ETV Bharat / sports

ডুরান্ড থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের, রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা গার্সিয়ার - ইস্টবেঙ্গল

পেনাল্টি শুটআউটে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল ৷ আর সেমিফাইনালে হেরে নিয়মের সমালোচনা করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া ৷

জয়ের পর উচ্ছ্বাস গোকুলামের ফুটবলারদের
author img

By

Published : Aug 22, 2019, 5:38 AM IST

কলকাতা, 22 অগাস্ট : গোকুলাম FC-র কাছে টাইব্রেকারে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল ৷ তবে দল হারলেও ফুটবলারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া ।

গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে গোকুলাম FC এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয় । নির্ধারিত নব্বই মিনিট 1-1গোলে শেষ হয় । অতিরিক্ত সময়ে স্কোরশিটে কোনও বদল হয়নি । এরপর টাইব্রেকারে উবেদের দুরন্ত গোলরক্ষায় ভর দিয়ে 3-2 গোলে জয়ী হয় গোকুলাম FC । প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল কেরলের এই ক্লাবদল । তবে এখনও কাজ যে শেষ হয়ে যায়নি তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন ম্যাচের সেরা উবেদ ৷ বলেন, ফাইনালে ওঠার আনন্দ থাকলেও কাজ শেষ হয়নি । ট্রফি জিতে বানভাসি কেরালার মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চান তাঁরা ।

অন্যদিকে, ম্যাচ হারলেও দলের পারফরমেন্সে খুশি লাল হলুদ কোচ । গার্সিয়া বক্তব্য, 120 মিনিটের ম্যাচে ফুটবলাররা যেভাবে শেষ আধঘণ্টা লড়াই করেছে তাতে তিনি গর্বিত । দলের প্রশংসা করলেও রেফারিং নিয়ে সরব হন । বক্সের মধ্যে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি দেওয়া ছাড়াও মেহতাব সিংকে লাল কার্ড দেখান রেফারি । গার্সিয়ার মতে, একই দোষে দু'বার শাস্তি হতে পারে না । তাছাড়া FIFA-র নিয়ম অনুসারে, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলের যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়নি। ফলে তা নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন লাল হলুদ কোচ ।

Durand cup
গোলের পর উচ্ছ্বাস গোকুলামের ফুটবলারদের

গতকাল খেলা শুরুর 18 মিনিটে সামাদ আলি মল্লিকের দূরপাল্লার শট থেকে গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । এসময় প্রত্যাশিত ভাবে রাশ ধরে রেখেছিল তারা । একের পর এক আক্রমণ হেনে গোকুলাম FC-র ডিফেন্স ভাঙার একটা চেষ্টা ছিল । কিন্তু লাল হলুদ মাঝমাঠ সময় যত গড়িয়েছে ততই ছন্দ হারিয়েছে । বিশেষ করে লালরিনডিকা রালতে ডুরান্ড সেমিফাইনাল দ্রুত ভুলতে চাইবেন । টাইব্রেকারে বল পোস্টে মারলেন । ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি বোঝা গেল জার্সির নম্বরে । শুধু তিনি নন, ব্র্যান্ডনও গতকাল খেই হারান । দলের মন্দের ভালো ফুটবলে কিছুটা নজর কাড়লেন পিন্টু মাহাত ও কোলাডো । কিন্তু বল সরবরাহের অভাব তাঁদের ভয়ংকর হতে দেয়নি ।


গ্রুপ পর্বে দাপুটে ফুটবল খেললেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোকুলামও ছিল ছন্নছাড়া । জোড়া হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বের অধিকারী মার্কাস বোধহয় তাঁর স্কোরিং বুটটা বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলেন । ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে মার্তি ক্রিসপি ও মেহতাব সিং নির্ধারিত সময়ে বিশেষ অস্বস্তিতে ছিলেন না মার্কোসের ছন্নছাড়া ফুটবলের কারণে । 92 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়া তিনি নিষ্প্রভ । তবে ওই গোলের ক্ষেত্রে মেহতাব সিংকে দায়ি করা যায় ।

গোকুলামের আরেক স্ট্রাইকার হেনরি কিসিয়াকাও একই রকম বিবর্ণ ছিলেন । তিনি কলকাতার মাঠ চেনেন । ইস্টবেঙ্গল তার কাছে অপরিচিত নয় । চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন ।

টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের লালরিনডিকা রালতে, কোলাডো, নওরেম গোল করতে ব্যর্থ । গোকুলামের হয়ে গোল করেন ব্রুনো দানিস, জেস্টিন জর্জ, লারোমাইয়ার ।

কলকাতা, 22 অগাস্ট : গোকুলাম FC-র কাছে টাইব্রেকারে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল ৷ তবে দল হারলেও ফুটবলারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া ।

গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে গোকুলাম FC এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয় । নির্ধারিত নব্বই মিনিট 1-1গোলে শেষ হয় । অতিরিক্ত সময়ে স্কোরশিটে কোনও বদল হয়নি । এরপর টাইব্রেকারে উবেদের দুরন্ত গোলরক্ষায় ভর দিয়ে 3-2 গোলে জয়ী হয় গোকুলাম FC । প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল কেরলের এই ক্লাবদল । তবে এখনও কাজ যে শেষ হয়ে যায়নি তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন ম্যাচের সেরা উবেদ ৷ বলেন, ফাইনালে ওঠার আনন্দ থাকলেও কাজ শেষ হয়নি । ট্রফি জিতে বানভাসি কেরালার মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চান তাঁরা ।

অন্যদিকে, ম্যাচ হারলেও দলের পারফরমেন্সে খুশি লাল হলুদ কোচ । গার্সিয়া বক্তব্য, 120 মিনিটের ম্যাচে ফুটবলাররা যেভাবে শেষ আধঘণ্টা লড়াই করেছে তাতে তিনি গর্বিত । দলের প্রশংসা করলেও রেফারিং নিয়ে সরব হন । বক্সের মধ্যে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি দেওয়া ছাড়াও মেহতাব সিংকে লাল কার্ড দেখান রেফারি । গার্সিয়ার মতে, একই দোষে দু'বার শাস্তি হতে পারে না । তাছাড়া FIFA-র নিয়ম অনুসারে, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলের যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়নি। ফলে তা নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন লাল হলুদ কোচ ।

Durand cup
গোলের পর উচ্ছ্বাস গোকুলামের ফুটবলারদের

গতকাল খেলা শুরুর 18 মিনিটে সামাদ আলি মল্লিকের দূরপাল্লার শট থেকে গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । এসময় প্রত্যাশিত ভাবে রাশ ধরে রেখেছিল তারা । একের পর এক আক্রমণ হেনে গোকুলাম FC-র ডিফেন্স ভাঙার একটা চেষ্টা ছিল । কিন্তু লাল হলুদ মাঝমাঠ সময় যত গড়িয়েছে ততই ছন্দ হারিয়েছে । বিশেষ করে লালরিনডিকা রালতে ডুরান্ড সেমিফাইনাল দ্রুত ভুলতে চাইবেন । টাইব্রেকারে বল পোস্টে মারলেন । ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি বোঝা গেল জার্সির নম্বরে । শুধু তিনি নন, ব্র্যান্ডনও গতকাল খেই হারান । দলের মন্দের ভালো ফুটবলে কিছুটা নজর কাড়লেন পিন্টু মাহাত ও কোলাডো । কিন্তু বল সরবরাহের অভাব তাঁদের ভয়ংকর হতে দেয়নি ।


গ্রুপ পর্বে দাপুটে ফুটবল খেললেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোকুলামও ছিল ছন্নছাড়া । জোড়া হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বের অধিকারী মার্কাস বোধহয় তাঁর স্কোরিং বুটটা বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলেন । ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে মার্তি ক্রিসপি ও মেহতাব সিং নির্ধারিত সময়ে বিশেষ অস্বস্তিতে ছিলেন না মার্কোসের ছন্নছাড়া ফুটবলের কারণে । 92 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়া তিনি নিষ্প্রভ । তবে ওই গোলের ক্ষেত্রে মেহতাব সিংকে দায়ি করা যায় ।

গোকুলামের আরেক স্ট্রাইকার হেনরি কিসিয়াকাও একই রকম বিবর্ণ ছিলেন । তিনি কলকাতার মাঠ চেনেন । ইস্টবেঙ্গল তার কাছে অপরিচিত নয় । চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন ।

টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের লালরিনডিকা রালতে, কোলাডো, নওরেম গোল করতে ব্যর্থ । গোকুলামের হয়ে গোল করেন ব্রুনো দানিস, জেস্টিন জর্জ, লারোমাইয়ার ।

Intro:দল হারলেও ফুটবলারদের কাঠগড়ায় দাড় করাতে নারাজ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে গোকুলাম এফসির কাছে হেরে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের। নির্ধারিত নব্বই মিনিট 1-1গোলে শেষ হয়।অতিরিক্ত সময়ে স্কোরশিট এ কোনও বদল হয়নি। টাইব্রেকারে উবেদের দুরন্ত গোলরক্ষা য় ভর দিয়ে 3-2 গোলে জয়ী গোকুলাম এফসি। প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালের ওঠার আনন্দ কেরলের ক্লাব দলটি র। ম্যাচের সেরা উবেদ বলছেন ফাইনালে ওঠার আনন্দ থাকলেও কাজ শেষ হয়নি। ট্রফি জিতে বানভাসি কেরালার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে চান তারা।
ম্যাচ হারলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি লাল হলুদ কোচ। তার মতে 120মিনিটের ম্যাচে ফুটবলার রা যেভাবে শেষ আধঘন্টা লড়াই করেছে তাতে গর্বিত। দলের প্রশংসা করলেও রেফারিং নিয়ে সরব আলেয়ান্দ্রো। বক্সের মধ্যে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি দেওয়া ছাড়াও মেহতাব সিংকে লাল কার্ড দেখান। তার মতে একই দোষে দুবার শাস্তি হতে পারে না। তাছাড়া ফিফা নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলের যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়নি। ফলে তা নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ আলেয়ান্দ্রোর।
18মিনিটে সামাদ আলি মল্লিকের দূরপাল্লার শটে বিশ্বমানের গোল ইস্টবেঙ্গলের। এসময় প্রত্যাশিত ভাবে রাশ ধরে রেখে ছিল তারা। একের পর এক আক্রমন হেনে গোকুলাম এফসির ডিফেন্স ভাঙার একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু লাল হলুদ মাঝমাঠ সময় যত গড়িয়েছে ততই ছন্দ হারিয়েছে। বিশেষ করে লালরিনডিকা রালতে ডুরান্ড সেমিফাইনাল দ্রুত ভুলতে চাইবেন। টাইব্রেকারে বল পোস্টে মারলেন। ম্যাচে তার উপস্থিতি বোঝা গেল জার্সির নম্বরে। শুধু তিনি নন একই দোষে দুষ্ট ব্র্যান্ডন। দলের মন্দের ভালো ফুটবলে কিছুটা নজর কাড়লেন পিন্টু মাহাতা ও কোলাডো। কিন্তু বল সরবরাহের অভাব তাদের ভয়ংকর হতে দেয়নি।
গ্রুপ পর্বে দাপুটে ফুটবল খেললেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোকুলাম ছন্নছাড়া। জোড়া হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বের অধিকারী মার্কাস বোধহয় তার স্কোরিং বুটটা বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলেন। মার্তি ক্রিসপি ও মেহতাব সিং নির্ধারিত সময়ে বিশেষ অস্বস্তিতে ছিলেন না মার্কোসের ছন্নছাড়া ফুটবলের কারনে। 92মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়া তিনি নিষ্প্রভ। এক্ষেত্রে মেহতাব সিং দোষী।
গোকুলামের আরেক স্ট্রাইকার হেনরি কিসিয়াকাও একই রকম বিবর্ন। তিনি কলকাতার মাঠ চেনেন। ইস্টবেঙ্গল তার কাছে অপরিচিত নয়। চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ।
টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের লালরিনডিকা রালতে, কোলাডো, নওরেম গোল করতে ব্যর্থ। গোকুলামের হয়ে গোল ব্রুনো দানিস, জেস্টিন জর্জ, লারোমাইয়ার।




Body:ইস্টবেঙ্গল


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.