ETV Bharat / sitara

এবার ছবি বানাচ্ছেন ঋতুপর্ণার সহকারী - Tollywood

1976 সালে অজয় কর বানিয়েছিলেন 'দত্তা'। ছবিতে নামভূমিকায় ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। এবার সেই গল্প নিয়েই ছবি বানাচ্ছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সহকারী।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও নির্মল চক্রবর্তী
author img

By

Published : Apr 8, 2019, 4:29 PM IST

Updated : Apr 8, 2019, 4:35 PM IST

কলকাতা : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুবই কাছের সহকারী তিনি। অনেকগুলো বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন নির্মল চক্রবর্তী। এবার নিজেই ছবি পরিচালনার কাজে হাত দিলেন তিনি। ছবির নাম 'দত্তা'। ছবিতে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জয় সেনগুপ্ত, ফিরদৌস আহমেদ ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।

খবরটি পেয়ে নির্মল চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ETV Bharat-এর প্রতিনিধি। ফোনে তাঁকে নির্মল চক্রবর্তী বলেন, " আজ সকালেই বোলপুরের জন্য রওনা দিলাম। ওখানেই টানা তিনদিন শুটিং করব। মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি। ছবি পরিচালনা আমার বহু দিনের ইচ্ছে। প্রায় 8-10 বছরের ইচ্ছে। গত বছর জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছি।"


আপনি তো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুব কাছের সহকারী, তাহলে ছবিটা কি ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থা ভাবনা আজও কালের প্রযোজনাতেই হচ্ছে? উত্তরে নির্মল চক্রবর্তী বলেন, " গ্রুপ ফান্ডিং করে ছবিটি তৈরি করছি। কো-প্রোডিউসাররা থাকছেন। আর ছবিটা ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারেই হচ্ছে।"

প্রথম ছবির গল্প হিসেবে একটি উপন্যাসের প্রয়োজন হল কেন, জবাবে নির্মলবাবু বলেন, " দেখুন, সাহিত্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধে আছে। অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারব। নিজের গল্পের রিস্ক থাকেই। মনে হয়, দর্শক সেটা সাদরে গ্রহণ করবেন কি না। তার মধ্যে আমি নতুন পরিচালক। সকলের কাছে অজানা। কিন্তু, যদি শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করি, দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠব। এদের গল্পের একটা জোর থাকে, প্রথমেই এগিয়ে যাওয়া যায়। তারপর আমার উপর বর্তাবে। যতটা পারি ভালো মতো ছবিটা তৈরি করার চেষ্টা করব।"




পিরিয়ড পিস কিংবা সাহিত্যধর্মী ফিল্ম হলে চরিত্রদের সাজপোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বিষয়ে নির্মলবাবু বলেন, " যেহেতু সাহিত্যধর্মী ছবি, লুকের উপর জোর দিয়েছি। কারণ, আমি তো পিরিয়ড ধরেই করছি। এখনকার ফরম্যাটে এনে করছি না। তাই সবার আগে লুক তৈরি করা দরকার। শাবর্ণীদির সঙ্গে কথা বলে করলাম পুরো ব্যাপারটা। অর্থাৎ শাবর্ণী দাস। যিনি অপর্ণা সেন, সৃজিতের সঙ্গে কাজ করেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গেও কাজ করেছেন। নৌকাডুবি ফিল্মের পোশাক শাবর্ণীরই করা। ওঁর খুব অভিজ্ঞতা আছে। আর আমি ফিল্ম তৈরি করছি শুনে শাবর্ণী খুব খুশি। এটাও প্রায় 4-5 মাস আগের ঘটনা।"

ফিল্মের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে তিনি আরও বলেন, " আমি আগেভাগে ছবির ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে চাইনি। কী হয় বলুন তো, খবর ছড়িয়ে গেলে পাবলিসিটিই বেশি হয়। কাজ হয় না। ওদিকে মন চলে যায়। তাই চুপচাপ কাজগুলো করে গিয়েছি। কাজ গুছিয়ে নিয়ে যখন বুঝতে পারলাম, এবার আমি রেডি, তখনই শুটিং শুরু করছি।"

কলকাতা : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুবই কাছের সহকারী তিনি। অনেকগুলো বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন নির্মল চক্রবর্তী। এবার নিজেই ছবি পরিচালনার কাজে হাত দিলেন তিনি। ছবির নাম 'দত্তা'। ছবিতে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জয় সেনগুপ্ত, ফিরদৌস আহমেদ ও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।

খবরটি পেয়ে নির্মল চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ETV Bharat-এর প্রতিনিধি। ফোনে তাঁকে নির্মল চক্রবর্তী বলেন, " আজ সকালেই বোলপুরের জন্য রওনা দিলাম। ওখানেই টানা তিনদিন শুটিং করব। মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি। ছবি পরিচালনা আমার বহু দিনের ইচ্ছে। প্রায় 8-10 বছরের ইচ্ছে। গত বছর জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছি।"


আপনি তো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুব কাছের সহকারী, তাহলে ছবিটা কি ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থা ভাবনা আজও কালের প্রযোজনাতেই হচ্ছে? উত্তরে নির্মল চক্রবর্তী বলেন, " গ্রুপ ফান্ডিং করে ছবিটি তৈরি করছি। কো-প্রোডিউসাররা থাকছেন। আর ছবিটা ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারেই হচ্ছে।"

প্রথম ছবির গল্প হিসেবে একটি উপন্যাসের প্রয়োজন হল কেন, জবাবে নির্মলবাবু বলেন, " দেখুন, সাহিত্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধে আছে। অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারব। নিজের গল্পের রিস্ক থাকেই। মনে হয়, দর্শক সেটা সাদরে গ্রহণ করবেন কি না। তার মধ্যে আমি নতুন পরিচালক। সকলের কাছে অজানা। কিন্তু, যদি শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করি, দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠব। এদের গল্পের একটা জোর থাকে, প্রথমেই এগিয়ে যাওয়া যায়। তারপর আমার উপর বর্তাবে। যতটা পারি ভালো মতো ছবিটা তৈরি করার চেষ্টা করব।"




পিরিয়ড পিস কিংবা সাহিত্যধর্মী ফিল্ম হলে চরিত্রদের সাজপোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বিষয়ে নির্মলবাবু বলেন, " যেহেতু সাহিত্যধর্মী ছবি, লুকের উপর জোর দিয়েছি। কারণ, আমি তো পিরিয়ড ধরেই করছি। এখনকার ফরম্যাটে এনে করছি না। তাই সবার আগে লুক তৈরি করা দরকার। শাবর্ণীদির সঙ্গে কথা বলে করলাম পুরো ব্যাপারটা। অর্থাৎ শাবর্ণী দাস। যিনি অপর্ণা সেন, সৃজিতের সঙ্গে কাজ করেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গেও কাজ করেছেন। নৌকাডুবি ফিল্মের পোশাক শাবর্ণীরই করা। ওঁর খুব অভিজ্ঞতা আছে। আর আমি ফিল্ম তৈরি করছি শুনে শাবর্ণী খুব খুশি। এটাও প্রায় 4-5 মাস আগের ঘটনা।"

ফিল্মের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে তিনি আরও বলেন, " আমি আগেভাগে ছবির ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে চাইনি। কী হয় বলুন তো, খবর ছড়িয়ে গেলে পাবলিসিটিই বেশি হয়। কাজ হয় না। ওদিকে মন চলে যায়। তাই চুপচাপ কাজগুলো করে গিয়েছি। কাজ গুছিয়ে নিয়ে যখন বুঝতে পারলাম, এবার আমি রেডি, তখনই শুটিং শুরু করছি।"

Intro:ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুবই কাছের সহকারী তিনি। অনেকগুলো বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন মাঝবয়স পেরোনো নির্মল চক্রবর্তী। এবার নিজেই ফিল্ম পরিচালনার কাজে হাত দিলেন নির্মল। ফিল্মের নাম দত্তা।


Body:খবরটি পেয়ে নির্মল চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ETV Bharat'এর প্রতিনিধি। ফোনে তাঁকে নির্মল চক্রবর্তী জানান, " আজ সকালেই বোলপুরের জন্য রওনা দিলাম। ওখানেই টানা তিনদিন শুটিং করব। মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি। ফিল্ম পরিচালনা আমার বহু দিনের ইচ্ছে। প্রায় 8-10 বছরের ইচ্ছে। গত বছর জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছি।"

আপনি তো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর খুব কাছের সহকারী, তাহলে ফিল্মটা কি ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থা ভাবনা আজও কালের প্রযোজনাতেই হচ্ছে? উত্তরে নির্মল চক্রবর্তী জানান, " গ্রুপ ফান্ডিং করে ফিল্মটি তৈরি করছি। কো-প্রোডিউসাররা থাকছেন। আর ফিল্মটা ঋতুপর্ণার প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারেই হচ্ছে।"

প্রথম ফিল্মের গল্প হিসেবে একটি উপন্যাসের প্রয়োজন হল কেন, জবাবে নির্মলবাবু জানান, " দেখুন, সাহিত্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধে আছে। অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারব। নিজের গল্পের রিস্ক থাকেই। মনে হয়, দর্শক সেটা সাদরে গ্রহণ করবেন কিনা। তার মধ্যে আমি নতুন পরিচালক। সকলের কাছে অজানা। কিন্তু যদি শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করি, দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠব। এঁদের গল্পের একটা জোর থাকে, প্রথমেই এগিয়ে যাওয়া যায়। তারপর আমার উপর বর্তাবে। যতটা পারি ভালো মতো ফিল্মটা তৈরি করার চেষ্টা করব।"




Conclusion:পিরিয়ড পিস কিংবা সাহিত্যধর্মী ফিল্ম হলে চরিত্রদের সাজপোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বিষয়ে নির্মলবাবু বললেন, " যেহেতু সাহিত্যধর্মী ছবি, লুকের উপর জোর দিয়েছি। কারণ আমি তো পিরিয়ড ধরেই করছি। এখনকার ফরম্যাটে এনে করছি না। তাই সবার আগে লুক তৈরি করা দরকার। শাবর্ণীদির সঙ্গে কথা বলে করলাম পুরো ব্যাপারটা। অর্থাৎ শাবর্ণী দাস। যিনি অপর্ণা সেন, সৃজিতের সঙ্গে কাজ করেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গেও কাজ করেছেন। নৌকাডুবি ফিল্মের পোশাক শাবর্ণীরই করা। ওঁর খুব অভিজ্ঞতা আছে। আর আমি ফিল্ম তৈরি করছি শুনে শাবর্ণী খুব খুশি। এটাও প্রায় 4-5 মাস আগের ঘটনা।"

ফিল্মের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে তিনি আরও বলেন, "আমি আগেভাগে ছবির ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে। " আমি আগেভাগে ছবির ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে চাইনি। কী হয় বলুন তো, খবর ছড়িয়ে গেলে পাবলিসিটিই বেশি হয়। কাজ হয় না। ওদিকে মন চলে যায়। তাই চুপচাপ কাজগুলো করে গিয়েছি। কাজ গুছিয়ে নিয়ে যখন বুঝতে পারলাম, এবার আমি রেডি, তখনই শুটিং শুরু করছি।"
Last Updated : Apr 8, 2019, 4:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.