আমেদাবাদ, 9 এপ্রিল: এ যেন ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত । ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ইমপ্যাক্ট ইনিংস যখন ম্যাচ প্রায় নাইটদের পকেটে নিয়ে এসেছিল তখনই গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক রশিদ খানের প্রত্যাঘাত । আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দূল ঠাকুরকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক । বল হাতে 'ক্যাপ্টেনস নক' । মনে হচ্ছিল সবরমতীর তীরে ইতিহাস লিখলেন আফগান লেগ স্পিনার ।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে জয় চ্যাম্পিয়নদের প্রায় হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিলেন রশিদ । কিন্তু কলকাতা নাইটরাইডার্স শাহরুখ খানের মন্ত্রে দীক্ষিত । 'হার কর জিতনেওয়ালে কো বাজিগর ক্যাহতে হ্যায়' । এই মন্ত্রের বাস্তব প্রয়োগ করে দেখালেন রিঙ্কু সিং । আইপিএল নিলামে আনক্যাপড ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে তৈরি করেছেন । ইডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে নাইটদের জয়েও রিঙ্কু ছিলেন সহ-নায়ক । এদিন অন্যের ছায়ায় থাকা নয়, কঠিন সময়ে নিজেকে 200 শতাংশ নিংড়ে দিয়ে ম্যাচের 'বাজিগর' উত্তরপ্রদেশের এই তরুণ।
-
Watching this on L➅➅➅➅➅P... and we still can't believe what we just witnessed! 🤯pic.twitter.com/1tyryjm47W
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 9, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Watching this on L➅➅➅➅➅P... and we still can't believe what we just witnessed! 🤯pic.twitter.com/1tyryjm47W
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 9, 2023Watching this on L➅➅➅➅➅P... and we still can't believe what we just witnessed! 🤯pic.twitter.com/1tyryjm47W
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 9, 2023
শেষ ওভারে নাইটদের দরকার ছিল 29 রান । হাতে তখন পুঁজি মাত্র 5টি বল । অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জয়ী দলের পেসার যশ ধুলকে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে রিঙ্কু দেখালেন 'ক্রিকেট আভি বাকি হ্যায় দোস্ত' । 5 নম্বর বল ওভারবাউন্ডারি মেরে রিঙ্কু রানের জন্য দৌড়ননি । দৌড়েছিলেন ডাগ-আউটে অপেক্ষায় থাকা সতীর্থদের দিকে । কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে এটা সম্ভব । 21 বলে 48 রান টি-20-এর প্রেক্ষাপটের বিচারে ডাবল সেঞ্চুরির সমান । তাই কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের আবেগে তাড়িত হয়ে পড়া, অধিনায়ক নীতিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলের আলিঙ্গন কিছু বলতে চাওয়ার কোলাজ ছবিতে সাফল্য প্রায়শ্চিত্তের মিশেল ।
যাকে ঘিরে এত উৎসব । সেই রিঙ্কু সিংও তখন ঘোরের মধ্যে । ম্যাচের পর তিনি বলেন, "আমার বিশ্বাস ছিল যে আমি পারব । রানা ভাই বলেছিল শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করতে । তারপর দেখা যাক কী হয় । আমি শুধু ছয় মারার কথাই চিন্তা করছিলাম । উলটো দিকে দাঁড়িয়ে উমেশ ভাই বেশি চিন্তা করতে বারণ করছিল । কেবলমাত্র বল খেলে যেতে বলছিল । আমি বেশি কিছু চিন্তা না-করে বল অনুযায়ী ব্যাট করার চেষ্টা করছিলাম । উইকেটে শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলাম । বিশ্বাস ছিল করতে পারব । সেটা পেরেছি ।"
ইডেনে ম্যাচ শেষে সাজঘরে গিয়ে শাহরুখ খান বলেছিলেন, বিশ্বাস রাখলে বহুদূর যাওয়া সম্ভব । দল মালিকের বিশ্বাসে আস্থা রেখে মোতেরায় নায়ক হয়ে উঠলেন । পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ের পথে কাঁটা ছড়িয়ে ছিল বৃষ্টি । ইডেনে জয়ের নায়ক ছিলেন 'শের-ই দিল' শার্দূল ঠাকুর । সেদিনের সহ-নায়ক মোতেরায় স্বপ্নের ইনিংস খেলে 'মহানায়ক' । এবার নাইটরা ফের ইডেনে । সামনে হায়দরাবাদ । প্রত্যাশার পারদ চড়তে শুরু করেছে এখন থেকেই ।
আরও পড়ুন : ক্যানসার আক্রান্ত বাবা, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আইপিএল মঞ্চে উজ্জ্বল দিল্লির সুয়াশ