কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: স্বাধীনোত্তর ভারতে শেষবার 1989-90 সালে শক্তিশালী দিল্লিকে হারিয়ে রণজি ট্রফি জিতেছিল বাংলা ৷ এরপর তিনবার রণজির ফাইনালে উঠলেও ট্রফি হাতে ওঠেনি ৷ শাহবাজ আহমেদ, মনোজ তিওয়ারি, আকাশদীপদের সামনে বাংলাকে জেতানোর সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ৷ এমনটাই মনে করছেন জাতীয় ও বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রণব রায় ৷
ওড়িশাকে হারিয়ে রণজি ট্রফির সেমিফাইনালে পা রেখেছে বাংলা ৷ সামনের শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে মনোজ তিওয়ারিদের প্রতিপক্ষ কর্নাটক ৷ সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে শক্তিশালী কর্নাটকের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তৈরি মনোজরা ৷ টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বারবার পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল ৷ কোণঠাসা অবস্থা থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নিয়েছে কেউ না কেউ ৷ সবমিলিয়ে দলের ছেলেদের উপর দারুণ আস্থা কোচ অরুণলালের ৷ মনোজ তিওয়ারি, শাহবাজ আহমেদরা বলছেন ইডেনে লোকেশ রাহুলদের থামাতে নিজেদের নিঙড়ে দেবেন তাঁরা ৷ গতির 22 গজে দক্ষিণের দলটিকে ব্যাকফুটে ঠেলতে মরিয়া ঈশান পোড়েলও ৷
বর্তমান বাংলা দলের এই আগ্রাসী মনোভাবে আশার আলো দেখছেন প্রণব রায়ের মত প্রাক্তন ক্রিকেটার । দীর্ঘতম ওভারে বাংলার ভারতসেরা হয়েছে তাও নয় নয় করে 30 বছর ৷ মাঝে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে । এবার সেই অভাব মেটানোর ডাক দিচ্ছেন প্রণব রায় । 1989-90 মরশুমে রঞ্জি জয়ী বাংলা দলের এই সদস্য শাহবাজ আহমেদ, আকাশদীপদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ৷ তাই বর্তমান দলের নৈপুণ্য এবং কোচ অরুণলালের কঠোর মানসিকতায় আস্থা রাখছেন তিনি ।
অন্যদিকে 29 ফেব্রুয়ারি বাংলার বিরুদ্ধে কর্নাটক দলে ফিরলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল ৷ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে রাহুলকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও সেমির গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে ফেরানো হল দুরন্ত ফর্মে থাকা রাহুলকে ৷ নিউজ়িল্যান্ডে টি-20 এবং ওয়ান ডে সিরিজ়ে তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে 224 এবং 204 রান ৷