ETV Bharat / sitara

"সেভাবে অভিনয়ের সুযোগ পাননি, আক্ষেপ ছিল শেফালির"

author img

By

Published : Feb 6, 2020, 11:35 PM IST

প্রয়াত মিস শেফালি । আজ সকাল ছটায় নিজের সোদপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । এক সময়ের কলকাতার বিখ্যাত ক্যাবারে ডান্সার । একাধিক সিনেমায় অভিনয়ও করেন তিনি । কিন্তু, কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন শেষ জীবন ।

dfg
dfg

কলকাতা : খুব আপনজন যাঁরা, তাঁদের কাছে মিস শেফালি মাম হিসেবে পরিচিত ছিলেন । সোদপুরের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে ছিল তাঁর । আর সেটাই হল । দমদমের নাগেরবাজারের বাড়ি থেকে শেষ ইচ্ছে মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোদপুরের বাড়িতে । চোখের জল ফেলতে ফেলতে একথা জানান তাঁর ভাইঝি এলভিনা সাহা ।

মিস শেফালি অর্থাৎ আরতি দাসের শেষ জীবনের কথা ETV ভারত সিতারার সঙ্গে শেয়ার করে নেন এলভিনা । বলেন, "সোদপুরে আমাদের আদি বাড়িতে মামকে এনে রেখেছিলাম । দমদমের নাগেরবাজারে থাকতেন । দু'মাস আগে ডাক্তার বলেছিলেন, মামের শরীরে সবকিছু আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । অবস্থা ভালো নয় । তখন আমি তাঁকে সোদপুরে নিয়ে চলে আসি । সেটা মামেরও শেষ ইচ্ছে ছিল, শেষ জীবনটা এখানেই থাকতে চেয়েছিলেন ।"

কিন্তু, মিস শেফালির শেষ জীবনটা ঠিক কী রকম ছিল ? এর উত্তরে এলভিনা বলেন, "সরকার থেকে মাসে 5 হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হত মামকে । সেটা চারুলতা ভবন থেকে আসত । আর শিল্পী সংসদের থেকে হাজার দেড়েক টাকা আসত । তাতে আসলে কিছুই হত না । এই যুগে ওই টাকায় কী হয় বলুন ! তবে শেষের দিকে অর্থাভাব আমরা তেমন বুঝতে দিইনি । ওঁর পাশে ছিলাম সব সময় ।"

এরপর চোখের জল ফেলতে ফেলতে তিনি বলেন, "আমাদের নিজের ছেলেমেয়ের থেকে কিছু কম ভাবতেন না । আমি এখনও ভাবতে পারছি না যে আমার মাম চলে গেছেন । গতকাল রাতেও কত কথা বললাম । ঠিক মতো বসতে পারছিলেন না । যিনি দেখাশোনা করতেন সেই দুর্গাদিকে বলেছিলাম শুইয়ে দিতে । দুর্গাদিও মামের জন্য অনেক করেছেন । আমি ও আমার ভাই মুখাগ্নি করেছি । 13 দিন পর কাজ । বাবার জন্যে যেভাবে কাজ করেছি, মামের জন্যও করব । সোদপুরের বাড়িতে কাজ হবে ।"

এক সময় সত্যজিৎ রায়ের মতো পরিচালকের ছবিতে কাজ করেছিলেন মিস শেফালি । কিন্তু, শেষে তাঁকে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি । এ প্রসঙ্গে এলভিনা বলেন, "এর জন্য মামের খুব কষ্ট ছিল । বলতে পারেন আক্ষেপ ছিল । আর তাঁকে সেভাবে কেউ ডাকল না ছবির জন্য । এই একটা আক্ষেপ নিয়ে চলে গেলেন ।"

দেখুন ভিডিয়ো

কলকাতা : খুব আপনজন যাঁরা, তাঁদের কাছে মিস শেফালি মাম হিসেবে পরিচিত ছিলেন । সোদপুরের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে ছিল তাঁর । আর সেটাই হল । দমদমের নাগেরবাজারের বাড়ি থেকে শেষ ইচ্ছে মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোদপুরের বাড়িতে । চোখের জল ফেলতে ফেলতে একথা জানান তাঁর ভাইঝি এলভিনা সাহা ।

মিস শেফালি অর্থাৎ আরতি দাসের শেষ জীবনের কথা ETV ভারত সিতারার সঙ্গে শেয়ার করে নেন এলভিনা । বলেন, "সোদপুরে আমাদের আদি বাড়িতে মামকে এনে রেখেছিলাম । দমদমের নাগেরবাজারে থাকতেন । দু'মাস আগে ডাক্তার বলেছিলেন, মামের শরীরে সবকিছু আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । অবস্থা ভালো নয় । তখন আমি তাঁকে সোদপুরে নিয়ে চলে আসি । সেটা মামেরও শেষ ইচ্ছে ছিল, শেষ জীবনটা এখানেই থাকতে চেয়েছিলেন ।"

কিন্তু, মিস শেফালির শেষ জীবনটা ঠিক কী রকম ছিল ? এর উত্তরে এলভিনা বলেন, "সরকার থেকে মাসে 5 হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হত মামকে । সেটা চারুলতা ভবন থেকে আসত । আর শিল্পী সংসদের থেকে হাজার দেড়েক টাকা আসত । তাতে আসলে কিছুই হত না । এই যুগে ওই টাকায় কী হয় বলুন ! তবে শেষের দিকে অর্থাভাব আমরা তেমন বুঝতে দিইনি । ওঁর পাশে ছিলাম সব সময় ।"

এরপর চোখের জল ফেলতে ফেলতে তিনি বলেন, "আমাদের নিজের ছেলেমেয়ের থেকে কিছু কম ভাবতেন না । আমি এখনও ভাবতে পারছি না যে আমার মাম চলে গেছেন । গতকাল রাতেও কত কথা বললাম । ঠিক মতো বসতে পারছিলেন না । যিনি দেখাশোনা করতেন সেই দুর্গাদিকে বলেছিলাম শুইয়ে দিতে । দুর্গাদিও মামের জন্য অনেক করেছেন । আমি ও আমার ভাই মুখাগ্নি করেছি । 13 দিন পর কাজ । বাবার জন্যে যেভাবে কাজ করেছি, মামের জন্যও করব । সোদপুরের বাড়িতে কাজ হবে ।"

এক সময় সত্যজিৎ রায়ের মতো পরিচালকের ছবিতে কাজ করেছিলেন মিস শেফালি । কিন্তু, শেষে তাঁকে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি । এ প্রসঙ্গে এলভিনা বলেন, "এর জন্য মামের খুব কষ্ট ছিল । বলতে পারেন আক্ষেপ ছিল । আর তাঁকে সেভাবে কেউ ডাকল না ছবির জন্য । এই একটা আক্ষেপ নিয়ে চলে গেলেন ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:খুব আপনজন যাঁরা, তাঁদের কাছে মিস শেফালী ছিলেন মাম। আদরের মাম। শেষ ইচ্ছে এটাই ছিল, সোদপুরের পৈতৃক ভিটেতেই চোখ বুঝবেন। হলও তাই। দমদমের বাগেরবাজারের বাড়ি থেকে শেষ ইচ্ছে মতো তাঁকে নীচে যাওয়া হয় সোদপুরের বাড়িতে। ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বলতে বলতে অনবরত চোখের জল ফেললেন তাঁর ভাইঝি এলভিনা সাহা।


Body:এলিভিনার কথাতেই ঝরে পড়ল মিস শেফালী, অর্থাৎ আরতি দাসের শেষ জীবনের কিছু অজানা কথা। বললেন, "সোদপুরের আমাদের আদি বাড়িতে মামকে এনে রেখেছিলাম। দমদমের নাগেরবাজারে থাকতেন। দু'মাস আগে ডাক্তার ডেকে বললেন, মামের শরীরে সবকিছু আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা ভালো নয়। তখন আমি সোদপুরে নিয়ে চলে এসেছি। সেটা মামেরও শেষ ইচ্ছে ছিল, শেষ জীবন এখানেই থাকবেন।"

জীবনের শেষ কয়েকটা বছর কতখানি ভালো ছিলেন শেফালী, এলভিনা বললেন, "সরকার থেকে পেনশন পেতেন মাম। মাসে ৫ হাজার টাকা। সেটা চারুলতা ভবন থেকে আসত। শিল্পী সংসদের থেকে সামান্য কিছু টাকা আসত, এই হাজার দেড়েক টাকা। তাতে কিছুই হত না আসলে। এই যুগে এই টাকায় কী হয় বলুন! তবে শেষের দিকে অর্থাভাব আমরা তেমন বুঝতে দিইনি। ওঁর পাশে ছিলাম।"

বলতে বলতে চোখের জল ফেলেন এলভিনা, "মাম আমার আমার ভাইয়ের কাছে বাবা-মায়ের থেকেও বেশি ছিলেন। আমাদেরকে ছেলেমেয়ের চেয়ে কম কিছু ভাবতেই পারেননি। তাই আমরাও ওঁকে মাম ছাড়া কিছু ভাবিনি। আমি এখনও ভাবতে পারছি না যে আমার মাম চলে গেছে। গতকাল রাতেও কত কথা বললাম। আমাকে বলছিলেন, ঠিক মতো বসতে পারছেন না। মামকে যিনি দেখাশোনা করতেন দুর্গাদিকে বলেছিলাম মামকে শুইয়ে দিতে। এই দিদিও অনেক করেছেন মামের জন্য। আমি আমার ভাই মুখাগ্নি করেছি। ১৩ দিন পর কাজ। বাবার জন্যে যেভাবে কাজ করেছি, মামের জন্যেও করব। সোদপুরের বাড়িতে কাজ হবে।"

তবে মিস শেফালি কে সেভাবে দেখা গেল না অন্য কোনও ছবিতে। সেই নিয়ে কথা বললেন এলভিনা। বললেন, "মামের খুব কষ্ট ছিল। বলতে পারেন আক্ষেপ ছিল। আর তাঁকে সেভাবে কেউ ডাকল না ছবির জন্য। এই একটা ক্ষেত নিয়ে চলে গেলেন।"


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.