কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: নীরজ ওদেদ্রা, সৌরাষ্ট্রের কোচ । ইডেন ছাড়ার আগে বলছেন, ফাইনালের নির্ণায়ক পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি । এখনও খেলার অনেক কিছু বাকি রয়েছে । সকালের প্রথম ঘণ্টায় বোলারদের জন্য সুযোগ থাকলেও দিনের বাকিটা ব্যাটারদের পক্ষে । তাই যত বেশি সম্ভব ব্যাট করতে চাইছেন তিনি । সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট ইডেন ছাড়লেন হাসিমুখে । বহু অনুরোধেও বলতে চাইলেন না । “যা বলার ম্যাচের শেষে বলব, ”ইঙ্গিতবাহী হাসি উনাদকাটের মুখে (Saurashtra in drivers seat against Bengal)।"
ইতিমধ্যেই 143 রানে এগিয়ে সৌরাষ্ট্র । যেভাবে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকা দুই ব্যাটার ব্যাট করছেন, তাতে বাংলার জন্য আরও বেশি খাটনি অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল দেখতে আসা প্রাক্তনরা । আগ্রাসী বোলিংয়ের বদলে দিশাহারা বোলিং। সারাদিনে উইকেট পড়ল মাত্র 3টি । লোপ্পা ক্যাচ ফেললেন শাহবাজ আহমেদ । ট্রফি থেকে ক্রমশ দূরে সরছে বাংলা । 1989 সালে রঞ্জিজয়ী সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রথম দিনেই ম্যাচটা দূরে সরে গিয়েছে । এখন ফিরে আসতে হলে আরও বেশি সংযমী পারফরম্যান্স প্রয়োজন ।"
তবুও ইডেন ছাড়ার আগে আশার কথা শোনাচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা । বাংলার হেডস্যর বলেন, “হেডলাইন করার আগে এখনও সময় রয়েছে । তিনদিন বাকি রয়েছে । সৌরাষ্ট্র একশো চল্লিশের চেয়ে বেশি রানে এগিয়ে । আমাদের জন্য তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনও ম্যাচে ফেরার সুযোগ রয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি । ফিরে আসব আমরা ।”
আরও পড়ুন: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বহুদূর, বাংলার ব্যর্থতার সিক্যুয়েল চলছে ক্রিকেটের নন্দনকাননে
বোলাররা যে সারাদিনে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে ব্যর্থ তা মানছেন বাংলার কোচ। নিজের কোচিং জীবনের আগ্রাসী মনোভাব কোচের চেয়ারে বসে ছেলেদের মধ্যে প্রবেশ করাতে পারেননি । তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণের শেষে তাঁর মুখের ছবিতে অব্যক্ত যন্ত্রণা ফুটে উঠল । এরই মাঝে আশার খবর, সুদীপ ঘরামির চোট গুরুতর নয় । অন্তত কোচ সেইরকম বলছেন। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু তিনি দলের সদস্যদের বাস্তব পারফরম্যান্সের চেয়ে মিরাকেল ঘটার আশায় রয়েছেন । সিএবি চত্বরে পা-রাখলে মনে হচ্ছে সপ্তমীতেই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে।