কলকাতা, ১৫ মার্চ : ক্যাডি থেকে গল্ফার হওয়ার গল্প এখন নতুন নয়। গল্ফ সার্কিটে বহু গল্ফার রয়েছেন যাঁদের শুরুটা হয়েছিল ক্যাডি হিসেবে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বাংলাদেশের বাদল হোসেনের নাম। খেলাচ্ছলে গল্ফের সঙ্গে যোগাযোগ। ধীরে ধীরে ভালোবাসা। এখন পেশাদার সার্কিটে নজর কাড়তে চান বাংলাদেশের বাদল হোসেন।
শেখ জামশেদ আলি, এস এস পি চৌরাশিয়া, টাইগার উডসের সঙ্গে এক তালিকায় ওপার বাংলার বাদল হোসেন। বাংলাদেশের উঠতি গল্ফারদের উজ্জ্বল মুখ। কলকাতায় টলি ক্লাবের গল্ফ কোর্সে এখন চলছে বেঙ্গল ওপেন। দেশের প্রথম সারির গল্ফাররা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন ওপার বাংলার বাদল। পদ্মপারের ক্রীড়াঙ্গনে যখন ক্রিকেট ফুটবলের দাপট, তখন বাদল হোসেন ভিন্ন ধারার ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। গতবছর থেকে ভারতীয় সার্কিটে খেললেও কলকাতায় প্রথমবার খেলছেন। আপাতত খেতাবের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
প্রথাগত গল্ফের হাতেকলমে শিক্ষা বাদল হোসেনের নেই। শুরুটা করেছিলেন বলবয় হিসেবে। তারপর পড়াশোনার জন্য সাময়িক গল্ফ থেকে দূরে সরে থাকা। ফের প্রত্যাবর্তন। এবার ক্যাডি হিসেবে কাজ শুরু। সঙ্গে গল্ফ চর্চা। বাংলাদেশের অন্য সকলের মতো বাদল হোসেনও ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে গলফ খেলাকে আঁকড়ে ধরা। সেখানেও অর্থ সমস্যা। কোনও স্পনসর নেই বাদল হোসেনের। বাংলাদেশের গল্ফ সার্কিটে নিয়মিত খেলে পেশাদার গল্ফে হাত পাকাচ্ছেন। বেঙ্গল ওপেনে খেলতে এসে এস এস পি চৌরাশিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর উত্থানের গল্প লড়াইয়ের কথা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখা হয়েছে আদর্শ টাইগার উডসের সঙ্গেও। প্রতিকূলতা ছাপিয়ে এগিয়ে চলার শপথ বাদল হোসেনের গলায়। বেঙ্গল ওপেনে গল্ফ টুর্নামেন্ট খেতাব কার হাতে উঠবে তা আগামী কয়েকদিনের পারফরম্যান্স নির্ধারণ করবে।