কারশি (উজবেকিস্তান), 21 সেপ্টেম্বর : পজেশনাল ফুটবলের চুড়ান্ত পাঠ পড়িয়ে মিশন উজবেকিস্তানের প্রস্তুতি শেষ করল এটিকে মোহনবাগান। বুধবার কারশি স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা।
তাসখন্দ থেকে পাঁচশো কিলোমিটার দূরে কারশি স্টেডিয়ামে খেলা সন্ধ্যায়। দুবাইয়ের তুলনায় উজবেকিস্তানের আবহাওয়া ঠাণ্ডা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনি কাউকো-সহ এটিকে মোহনবাগানের একাধিক ফুটবলার ৷ প্রায় এক ঘণ্টার অনুশীলন শেষে হাবাস তাঁর পরিকল্পনার কথা রয় কৃষ্ণদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রতিপক্ষ এফসি নাসাফ ধারেভারে এগিয়ে। সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ 'হেডস্যার' ব্যক্তিগত পারফরম্য়ান্সের চেয়ে দলগত সংহতিতে বিশ্বাস করেন। আক্রমণ এবং রক্ষণের ভারসাম্যের কথা বারবার বলে থাকেন।
উজবেকিস্তানের মাটিতে একই দর্শনে মাঠে নামছেন হাবাস। ম্যাচের 24 ঘণ্টা আগে তিনি জানান, কোনও কোচ ম্যাচ জেতার আগে জেতার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দুবাইয়ে তাদের অনুশীলন ভাল হয়েছে ৷ তাই জয় পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও তাদের পরাজিত করার শক্তি তার দলের রয়েছে বলে জানান হাবাস। সবুজ-মেরুন কোচ বলেন, "নাসাফ প্রতিযোগিতামুলক টুর্নামেন্টে ভাল পারফরম্যান্স করে ৷ প্রতিপক্ষ হিসেবে অত্যন্ত শক্তিশালী ৷ আমাদের মতই ওদের দলেও ভাল ফুটবলার রয়েছে যারা যে কোনও সময়ে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।"
উইং প্লে এবং সেটপিসে বাজিমাত করতে চায় এটিকে মোহনবাগান। হাবাস অবশ্য বিষয়টিকে সেইভাবে দেখতে নারাজ। তিনি বলেন, "কেবলমাত্র উইং প্লে নয়, অনেক কিছু রয়েছে ৷ আমাদের প্রতিপক্ষের গোলমুখ খোলার চেষ্টা করতে হবে ৷ একই সঙ্গে নিজেদের রক্ষণও অটুট রাখতে হবে ৷ সাফল্যের জন্য যা দরকার সেটাই আমরা করব।" সবুজ মেরুন সমর্থকদের কাছে বুধবারের ম্যাচ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ ৷ প্রত্যাশার পারদ স্বাভাবিকভাবেই চড়া। হাবাস মেজাজটা বুঝতে পেরে নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : দু’ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছলেন প্রীতমরা, তাসখন্দের ঠান্ডায় খুশি এটিকে-মোহনবাগান
ভিসা সমস্যায় হুগো বুমোস উজবেকিস্তানে যেতে পারেননি ৷ তবে ইউরো খেলে সবুজ-মেরুনে যোগ দেওয়া ফিনল্যান্ডের মিডফিল্ডার জনি কাউকো রয়েছেন। সুস্থ হয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রবীর দাস ও সোসাইরাজও । তাঁদের যোগ দেওয়ায় দলের শক্তি বেড়েছে বলে মনে করেন হাবাস। দলের সঙ্গে জনি কাউকো মানিয়ে নিয়েছে, যা স্বস্তির। তবে দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না-থাকায় কাউকোদের কতক্ষণ মাঠে রাখা সম্ভব হবে, তা বুঝতে পারছেন না সবুজ-মেরুন কোচ। তাই প্রথম একাদশ বাছার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখছেন হাবাস।