দিল্লি, 29 এপ্রিল : লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায় স্মৃতির সরণী বেয়ে 1999 সালে অ্যাডিলেড টেস্টে গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিং সামলে জয়ের গল্প শোনালেন সচিন । ম্যাকগ্রার মতো উচ্চমানের খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কীভাবে জিতলেন সে'কথাই একটি ভিডিয়ো চ্যাটে জানিয়েছেন তিনি । যে চ্যাট টুইট করেছে BCCI ।
'মাস্টার ব্লাস্টার' ব্যাখ্যা করেছেন, প্রথমে শান্ত মাথায় ম্যাকগ্রার দুরন্ত বোলিং সামলে তারপর পাল্টা চাপ দিয়েছিলেন ম্যাকগ্রার দিকেই ।
সচিনের কথায়, "1999 সালে, অ্যাডিলেডে আমাদের প্রথম ম্যাচ...প্রথম ইনিংসের খেলায় সে'দিনের মতো আর চল্লিশ মিনিট বাকি ছিল । গ্লেন ম্যাকগ্রা ওই সময়ে পাঁচ বা ছয় ওভার মেডেন করেছিলেন ।"
"এটাই ছিল তাদের কৌশল...সচিনকে হতাশ কর । তাই 70 শতাংশ বল যাচ্ছিল উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কাছে এবং 10 শতাংশ বল আমার ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে যাচ্ছিল । বাকি যে বলগুলিকে অফ-স্টাম্পের বাইরে তাড়া করলেই ওরা সফল হত ।"
"তাই আমি যতটা সম্ভব বল ছাড়ছিলাম । কিছু ভাল ডেলিভারি ছিল যেখানে আমি পরাস্তও হই । তবে আমি বলেছিলাম, 'ভাল বল এবং পরের বলটা কর, আমি এখানেই রয়েছি' ।"
"আমার মনে আছে, পরের দিন সকালে তাকে কয়েকটি বাউন্ডারি মেরেছিলাম কারণ সেটা ছিল এক নতুন দিন এবং আমরা দু'জনই একই পর্যায়ে ছিলাম । পাল্টা আক্রমণ করি ম্যাকগ্রাকে । পর পর বেশ কয়েকটা চার মারতেই ম্যাকগ্রাদের কৌশল ধাক্কা খায় । "
"আগের দিনই ভেবে রেখেছিলাম সন্ধ্যায় আমি ধৈর্য ধরেছি কিন্তু কাল সকালে আমি যে'ভাবে চাই সে'ভাবেই খেলব । আমি কীভাবে খেলতে চাই তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না ৷ কিন্তু আপনি কীভাবে বোলিং করবেন তা আমি নিয়ন্ত্রণ করব", এমনটাই জানালেন সচিন ।
লকডাউনের মধ্যে কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে ফিট রাখতে হয় সে'সম্পর্কে বর্তমানের ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর । কোরোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে সমস্ত ক্রিকেট আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে । তেন্ডুলকর বলেন, মাঝে মাঝে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খেলা থেকে দূরে থাকা ভালো ।
"প্রথমে আমি ক্রীড়াবিদদের নিজেদের ব্যাটারি রিচার্জ করতে বলতে চাই । কিছুটা সময় নেওয়া জরুরি । আপনি নিয়মিত খেললে সবসময় শীর্ষে থাকা সহজ হয় না । তাই নিজেদের ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য কিছু সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে কিছুটা সরে থাকুন", বলেন সচিন ।