কলম্বো, 9 সেপ্টেম্বর: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই এক ম্যাচে পিঠের চোট পেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে ৷ 2 বছর আগে প্রত্যাবর্তনের পর ফের 50 ওভারের টুর্নামেন্ট খেলছেন তিনি ৷ এবার হার্দিক দলের সহ-অধিনায়ক ৷ চোটের পর কীভাবে নিজের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ? ম্যাচ সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে সেকথা জানান তিনি ৷ সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, অলরাউন্ডার হিসেবে তিনি দ্বিগুণ বা তিনগুণ ওয়ার্কলোড নেন ৷ যা একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটার বা বোলারের ক্ষেত্রে হয় না ৷
হার্দিকের কথায়, ‘‘অলরাউন্ডার হিসেবে আমার কাজের চাপ একজন স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারের থেকে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ৷ দলের একজন ব্যাটার মাঠে নেমে ব্যাট করেন, রান করেন এবং বেরিয়ে যান ৷ কিন্তু, আমাকে তার পরেও বোলিং করতে হয় ৷’’ তবে, হার্দিক পান্ডিয়াকে সাম্প্রতিক সময়ে সেই স্তরের ওয়ার্কলোড বা চাপ নিয়ে খেলতে খুব একটা দেখা যায়নি ৷ অন্তত ওয়ান ডে ক্রিকেটে তো নয়ই ৷ ব্যাটিং করলেও, কখনই হার্দিককে তাঁর কোটার সম্পূর্ণ ওভার শেষ করতে দেখা যায়নি ৷ ফলে বিশ্বকাপের আগে তিনি একশো শতাংশ ফিট কি না, সেই প্রশ্ন একাধিকবার উঠেছে ৷
যা নিয়ে হার্দিকের দাবি, ম্যাচে তাঁর থেকে দল কী চাইছে ? তার উপর নির্ভর করছে তিনি কত ওভার বল করবেন ৷ হার্দিকের কথায়, ‘‘ম্যাচের সময় যা গুরুত্ব পায় তা হল, সেই সময় যা দল চাইছে সেটাই হবে ৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ যদি, সেই সময় আমার 10 ওভার বল করার প্রয়োজন না-পরে, তাহলে তার দরকার নেই ৷ আর যদি আমার 10 ওভার গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে আমাকে বল করতে হবে ৷’’
আরও পড়ুন: সুপার ফোরে ভারত-পাক ম্যাচে ‘বিশেষ রিজার্ভ ডে’, ঘোষণা এসিসি’র
হার্দিক জানান, ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং করার এই দ্বিগুণ বা তার বেশি ওয়ার্কলোড নেওয়ার কাজটা তিনি আগের মুহূর্তে করেন না ৷ সেই প্রস্তুতি তিনি অনেক আগে থেকেই নেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ক্ষেত্রে, ওয়ার্কলোড ম্যানেজ, নিজের উপর বাড়তি চাপ নেওয়া, এই সবই হয় নেট সেশন, আমার ট্রেনিং এবং ক্রিকেট মরশুমের আগে ৷’’ ক্রিকটে মরশুমের আগে তিনি যে শারীরিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করেন, সেটাই তাঁকে ম্যাচে বাড়তি ওয়ার্কলোড নিতে সাহায্য করেন বলে জানান ভারতের ওয়ান ডে দলের সহ-অধিনায়ক ৷