কলকাতা, 13 জানুয়ারি: নিজেকে কলকাতাবাসী বলতে পছন্দ করেন । এই শহর জানে তাঁর অনেক কিছু। তিলোত্তমায় গত বাহাত্তর ঘণ্টার বেশি সময় রয়েছেন স্যর ক্লাইভ লয়েড । শুধু তিলোত্তমা নয়, বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেও ঘুরে বেড়ালেন দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ।
শনিবার সন্ধ্যায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের আমন্ত্রণে ইডেনে এসেছিলেন লয়েড । ইডেনে হাসি এবং দুঃখ দু'টো স্মৃতিই রয়েছে বছর আশির প্রাক্তন ক্রিকেটার । সিএবি তাঁকে সোনার ব্রেসলেট, ব্লেজার এবং বাংলার জার্সিতে সম্মানিত করল । পরে ইডেনের মাঠে পা রাখেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি । নিজের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকা মাঠে পা দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নস্টালজিক ।
"ইডেনে ফিরে আসা আমার কাছে অবশ্যই বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ । আমি ইডেনে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম খেলেছি । ক্রিকেটার হিসেবেও প্রথম এই মাঠেই খেলেছিলাম । তাই এখানে আমার অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে । ক্যারিবিয়ানরা কলকাতায় আসতে ভালোবাসে । কারণ এই শহর তাদের ভালোবাসে, সম্মান দেখায় । আমিও এই শহরকে ভালোবাসি।" আবেগ তাড়িত হয়ে বললেন ক্লাইভ লয়েড ।
টি-20 ক্রিকেটের যুগে পাঁচদিনের ক্রিকেট দুয়োরানি । ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফর্ম্যাট নিয়ে কোনও অসূয়া নেই বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি অধিনায়ক । দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, "টি-20 ক্রিকেটের প্রতি আমার কোনও রাগ নেই । আমিও দেখতে ভালোবাসি ৷ ক্রিকেটাররাও পয়সা পাচ্ছেন । একইসঙ্গে তিন বা পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দেখতেও পছন্দ করব । আমি বলেছি টি-20 একটি প্রদর্শনী, টেস্ট ম্যাচ পরীক্ষা ৷"
1983 সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হার যে তাঁকে এখনও কাঁদায় তা বহুবার বলেছেন । কলকাতা সফরেও একই কথা লর্ডসের মুখে । ক্রিকেট দুনিয়ায় অংশগ্রহনকারী দেশের মধ্যে আইসিসির অর্থবৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছেন । "চোদ্দটি দ্বীপ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ । ক্রিকেট দ্বীপগুলোতে আগের মতো ছড়িয়ে পড়ুক আমি চাই । একটা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে । আমি তাই আইসিসির কাছে অনুনয় করেছি বিষয়টি দেখতে ৷" কাতর শোনায় স্যর ক্লাইভ লয়েডের গলা ।
আরও পড়ুন: