কলকাতা, 1 নভেম্বর: ভরসার বোলিংই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy 2022) বাংলার পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াল ৷ 4 উইকেটে বাংলাকে হারিয়ে হিমাচল প্রদেশ মুস্তাক আলি টি-20 টুর্নামেন্টের শেষ চারে পৌঁছে গেল (Himachal Pradesh Win Against Bengal by 4 Wickets) ৷ সল্টলেকে ভিডিয়োকন অ্যাকাডেমির মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলা ৷ নির্ধারিত 20 ওভারে 199 রান তোলেন অভিমুন্য ঈশ্বরণরা ৷ কিন্তু, 199 রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয় বাংলার বোলিং লাইন আপ ৷ যে খেলায় কার্যত হতাশ কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Lakshmiratan Shukla) ৷ জানালেন, হিমাচলকে ম্যাচ উপহার দিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটাররা ৷
লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতে, ভিডিয়োকনের মাঠ ছোট হলেও 20 ওভারে জয়ের জন্য 200 রান নিঃসন্দেহে কঠিন লক্ষ্য ৷ আর সেটাই বাংলার সামনে খুব সহজে করে ফেললেন হিমাচল প্রদেশের ব্যাটাররা ৷ আকাশ বশিষ্ট এবং নিখিল গাংটার ঝোড়ো ইনিংস হিমাচল প্রদেশের জয়ের রাস্তা গড়ে দেয় ৷ মুকেশ কুমার, রবি কুমার, আকাশদীপ এবং শাহবাজ আহমেদ, বাংলার প্রধান চার বোলারকে আক্রমণ করেন হিমাচলের ব্যাটাররা ৷ 20তম ওভারে 17 রান দরকার ছিল হিমাচলের ৷ মুকেশ কুমারকে বোল করতে পাঠান অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ ৷ কিন্তু, সেই রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হন মুকেশ ৷ চার বলে 11 রান তুলতে হবে, এই পরিস্থিতিতে মুকেশ কুমারকে পরপর 2টি চার মারেন ঋষি ধাওয়ান ৷
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশের 71 রানে 4 উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৷ সেখান থেকে হিমাচলের ইনিংসকে টানেন আকাশ এবং নিখিল ৷ আকাশ বশিষ্ট 42 বলে 76 রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৷ তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন নিখিল গাংটার ৷ তিনি 37 বলে 50 রান করেন ৷
আরও পড়ুন: হিমাচল প্রদেশের চ্যালেঞ্জ সামলাতে দলগত সংহতিতে জোর লক্ষ্মীরতনের
এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলার 92 রানে 4 উইকেট পড়ে যায় ৷ অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিরা অল্প রানে আউট হয়ে গেলেও বাংলাকে 199 রানে পৌঁছতে সাহায্য করেন ভারতীয় দলের বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ৷ তিনি 32 বলে 59 রান করেন ৷ শেষের দিকে ঋত্বিক রায়চৌধুরীর 11 বলে 32 রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৷ অগ্নিভ পান 10 বলে 28 রানে আউট হন ৷
আর এই হার নিয়ে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, ‘‘ওরা জেতেনি, আমরা ম্যাচটা উপহার দিয়েছি ৷ ওভার প্রতি 10 রান তুলতে হবে, এই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে যে কোনও দলই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে ৷ ভিডিয়োকন অ্যাকাডেমির মাঠ ছোট হলেও ওভার প্রতি দশ রান তোলা কঠিন ৷’’ সেই কাজটাই বাংলার বোলাররা প্রতিপক্ষকে করতে দিলেন বলে মনে করেন লক্ষ্মী ৷