সিডনি, 27 অগস্ট : হাঁটাচলার ক্ষমতা হারালেন নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস ৷ জীবন বাঁচাতে তড়িঘড়ি হার্টে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৷ জীবন বাঁচলেও প্যারালাইজড হয়ে গেলেন 51 বছরের ক্রিস ৷ সুস্থ হতে তাঁকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে ৷ তাই আপাতত অস্ট্রেলিয়ার একটি রিহ্যাব হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা চলবে তাঁর ৷ শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিসের পরিবার ৷
দীর্ঘদিন ধরে অরোটিক ডিসেকশনে ভুগছেন ক্রিস ৷ অরোটিক ডিসেকশন হল শরীরের প্রধান ধমনীর অভ্যন্তরীণ স্তর ছিড়ে যাওয়া ৷ সেই সমস্যায় বেশ কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি ৷ সেখানে লাইফ সাপোর্ট ইউনিটে রাখা হয়েছিল তাঁকে ৷ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পরও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি ৷ এরপর সিডনির একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ এরপর সিডনির ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর হার্টে সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ সার্জারি চলাকালীন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তাঁর বাঁ দিক প্যারালাইজড হয়ে যায় ৷
সিডনির ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হার্টে ইমার্জেন্সি জীবনদায়ী অস্ত্রোপচার চলাকালীন মেরুদণ্ডে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ক্রিস কেয়ার্নস ৷ এর ফলে তাঁর পা প্যারালাইজড হয়ে যায় ৷ আপাতত অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্পাইনাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাঁকে ৷
আরও পড়ুন : Ted Dexter : ক্রিকেটে ব়্যাঙ্কিংয়ের স্রষ্টা ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক টেড ডেক্সটর প্রয়াত
তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস। 1989 থেকে 2006 সালের মধ্যে নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে 62টি টেস্ট এবং 215টি একদিনের ম্যাচ ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন । 2008 সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ খেলার সময় 51 বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে । নির্দোষ প্রমাণ করতে অনেক আইনি লড়াইও লড়তে হয়েছে তাঁকে । 2012 সালে লন্ডনে ললিত মোদির বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জেতেন। এরপরেও তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন লুই ভিনসেন্ট ও ম্যাককুলাম ৷
বারবার দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে তাঁর ক্রিকেট জীবন জর্জরিত হয়ে যায় ৷ কেরিয়ারের পর বর্তমানে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন ক্রিস ৷