কলকাতা, 23 অক্টোবর: শেষবেলায় চমক, সিএবি সভাপতি নির্বাচনে (CAB Election) লড়ছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ৷ শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে এবং দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly) সিএবি-র মসনদে বসিয়ে মহারাজ হলেন 'কিং-মেকার' (Sourav Ganguly decides not to contest in CAB election)। শাসক গোষ্ঠী যে প্যানেল মনোনয়ন করেছে তাতে সচিব হচ্ছেন নরেশ ওঝা এবং যুগ্ম-সচিব থাকছেন দেবব্রত দাস। কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন প্রবীর চক্রবর্তী। আর সহ-সভাপতি পদে বসছেন অমলেন্দু বিশ্বাস।
সিএবি সভাপতি পদে যে লড়বেন না সৌরভ, এই জল্পনা চব্বিশ ঘণ্টা আগেই থেকে ডালপালা মেলতে থাকে যখন মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ ময়দানের রাজনীতির অঙ্কের জটিল প্যাঁচেই হয়তো নির্বাচনী কূটকচালি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন মহারাজ ৷ কোনওভাবেই স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর জন্য ফের আত্মত্যাগ করুন, তা চাইছিলেন না সৌরভ। তাছাড়া তিনি সভাপতি এবং দাদা সচিব, এই ছবি সিএবিতে পরিবারতন্ত্রের গল্প ছড়াতে পারে। আর তাতে সরব হতে পারে বিরোধীরা। সব কিছু চিন্তা করেই তাই সিএবি-র শীর্ষ পদে বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন 'প্রিন্স অফ ক্যালকাটা'। মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল ৷
গতকাল সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা না-দিয়ে শেষ পর্যন্ত জল্পনা জিইয়ে রেখেছিলেন সৌরভ ৷ জানিয়েছিলেন, রবিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় রয়েছে ৷ দেখা যাক কী হয় ৷ সুতরাং, আজই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল তাঁর। কিন্তু রবিবারও মহারাজ মনোনয়ন জমা না-দেওয়ায় সিএবি-র নয়া সভাপতি হিসেবে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের আসীন হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা ৷
আরও পড়ুন: দলগত পারফরম্যান্সেই লুকিয়ে ভারতের বিশ্বকাপের সাফল্য, মত সৌরভের
যদিও বিসিসিআই সভাপতির পদ খুইয়ে সৌরভ কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি সিএবি সভাপতি পদে বসার জন্য় নির্বাচনে লড়বেন। স্বভাবতই সকলে ধরে নিয়েছিল যে, মহারাজই আবার বাংলার ক্রিকেটের মসনদে বসছেন। আগে শনিবার পর্যন্ত সিএবি নির্বাচনের মনোনয়ন জমার সময়সীমা ছিল। পরে সেই সময়সীমা একদিন বাড়িয়ে রবিবার বিকেল 5টা পর্যন্ত করা হয়। আজ বেলার দিকে সৌরভ ইডেনে আসেন। মনে করা হয়েছিল তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারে। কিন্তু শেষমেশ মনোনয়ন জমা না-দিয়েই ফিরে যান তিনি ৷