ETV Bharat / sports

ISL-এ কোরোনার থাবা, ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর দাবি, কমতে পারে ফুটবলারদের মাইনেও - আইএসএল

কোরোনার প্রভাব কি পড়তে চলেছে এবারের ISL-এ ? সম্ভবত নভেম্বরে শুরু হতে চলেছে এবছরের ISL-এ ৷

fee_may_reduce
ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর দাবি, কমতে ফুটবলারদের মাইনেও
author img

By

Published : Jul 31, 2020, 3:33 PM IST

Updated : Jul 31, 2020, 3:54 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই : কোরোনা পরিস্থিতিতে বেহাল অর্থনীতি । চারিদিকে খরচে রাশ কমানোর পরিকল্পনা । এবার তার আঁচ লাগতে চলেছে ISL-এ । সম্ভবত নভেম্বরে শুরু হতে চলেছে এ বছরের ISL ৷ চলবে মার্চ মাস পর্যন্ত ৷ অগাস্টের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত হবে ক্রীড়াসূচি । তার আগে 6 কিংবা 7 অগাস্ট ISL কোথায় হবে তা নির্ধারিত হবে । এ বছর কোরোনার কারণে একটি রাজ্যে ISL আয়োজিত হবে ।

সেই ভাবনা থেকে গোয়া কিংবা কেরালায় আয়োজিত হতে পারে ISL । একটি রাজ্যে ISL আয়োজনের অর্থ দলগুলোর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার খরচ নেই । তবে, এবার ফুটবলারদের নিভৃতবাসে থাকার খরচ, জৈব সুরক্ষা আয়োজনের খরচ এবং অন্তত একমাস আগে আয়োজক রাজ্যে চলে যেতে হবে । ফলে ছয় মাস ধরে ফুটবলারদের হোটেলে রাখার খরচ বইতে হবে দলগুলোকে । বাড়তি খরচের বোঝা যাতে আরও জাঁকিয়ে না বসে সেই কারণেই ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর আবেদন করতে চলেছে দলগুলো । বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে ISL এর বেশিরভাগ দলই প্রায় পঁচিশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি বহন করে চলেছে । কোরোনার কারণে এই বছর অবস্থা আরও কঠিন হবে । সাধারণত সম্প্রচার স্বত্ব, স্পনসরের টাকা থেকে দলগুলো প্রায় 10কোটি টাকা পেয়ে থাকে । এই বছর কোরোনার কারণে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা হবে । ফলে টিকিট বিক্রির টাকা পাওয়া যাবে না । এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডিং এর থেকে অর্থ উপার্জন হওয়ার সুযোগ থাকে । এবার সেটাও পাওয়ার সম্ভাবনা কম । এই অবস্থায় 15 কোটি টাকা ফ্রাঞ্চাইজি ফি দেওয়ার দায় দলগুলোকে কঠিন দিকে ঠেলে দিয়েছে । অবস্থা সামাল দিতে তাঁরা ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর আবেদন করতে চলেছে । এই ব্যাপারে FSDL এর সঙ্গে অগাস্ট মাসের বৈঠকে আলোচনা হবে । সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ।

ATK মোহনবাগানের বোর্ড অব ডাইরেক্টরের সদস্য উৎসব পারেখ বলেন, "এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নেবেন । তার পরেই বিষয়টি সামনে আসবে ৷" ইতিমধ্যেই অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজির তরফে ফি কমানোর বিষয়টি আলোচনা শুরু হয়েছে । জামশেদপুর FC এর CEO মুকুল চৌধুরি বলেন, "এই বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলার সময় আসেনি । কারণ, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ISL কমিটি । তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরেই ব্যাপারটি বলা যাবে । তবে হ্যাঁ একটা আলোচনা নিজেদের মধ্যে হয়েছে । আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলব । তারপর দেখা যাক । আমরা যেকোনও মূল্যে ISL-এ বল গড়াতে চাইছি । আগে বিয়ে হবে সেটা নিশ্চিত হোক । তারপর সোনা না রূপোর গহনা দেওয়া হবে সেটা ঠিক হবে । ISL -এর পারদ উঠতে থাকলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে । অনেক সমস্যার সুরাহা হবে বা পথ পাওয়া যাবে ।"

এখানেই শেষ নয়,ফুটবলারদের বেতন কমানোর ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে । এই ব্যাপারে ATK-মোহনবাগান কথা শুরু করেছে বলে খবর । যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটবলাররা এখনই মুখ না খুলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে চান । জামশেদপুর FC-এর CEO বলেন, "আপনি আপনার পকেটে কত টাকা আছে সেই অনুসারে বাজার করবেন । ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করার সময় প্রস্তাব সেভাবে দেওয়া হবে । কোনও ফুটবলার প্রস্তাব পাওয়ার পরে ভেবে দেখবে সে কোথায় কতটা খেলার সুযোগ পেতে পারে । আপনাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে । এখন অনেক কিছু আমাদের মানিয়ে নিতে হচ্ছে ।"

কলকাতা, 31 জুলাই : কোরোনা পরিস্থিতিতে বেহাল অর্থনীতি । চারিদিকে খরচে রাশ কমানোর পরিকল্পনা । এবার তার আঁচ লাগতে চলেছে ISL-এ । সম্ভবত নভেম্বরে শুরু হতে চলেছে এ বছরের ISL ৷ চলবে মার্চ মাস পর্যন্ত ৷ অগাস্টের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত হবে ক্রীড়াসূচি । তার আগে 6 কিংবা 7 অগাস্ট ISL কোথায় হবে তা নির্ধারিত হবে । এ বছর কোরোনার কারণে একটি রাজ্যে ISL আয়োজিত হবে ।

সেই ভাবনা থেকে গোয়া কিংবা কেরালায় আয়োজিত হতে পারে ISL । একটি রাজ্যে ISL আয়োজনের অর্থ দলগুলোর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার খরচ নেই । তবে, এবার ফুটবলারদের নিভৃতবাসে থাকার খরচ, জৈব সুরক্ষা আয়োজনের খরচ এবং অন্তত একমাস আগে আয়োজক রাজ্যে চলে যেতে হবে । ফলে ছয় মাস ধরে ফুটবলারদের হোটেলে রাখার খরচ বইতে হবে দলগুলোকে । বাড়তি খরচের বোঝা যাতে আরও জাঁকিয়ে না বসে সেই কারণেই ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর আবেদন করতে চলেছে দলগুলো । বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে ISL এর বেশিরভাগ দলই প্রায় পঁচিশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি বহন করে চলেছে । কোরোনার কারণে এই বছর অবস্থা আরও কঠিন হবে । সাধারণত সম্প্রচার স্বত্ব, স্পনসরের টাকা থেকে দলগুলো প্রায় 10কোটি টাকা পেয়ে থাকে । এই বছর কোরোনার কারণে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা হবে । ফলে টিকিট বিক্রির টাকা পাওয়া যাবে না । এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডিং এর থেকে অর্থ উপার্জন হওয়ার সুযোগ থাকে । এবার সেটাও পাওয়ার সম্ভাবনা কম । এই অবস্থায় 15 কোটি টাকা ফ্রাঞ্চাইজি ফি দেওয়ার দায় দলগুলোকে কঠিন দিকে ঠেলে দিয়েছে । অবস্থা সামাল দিতে তাঁরা ফ্রাঞ্চাইজির ফি কমানোর আবেদন করতে চলেছে । এই ব্যাপারে FSDL এর সঙ্গে অগাস্ট মাসের বৈঠকে আলোচনা হবে । সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ।

ATK মোহনবাগানের বোর্ড অব ডাইরেক্টরের সদস্য উৎসব পারেখ বলেন, "এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নেবেন । তার পরেই বিষয়টি সামনে আসবে ৷" ইতিমধ্যেই অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজির তরফে ফি কমানোর বিষয়টি আলোচনা শুরু হয়েছে । জামশেদপুর FC এর CEO মুকুল চৌধুরি বলেন, "এই বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলার সময় আসেনি । কারণ, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ISL কমিটি । তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরেই ব্যাপারটি বলা যাবে । তবে হ্যাঁ একটা আলোচনা নিজেদের মধ্যে হয়েছে । আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলব । তারপর দেখা যাক । আমরা যেকোনও মূল্যে ISL-এ বল গড়াতে চাইছি । আগে বিয়ে হবে সেটা নিশ্চিত হোক । তারপর সোনা না রূপোর গহনা দেওয়া হবে সেটা ঠিক হবে । ISL -এর পারদ উঠতে থাকলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে । অনেক সমস্যার সুরাহা হবে বা পথ পাওয়া যাবে ।"

এখানেই শেষ নয়,ফুটবলারদের বেতন কমানোর ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে । এই ব্যাপারে ATK-মোহনবাগান কথা শুরু করেছে বলে খবর । যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটবলাররা এখনই মুখ না খুলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে চান । জামশেদপুর FC-এর CEO বলেন, "আপনি আপনার পকেটে কত টাকা আছে সেই অনুসারে বাজার করবেন । ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করার সময় প্রস্তাব সেভাবে দেওয়া হবে । কোনও ফুটবলার প্রস্তাব পাওয়ার পরে ভেবে দেখবে সে কোথায় কতটা খেলার সুযোগ পেতে পারে । আপনাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে । এখন অনেক কিছু আমাদের মানিয়ে নিতে হচ্ছে ।"

Last Updated : Jul 31, 2020, 3:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.