বিষয়টা অদ্ভুত ভালো। সেই কারণেই, নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন ছবি 'কণ্ঠ'কে অনেকখানি এগিয়ে রাখা যায়। সে কারণে দর্শক এই ছবিকে নিন্দা করতেই পারবেন না।
কখনও কি ভেবেছেন, আপনার দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, কিংবা কথা বলার সহজ সরল স্বাভাবিক শক্তিটা যদি হঠাৎই সৃষ্টিকর্তা কেড়ে নেন, আপনার জীবন কোন খাতে গড়াবে? তাহলে বলে রাখি, জীবনে এরকম অসহায় পরিস্থিতি তৈরি হলে একবার অন্তত 'কণ্ঠ' ছবিটি দেখে নিন। 'কণ্ঠ' জীবনীশক্তিকে মনে করাবে। এমন একটি সুন্দর গল্প ভাবার জন্য নন্দিতা রায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও, যাঁর লেখনীর মাধ্যমে ছবির গল্প ডানা মেলে উড়তে পারল।
প্রথমেই বলতে ইচ্ছে করছে, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ের দিক থেকেও দর্শককে বসিয়ে রাখবেন। কী চমৎকার অভিনয়... একেবারে চোখেমুখে অভিনয় বলে যাকে। বিপরীতে পাওলি দামকেও খুব সুন্দর মানিয়েছে। জয়া আহসানকে প্রথম দিকে একটু লাউড মনে হলেও, শেষের দিকে তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়ে যাবে। ছবিতে বেশকিছু চমক আছে। কণ্ঠতে যে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিমা সেনের মতো অভিনেত্রীরাও অভিনয় করেছেন, সেটা আগে জানা যায়নি।
'কণ্ঠ' র গল্প খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছ। কেন ঢাকা চলে গিয়েও গেলেন না জয়া? কেন অর্জুনের শেষ জয়ের সময় সামিল থাকতে পারলেন না তিনি? এসব কিছুর উত্তর জানতে হলে ছবিটি আপনাকে দেখতে হবে। তবে ধাপে ধাপে গল্প যেভাবে এগিয়েছে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং।
তবে কিছুকিছু জায়গায় খুঁত চোখে পড়েছে। যেমন, শিবপ্রসাদ ও জয়া যখন চলমান গাড়ির প্রথম সিটে বসে, পরিচালকদ্বয় শিবপ্রসাদকে সিটবেল্ট পরিয়েছেন, কিন্তু জয়াকে পরানোর কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। এই ত্রুটি চলচ্চিত্র সমালোচকদের চোখ এড়ায়নি। তবে গল্পের নিপুণ বিন্যাস ও বিষয়বস্তুর ইতিবাচকতায় ত্রুটিকে আর ত্রুটি বলে মনে হবে না।
এছাড়াও, আরেকটা জিনিস যেটা ছবির অন্যতম বার্তা, তাহলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে থাকা। কোথাও মনে হল না যে একাকীত্ব চেপে ধরেছে। একদিকের অন্ধকার অন্যদিকে আলো ছড়িয়েছে গোটা ছবিতে। যে কারণে অর্জুনের লড়াই সহজ হয়েছে।
আর রয়েছে প্রেম। আঁকড়ে থাকার প্রেম। আর মহৎ প্রেম। পরদায় যে প্রেম দেখে আপনার মনে পড়ে যাবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই উক্তি, "বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।"
বাকিটা সিক্রেট! সমালোচনায় এটুকুই থাক।
ফিল্ম রিভিউ : নতুনভাবে বাঁচতে শেখাবে কণ্ঠ! - কণ্ঠ ছবির সমালোচনা
বিষয়টা অদ্ভুত ভালো। সেই কারণেই, নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন ছবি 'কণ্ঠ'কে অনেকখানি এগিয়ে রাখা যায়। সে কারণে দর্শক এই ছবিকে নিন্দা করতেই পারবেন না।
কখনও কি ভেবেছেন, আপনার দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, কিংবা কথা বলার সহজ সরল স্বাভাবিক শক্তিটা যদি হঠাৎই সৃষ্টিকর্তা কেড়ে নেন, আপনার জীবন কোন খাতে গড়াবে? তাহলে বলে রাখি, জীবনে এরকম অসহায় পরিস্থিতি তৈরি হলে একবার অন্তত 'কণ্ঠ' ছবিটি দেখে নিন। 'কণ্ঠ' জীবনীশক্তিকে মনে করাবে। এমন একটি সুন্দর গল্প ভাবার জন্য নন্দিতা রায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও, যাঁর লেখনীর মাধ্যমে ছবির গল্প ডানা মেলে উড়তে পারল।
প্রথমেই বলতে ইচ্ছে করছে, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ের দিক থেকেও দর্শককে বসিয়ে রাখবেন। কী চমৎকার অভিনয়... একেবারে চোখেমুখে অভিনয় বলে যাকে। বিপরীতে পাওলি দামকেও খুব সুন্দর মানিয়েছে। জয়া আহসানকে প্রথম দিকে একটু লাউড মনে হলেও, শেষের দিকে তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়ে যাবে। ছবিতে বেশকিছু চমক আছে। কণ্ঠতে যে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিমা সেনের মতো অভিনেত্রীরাও অভিনয় করেছেন, সেটা আগে জানা যায়নি।
'কণ্ঠ' র গল্প খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছ। কেন ঢাকা চলে গিয়েও গেলেন না জয়া? কেন অর্জুনের শেষ জয়ের সময় সামিল থাকতে পারলেন না তিনি? এসব কিছুর উত্তর জানতে হলে ছবিটি আপনাকে দেখতে হবে। তবে ধাপে ধাপে গল্প যেভাবে এগিয়েছে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং।
তবে কিছুকিছু জায়গায় খুঁত চোখে পড়েছে। যেমন, শিবপ্রসাদ ও জয়া যখন চলমান গাড়ির প্রথম সিটে বসে, পরিচালকদ্বয় শিবপ্রসাদকে সিটবেল্ট পরিয়েছেন, কিন্তু জয়াকে পরানোর কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। এই ত্রুটি চলচ্চিত্র সমালোচকদের চোখ এড়ায়নি। তবে গল্পের নিপুণ বিন্যাস ও বিষয়বস্তুর ইতিবাচকতায় ত্রুটিকে আর ত্রুটি বলে মনে হবে না।
এছাড়াও, আরেকটা জিনিস যেটা ছবির অন্যতম বার্তা, তাহলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে থাকা। কোথাও মনে হল না যে একাকীত্ব চেপে ধরেছে। একদিকের অন্ধকার অন্যদিকে আলো ছড়িয়েছে গোটা ছবিতে। যে কারণে অর্জুনের লড়াই সহজ হয়েছে।
আর রয়েছে প্রেম। আঁকড়ে থাকার প্রেম। আর মহৎ প্রেম। পরদায় যে প্রেম দেখে আপনার মনে পড়ে যাবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই উক্তি, "বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।"
বাকিটা সিক্রেট! সমালোচনায় এটুকুই থাক।
Body:কখনও কি ভেবেছেন, আপনার দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, কিংবা কথা বলার সহজ সরল স্বাভাবিক শক্তিটা যদি হঠাৎই সৃষ্টিকর্তা কেড়ে নেন আপনার জীবন কোন খাতে গড়াবে? তাহলে বলে রাখি, জীবনে এরকম অসহায় পরিস্থিতি তৈরি হলে একবার অন্তত কণ্ঠ ছবিটি দেখে নিন। কণ্ঠ জীবনীশক্তিকে মনে করাবে। এমন একটি সুন্দর গল্প ভাবার জন্য নন্দিতা রায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও, যাঁর লেখনীর মাধ্যমে কণ্ঠর গল্প ডানা মেলে উড়তে পারল।
প্রথমেই বলতে ইচ্ছে করছে, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ের দিক থেকেও দর্শককে বসিয়ে রাখবেন। কী চমৎকার অভিনয়... একেবারে চোখেমুখে। বিপরীতে পাওলি দামকেও খুব সুন্দর মানিয়েছে। জয়া আহসানকে প্রথম দিকে একটু লাউড মনে হলেও, শেষের দিকে তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়ে যাবে। ছবিতে বেশকিছু চমক আছে। কণ্ঠতে যে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তানিমা সেনের মতো অভিনেত্রীরাও অভিনয় করেছেন, সেটা আগেভাগে ডানা যায়নি।
কণ্ঠর গল্প খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছ। কেন ঢাকা চলে গিয়েও গেলেন না জয়া? কেন অর্জুনের শেষ জয়ের সময় সামিল থাকতে পারলেন না তিনি? এসব কিছুর উত্তর জানতে হলে ছবিটি আপনাকে দেখতে হবে। তবে পড়তে পড়তে গল্প যেভাবে এগিয়েছে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং।
তবে কিছুকিছু জায়গায় খুঁত চোখে পড়েছে। যেমন, শিবপ্রসাদ ও জয়া যখন চলমান গাড়ির প্রথম সিটে বসে, পরিচালকদ্বয় শিবপ্রসাদকে সিটবেল্ট পরিয়েছেন, কিন্তু জয়াকে পরানোর কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। এই ত্রুটি চলচ্চিত্র সমালোচকদের চোখ এড়ায়নি। তবে গল্পের নিঁপুণ বিন্যাস ও বিষয়বস্তুর ইতিবাচকতায় ত্রুটিকে আর ত্রুটি বলে মনে হবে না।
এছাড়াও, আরেকটা জিনিস যেটা ছবির অন্যতম বার্তা, তাহলে সঙ্ঘবদ্ধ থাকা। কোথাও মনে হল না একাকীত্ব চেপে ধরেছে। একদিকের অন্ধকার অন্যদিকে আলো ছড়িয়েছে গোটা ছবিতে। যে কারণে অর্জুনের লড়াই সহজ হয়েছে।
আর রয়েছে প্রেম। আঁকড়ে থাকার প্রেম। আর মহৎ প্রেম। পর্দায় যে প্রেম দেখে আপনার মনে পড়ে যাবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই উক্তি, "বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।"
Conclusion:...বাকিটা সিক্রেট! সমালোচনায় এটুকুই থাক।