কলকাতা, 29 মে : ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যদি চায় বৈঠক করতে আপত্তি নেই বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হরিমোহন বাঙ্গুরের । তবে তার আগে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে । দুবাই থেকে এভাবেই চিঠি বিতর্ক নিয়ে নিজের মত জানালেন বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে আলোচনার দরজা খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাঙ্গুর গোষ্ঠী । প্রত্যুত্তরে ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, তারা আলোচনার টেবিলে বসে দুপক্ষের সমস্যার হাল খুঁজতে চান । বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কর্ণধার শনিবার বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, "মুখোমুখি বসে আলোচনা এখন সম্ভব নয় । কারণ আমি দেশে নেই । কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই । তবে ভার্চুয়াল বৈঠক চাইলে হতেই পারে । তার আগে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করতে হবে । আলোচনার টেবিলে সমস্যার কথা শুনে যতদূর মেটানো যায় তার চেষ্টা করব । তবে সবার আগে স্বাক্ষর করতে হবে । কারণ হাতে সময় নেই ৷’’
আরও পড়ুন : মোহনবাগানকে দেখে ইস্টবেঙ্গলের শেখা উচিত, মত হরিমোহন বাঙ্গুরের
এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অবস্থান কী হবে সেটাই দেখার । শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, "আমরা আগামীকাল চিঠি দেব । আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার ৷ টার্মশিট এবং চূড়ান্ত চুক্তি পত্রের মধ্যে অনেক জায়গায় অসঙ্গতি রয়েছে । আমরা আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে চাই । শ্রী হরিমোহন বাঙ্গুরকে বলব আলোচনার টেবিলে বসতে । তিনি যদি না পারেন তাহলে প্রতিনিধি পাঠান । আমাদের তরফে কোনও সমস্যা নেই ।"
চিঠি এবং পাল্টা চিঠিতে জমে উঠেছে স্বাক্ষর পর্ব । বিনিয়োগ সংস্থা নিজেদের অবস্থানে অনড় । অন্যদিকে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়ে গেলে পুরোটাই বিনিয়োগ গোষ্ঠীর হাতে চলে যাবে তা বুঝতে পারছেন ক্লাব কর্তারা । ফলে চাপের খেলা বজায় রাখার চেষ্টার কোনও মূল্য থাকবে না । এদিকে সদস্য সমর্থকদের চাপ বাড়ছে । স্বাক্ষর করা নিয়ে তারাও ভিন্ন মত পোষণ করছেন । বৃহত্তর অংশ স্বাক্ষরের পক্ষে থাকলেও আড়ালে ক্লাব রাজনীতির জটিল স্রোত ফল্গুধারার মত বইছে বলে মনে করা হচ্ছে । ফলে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কোন পথে তার উত্তর সময় ছাড়া কারও কাছে নেই ।