কলকাতা, 15 ডিসেম্বর : এলগার, ডি'ককদের দেশে উড়ে যাওয়ার আগে বুধের সকালে বোমা ফাটালেন বিরাট কোহলি ৷ তাঁর ওডিআই ক্য়াপ্টেন্সি থেকে সরে যাওয়া বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে বোর্ডের পেশ করা বিবৃতিকে কার্যত মিথ্যা বললেন ৷ বিরাটের বক্তব্য, তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে বিসিসিআই তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করার প্রয়োজন বোধ করেনি ৷ এমনকি তাঁর টি-20 অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে কোনও রা কাটেনি বোর্ড ৷
সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাট কোহলির বিদ্রোহ প্রকাশ্যে ৷ কোহলির বাউন্সার বোর্ড বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে সামলাবেন তার উত্তর দেবে সময় ৷ কিন্তু বিরাটকে ওয়ান-ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে কী বলছেন বোর্ডের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য তথা 1983 বিশ্বজয়ী দলের সদস্য মদন লাল ?
সীমিত ওভারের ক্রিকেট অধিনায়কত্ব থেকে বিরাট কোহলিকে সরানো নির্বাচকদের একেবারেই উচিৎ হয়নি (Madan Lal says selectors should not have removed Virat Kohli from ODI captaincy)। এই ভাষাতেই বিরাট বিতর্কে কোহলিকে সমর্থন জানালেন মদন লাল (Madan Lal backs Virat Kohli on ODI captaincy issue)। বুধবার ইটিভি ভারতকে বোর্ডের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য বলেন, সাদা বলের ক্রিকেটে দু'জন অধিনায়ক না রাখার যে যুক্তি নির্বাচকরা দিচ্ছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। অধিনায়ক কোহলির অধীনে ভারতীয় দল সফল।
আরও পড়ুন : Virat on relationship with Rohit : 'বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি', রোহিতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিরাট-বার্তা
"পারফরম্যান্স চান, না অধিনায়কত্ব। এটা নির্বাচকদের বুঝতে হবে। আইসিসি ট্রফি না জিতলেও কোনও সন্দেহ নেই যে বিরাট সফল অধিনায়ক। এই অবস্থায় যদি সরাতেই হয় তাহলে পঞ্চাশ ওভার বিশ্বকাপের পর সরাতে পারত। আমি এখানে বোর্ডের কোনও ভূমিকা দেখছি না। পুরোটাই নির্বাচকদের দায়িত্ব ৷" বোর্ডের বিশেষ দায়িত্বে থেকেও এভাবেই নির্বাচকদের একহাত নেন মদন লাল। নিজে ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কারিগরদের অন্যতম, নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটিতে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মদন লাল জানান, নির্বাচকদের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এই বিতর্ক প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।
প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক প্রণব আবার জানান, এই ঘটনা শাপে বর হয়েছে বিরাটের জন্য ৷ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিরাট হাতে ধারাবাহিকতা হারিয়েছেন ৷ তাই অধিনায়কত্ব যাওয়া আশীর্বাদ হতে পারে তাঁর জন্য ৷ তবে দূর থেকে বোর্ডের সঙ্গে বিরাটের কী হয়েছে তা কলকাতায় বসে অনুধাবন করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে ৷