শারজা, 11 অক্টোবর : এলিমিনেটরে শুরুটা দারুণ করেও নাইটদের সামনে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে পারল না বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৷ টস জিতে শারজার বাইশ গজে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে কেকেআর-এর সামনে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি ৷ কিন্তু সুনীলের দুরন্ত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে 7 উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র 138 রান তুলল আরসিবি ৷ অর্থাৎ ফাইনালে ওঠার রাস্তায় এক ধাপ এগোতে নাইটদের দরকার 139 রান ৷ আরসিবি ইনিংসের কোনও ব্যাটারই চল্লিশ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি ৷ সর্বোচ্চ স্কোর ক্য়াপ্টেন কোহলির 39 রান ৷
বিরাটদের বিরুদ্ধে প্লে-অফে মাঠে নামার আগে 9টি প্লে-অফে মাত্র চারটি শিকার ছিল নারাইনের ৷ আর এদিন কোহলিদের বিরুদ্ধে চার উইকেট তুলে নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার ৷ শারজার বাইশ গজে আরসিবি ব্যাটারদের একশো চল্লিশের কম রানে বেঁধে রাখতে বড় ভূমিকা নেন নাইটদের স্পিনার ত্রয়ী ৷ ফিট হওয়া সত্ত্বেও আন্দ্রে রাসেলকে না-খেলিয়ে শাকিব আল হাসানের উপর আস্থা রাখেন কেকেআর ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান ৷ অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দেন বাংলাদেশি বাঁ-হাতি স্পিনার ৷ শাকিবকে দিয়ে ইনিংসে ওপেন করায় কেকেআর ৷ প্রথম ওভারে 7 রান দিলেও চার ওভারে মোট 24 রান খরচ করেন শাকিব ৷ শাকিবের মতো বরুণ চক্রবর্তীও কোনও উইকেট না-পেলেও দারুণ বোলিং করেন ৷ চার ওভারে মাত্র 20 রান দেন তিনি ৷
এই দুজনের পাশাপাশি গোদের উপর বিশ ফোঁড়া হিসেবে নারাইনের চার উইকেট আরসিবি-র বিগ হিটারদের ডাগ-আউটের রাস্তা দেখান ৷ সুনীলের চার শিকার এস ভরত (9), বিরাট কোহলি, এবি ডি'ভিলিয়ার্স (11) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (15) ৷ ইনিংসের দশম ওভারে নারাইনের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন নাইট অধিনায়ক ৷ নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে ভরতকে আউট করেন নারাইন ৷ তারপর একে একে সুনীলের স্পিনে ডাগ-আউটে ফেরেন কোহলি, এবিডি ও ম্যাক্সওয়েল ৷
আরও পড়ুন : ভিন্টেজ ধোনি, দিল্লিকে 4 উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কোহলিকে বোল্ড করেন নারাইন ৷ নিজের তৃতীয় ওভারেই আরও এক দুরন্ত ডেলিভারিতে ডি'ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করেন ৷ নিজের শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে ষোলো কলা পূর্ণ করেন নারাইন। কেকেআর স্পিনারদের বিরুদ্ধে রান তুলতে হিমসিম খান আরসিবি ব্যাটাররা ৷