাঠ সময় যত গড়িয়েছে ততই ছন্দ হারিয়েছে । বিশেষ করে লালরিনডিকা রালতে ডুরান্ড সেমিফাইনাল দ্রুত ভুলতে চাইবেন । টাইব্রেকারে বল পোস্টে মারলেন । ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি বোঝা গেল জার্সির নম্বরে । শুধু তিনি নন, ব্র্যান্ডনও গতকাল খেই হারান । দলের মন্দের ভালো ফুটবলে কিছুটা নজর কাড়লেন পিন্টু মাহাত ও কোলাডো । কিন্তু বল সরবরাহের অভাব তাঁদের ভয়ংকর হতে দেয়নি ।
গ্রুপ পর্বে দাপুটে ফুটবল খেললেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোকুলামও ছিল ছন্নছাড়া । জোড়া হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বের অধিকারী মার্কাস বোধহয় তাঁর স্কোরিং বুটটা বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলেন । ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে মার্তি ক্রিসপি ও মেহতাব সিং নির্ধারিত সময়ে বিশেষ অস্বস্তিতে ছিলেন না মার্কোসের ছন্নছাড়া ফুটবলের কারণে । 92 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়া তিনি নিষ্প্রভ । তবে ওই গোলের ক্ষেত্রে মেহতাব সিংকে দায়ি করা যায় ।
গোকুলামের আরেক স্ট্রাইকার হেনরি কিসিয়াকাও একই রকম বিবর্ণ ছিলেন । তিনি কলকাতার মাঠ চেনেন । ইস্টবেঙ্গল তার কাছে অপরিচিত নয় । চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন ।
টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের লালরিনডিকা রালতে, কোলাডো, নওরেম গোল করতে ব্যর্থ । গোকুলামের হয়ে গোল করেন ব্রুনো দানিস, জেস্টিন জর্জ, লারোমাইয়ার ।