কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : মিশন উজবেকিস্তানের সাফল্য পেতে কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাসে আস্থা রাখছেন অমরিন্দর সিং। মুম্বই সিটি এফসি থেকে চলতি মরসুমে এটিকে মোহনবাগানে সই করেছেন তিনি। সবুজ-মেরুন তিনকাঠি রক্ষার গুরুদায়িত্ব এখন অমরিন্দরের ওপর। ইতিমধ্যে এএফসি কাপের প্রথম পর্বে মলদ্বীপে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড দুরন্ত সাফল্য পেয়েছে।
তবে এএফসি কাপে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফ। মলদ্বীপের তুলনায় উজবেকিস্তানে লড়াই কঠিন। পরিস্থিতি কঠিন মেনে অমরিন্দর বলেন, "তারা প্রতিপক্ষ দলের নাম দেখে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন না। পরিশ্রম করি। নাসাফের বিরুদ্ধে সেই মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে।" দুবাইয়ের উন্নত পরিকাঠামোর সুবিধার কথা উঠে এল সবুজ-মেরুন গোলরক্ষকের কথায়। যা মিশন উজবেকিস্তানে সফল হতে কাজে লাগবে বলে মনে করেন হাবাসের এই সেনানির।
আরও পড়ুন: ভিসা সমস্যায় নেই বুমোস, জনি কাউকোকে রেখে দল ঘোষণা হাবাসের
বেঙ্গালেরু এফসির জার্সিতে এএফসি কাপ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আক্ষেপ রয়েছে তাঁর ৷ এবার সেই স্বপ্ন ছুঁতে চান অমরিন্দর। আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসির সাফল্যের পিছনে সেই দলের ডিফেন্ডারদের বড় ভূমিকা ছিল বলে মানেন তিনি । এবার তিরি, ম্যাকহিউজ, প্রীতম কোটাল, সুমিত রাঠিদের সঙ্গে রক্ষণ সামলানোর চ্যালেঞ্জ। অমরিন্দর বলেন, "গোল হজম যাতে না-করতে হয় সে ব্যাপারে ডিফেন্ডারদের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়ে তোলায় লক্ষ্য।" পাশাপাশি আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন এই পঞ্জাব তনয়।
এএফসি কাপ ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের বাইশ জনের দল এইরকম ৷ দলে 3 জন গোলকিপার রয়েছেন ৷ তাঁরা হলেন, অমরিন্দর সিং, অভিলাষ পাল, আরশ আনোয়ার ৷ ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল, আশুতোষ মেহতা, কার্ল ম্যাকহিউ, শুভাশিস বসু এবং সুমিত রাঠি, মিডফিল্ডার জনি কাউকো, লেনি রডরিগেজ, লিস্টন কোলাসো, প্রবীর দাস, সোসাইরাজ, বিদ্যানন্দ সিং, এগসন সিং, শেখ সাহিল, রবি বাহাদুর রানা এবং অভিষেক ধনঞ্জয় ৷ ফরওয়ার্ডে রয়েছেন রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিং, কিয়ান নাসিরি ৷