শারজা, 13 অক্টোবর : দুরন্ত বোলিং নাইটদের ৷ ফলে শুরুটা মন্দ না-হলেও স্কোর বোর্ডে বড় রান তুলতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস ৷ ফাইনালে উঠতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার 136 রান ৷ দারুণ বোলিং করেন বরুণ চক্রবর্তী ও শিভম মাভি ৷ দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ 36 রান করেন বাঁ-হাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান ৷ নাইটদের সফলতম বোলার বরুণ ৷ চার ওভারে মাত্র 26 রান খরচ করে তুলে নেন দুটি উইকেট ৷
চলতি আইপিএলে লিগে এই শারজাতে নাইটদের বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে পারেননি ক্যাপিটালস ব্যাটাররা ৷ কেকেআর বোলারদের বিরুদ্ধে মাত্র 127 রান তুলেছিল দিল্লি ৷ সেই ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কেকেআর ক্যাপ্টেন মরগ্যান ৷ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি নাইটদের ৷ কোয়ালিফায়ারেও টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক ৷ এবার লিগের থেকে 8 রান বেশি তুলেছে দিল্লি ব্যাটাররা ৷ শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দিল্লিকে 135 রানে পৌঁছে দেন শ্রেয়স আইয়ার ৷ ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ 30 রান করে অপরাজিত থাকেন প্রাক্তন দিল্লি অধিনায়ক ৷
দিল্লির হয়ে এদিন ইনিংস শুরু করেন শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বী শ ৷ এলিমিনেটর ম্যাচের মতো এদিনও বাঁ-হাতি স্পিনার শাকিব আল হাসনকে দিয়ে ইনিংস শুরু করান কেকেআর ক্যাপ্টেন ৷ প্রথম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে দারুণ শুরু করেন শাকিব ৷ দ্বিতীয় ওভারে লকি ফার্গুসন 5 রান দেন ৷ ফলে শুরুটা মন্দ হয়নি নাইটদের ৷ কিন্তু তৃতীয় ওভারে 12 রান দেন শাকিব ৷ পৃথ্বী ওভারের প্রথম দুই বলে ওভার বাউন্ডারি ও বাউন্ডারি হাঁকান ৷
বল হাতে আগের ম্যাচের নায়ক সুনীল নারাইনকে পাওয়ার প্লে-তেই আক্রমণে নিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন মরগ্যান ৷ কিন্তু ফল ভাল হয়নি ৷ প্রথম ওভারেই 14 রান খরচ করেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার ৷ তাঁকে পর পর দুটি ছক্কা হাঁকান ধাওয়ান ৷ তবে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে পৃথ্বীকে তুলে নিয়ে নাইটদের প্রথম সাফল্য এনে দেন বরুণ চক্রবর্তী ৷ এদিন নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট তুলে নেন তিনি ৷ নারাইন নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র 3 রান দিয়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন ৷ শেষ পর্যন্ত চার ওভারে কোনও উইকেট না-পেলেও মাত্র 27 রান দেন নারাইন ৷
আরও পড়ুন : টি-20 বিশ্বকাপে ভারতের নতুন ‘বিলিয়ন চিয়ার্স জার্সি’
প্রথম 10 ওভারে এক উইকেট হারিয়ে 65 রান তোলে দিল্লি ৷ কিন্তু দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্টওনিসের স্টাম্প ছিটকে দেন মাভি ৷ 23 বলে 18 রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন তিনি ৷ তবে এদিন উইকেটের পিছনে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ডিকে ৷ ধাওয়ান ও স্টওনিসকে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত 36 রানে বরুণের বলে ডাগ-আউটে ফেরেন ধাওয়ান ৷ শেষ বলে ছক্কা খেলেও চার ওভারে 27 রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মাভি ৷