ETV Bharat / sitara

কাঠুয়া-আলিগড় কাণ্ডের তীব্র নিন্দা টলিউডের!

দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে শিশু নিগ্রহের ঘটনা। শিশুদের উপর নির্মম অত্যাচার এবং নৃশংসতাকে ধিক্কার জানিয়েছে সমাজ। সামিল হল টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও। ETV ভারত সিতারার কাছে আলিগড় এবং কাঠুয়া কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করলেন তাঁরা।

কাঠুয়া
author img

By

Published : Jun 12, 2019, 7:17 PM IST

  • সুদেষ্ণা রায় (পরিচালক এবং চাইল্ড রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট) : দেখুন আমি একটা কথা বলি, কাঠুয়ার রায় ঠিক আছে। কিন্তু বয়সের কারণে যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেই আসামিরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এটাতেই আমি বিশ্বাস করি। যেহেতু আমি চাইল্ড রাইটস নিয়ে কাজ করি, মনে করি সেই আসামির শাস্তি কাম্য। ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়া উচিত। বোঝা উচিত কী করেছে তারা। আমি বিশ্বাস করি বাচ্চাদের যারা নৃশংসভাবে অত্যাচার করে হত্যা করে, আমি এখনও তাদের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্টেরই দাবী করি। আমি মনে করি যারা নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করতে পারে, যাই হতে পারে, পিডোফিলিয়া বা অন্য কিছু, আমি মনে করি তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। আলিগড়ের বাচ্চাটির সঙ্গে যা হয়েছে. বা কাঠুয়াতে মেয়েটির সঙ্গে যা ঘটেছে, দিনের পর দিন ওরকম নৃশংসভাবে, ড্রাগ দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এই সব আসামিদের কোনও ক্ষমা হতে পারে না। এখানে আমি বাবা-মাদেরও কিছু বলতে চাই। বাবা-মাদের চোখ কান সব সময় খোলা রাখা উচিত। এই ঘটনাগুলিতে বাবা-মায়েরা যেন একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়। আজ তোমার বাচ্চার হচ্ছে বলে আমার বাচ্চার হবে না, তা নয়। এই ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। বাচ্চাদের সব সময় নিজেদের কাছে রাখবেন। কেউ চাইলেও, তার কাছে দিয়ে দেবেন না। বাবা-মায়েরও দায়িত্ব থাকে তাদের বাচ্চাকে দেখাশোনা করার এবং বাচ্চাদের কথা শোনা। এরকম আমি অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, যে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বিশ্বাস করতে চায় না। বাচ্চাদের উপর যারা নৃশংসতা করে, তারা কিন্তু অনেকসময় পরিবারেরই লোকজন হয়। আমি এরকমও শুনেছি, আমি আমার বাচ্চাকে খুব সাবধানে ঘরে বন্ধ করে রাখি। বাচ্চাটাকে বন্ধ করে রাখলে তো হবে না। যে নৃশংসতা করছে, সে তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মানুষদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।"
  • নন্দিতা রায় (পরিচালক) : "আমি এখনও রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। আলিগড়ের ছোট্ট মেয়েটার মিষ্টি মুখখানি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে কাঠুয়ার বাচ্চাটির মুখটাও। গোড়াতে কিছু গণ্ডগোল আছে আমাদের সমাজে। যে কারণে ওদের এই পরিণতি হয়। আমি এদের হত্যাকারীদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি কামনা করি। যাতে এই ধরনের নৃশংসতা করার আগে মানুষের আত্মা কেঁপে ওঠে। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে তাদের জন্য আমার কোন সহমর্মিতা নেই। এরা সমাজের ঘৃণ্য পদার্থ।"
  • পৃথা চক্রবর্তী (পরিচালক) : "কাঠুয়া কেসে যে নাবালককে জুভেনাইল অ্যাক্টের আওতায় ফেলে রেহাই দেওয়া হয়েছে, আমি তার শাস্তি কামনা করি। সেও কম দোষী নয়। এরপরে যেটা হবে, আঠারোর নিচে বয়স বলে যে কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে রেহাই পেয়ে যাবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি অন্তত সমর্থন করি না। দিল্লি রেপ কেসেও একই রায় দেওয়া হয়েছিল। আমি সেটাকেও সমর্থন করিনি। নির্ভয়া যে কারণে মারা গেল, সেই ছেলেটি জুভেনাইল হওয়ার কারণে তার ফাঁসি হল না। এটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমি ওই বাচ্চাগুলোর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। ওরকম ফুলের মতো মিষ্টি শিশুকে যারা মেরেছে, তাদেরকেও যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। যা কিনা শাস্তি হিসেবে নিদর্শন হয়ে থাকবে সমাজের কাছে। তবে ডেথ পেনাল্টিতে আমি বিশ্বাস করি না। কাউকে মেরে ফেলার অধিকার আমাদের নেই। আমার মনে হয় কোনও মানুষকে যদি শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সেটা ফাঁসির থেকেও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।"

  • সুদেষ্ণা রায় (পরিচালক এবং চাইল্ড রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট) : দেখুন আমি একটা কথা বলি, কাঠুয়ার রায় ঠিক আছে। কিন্তু বয়সের কারণে যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেই আসামিরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এটাতেই আমি বিশ্বাস করি। যেহেতু আমি চাইল্ড রাইটস নিয়ে কাজ করি, মনে করি সেই আসামির শাস্তি কাম্য। ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়া উচিত। বোঝা উচিত কী করেছে তারা। আমি বিশ্বাস করি বাচ্চাদের যারা নৃশংসভাবে অত্যাচার করে হত্যা করে, আমি এখনও তাদের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্টেরই দাবী করি। আমি মনে করি যারা নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করতে পারে, যাই হতে পারে, পিডোফিলিয়া বা অন্য কিছু, আমি মনে করি তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। আলিগড়ের বাচ্চাটির সঙ্গে যা হয়েছে. বা কাঠুয়াতে মেয়েটির সঙ্গে যা ঘটেছে, দিনের পর দিন ওরকম নৃশংসভাবে, ড্রাগ দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এই সব আসামিদের কোনও ক্ষমা হতে পারে না। এখানে আমি বাবা-মাদেরও কিছু বলতে চাই। বাবা-মাদের চোখ কান সব সময় খোলা রাখা উচিত। এই ঘটনাগুলিতে বাবা-মায়েরা যেন একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়। আজ তোমার বাচ্চার হচ্ছে বলে আমার বাচ্চার হবে না, তা নয়। এই ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। বাচ্চাদের সব সময় নিজেদের কাছে রাখবেন। কেউ চাইলেও, তার কাছে দিয়ে দেবেন না। বাবা-মায়েরও দায়িত্ব থাকে তাদের বাচ্চাকে দেখাশোনা করার এবং বাচ্চাদের কথা শোনা। এরকম আমি অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, যে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বিশ্বাস করতে চায় না। বাচ্চাদের উপর যারা নৃশংসতা করে, তারা কিন্তু অনেকসময় পরিবারেরই লোকজন হয়। আমি এরকমও শুনেছি, আমি আমার বাচ্চাকে খুব সাবধানে ঘরে বন্ধ করে রাখি। বাচ্চাটাকে বন্ধ করে রাখলে তো হবে না। যে নৃশংসতা করছে, সে তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মানুষদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।"
  • নন্দিতা রায় (পরিচালক) : "আমি এখনও রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। আলিগড়ের ছোট্ট মেয়েটার মিষ্টি মুখখানি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে কাঠুয়ার বাচ্চাটির মুখটাও। গোড়াতে কিছু গণ্ডগোল আছে আমাদের সমাজে। যে কারণে ওদের এই পরিণতি হয়। আমি এদের হত্যাকারীদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি কামনা করি। যাতে এই ধরনের নৃশংসতা করার আগে মানুষের আত্মা কেঁপে ওঠে। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে তাদের জন্য আমার কোন সহমর্মিতা নেই। এরা সমাজের ঘৃণ্য পদার্থ।"
  • পৃথা চক্রবর্তী (পরিচালক) : "কাঠুয়া কেসে যে নাবালককে জুভেনাইল অ্যাক্টের আওতায় ফেলে রেহাই দেওয়া হয়েছে, আমি তার শাস্তি কামনা করি। সেও কম দোষী নয়। এরপরে যেটা হবে, আঠারোর নিচে বয়স বলে যে কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে রেহাই পেয়ে যাবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি অন্তত সমর্থন করি না। দিল্লি রেপ কেসেও একই রায় দেওয়া হয়েছিল। আমি সেটাকেও সমর্থন করিনি। নির্ভয়া যে কারণে মারা গেল, সেই ছেলেটি জুভেনাইল হওয়ার কারণে তার ফাঁসি হল না। এটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমি ওই বাচ্চাগুলোর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। ওরকম ফুলের মতো মিষ্টি শিশুকে যারা মেরেছে, তাদেরকেও যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। যা কিনা শাস্তি হিসেবে নিদর্শন হয়ে থাকবে সমাজের কাছে। তবে ডেথ পেনাল্টিতে আমি বিশ্বাস করি না। কাউকে মেরে ফেলার অধিকার আমাদের নেই। আমার মনে হয় কোনও মানুষকে যদি শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সেটা ফাঁসির থেকেও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।"
Intro:দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে শিশু নিগ্রহের ঘটনা। শিশুদের উপর নির্মম অত্যাচার এবং নৃশংসতাকে ধিক্কার জানিয়েছে সমাজ। সামিল হল টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। ETV Bharat'এর কাছে আলীগড় এবং কাঠুয়া কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে প্রতিক্রিয়া জানালেন তাঁরা।


Body:সুদেষ্ণা রায় (পরিচালক এবং চাইল্ড রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট) :
"দেখুন আমি একটা কথা বলি, কাঠুয়ার রায় ঠিক আছে। কিন্তু বয়সের কারণেযাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেই আসামিরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এটাতেই আমি বিশ্বাস করি। যেহেতু আমি চাইল্ড রাইটস নিয়ে কাজ করি, মনে করি সেই আসামির শাস্তি কাম্য। ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়া উচিত। বোঝা উচিত কী করেছে তারা। আমি বিশ্বাস করি বাচ্চাদের যারা নৃশংসভাবে অত্যাচার করে হত্যা করে, আমি এখনও তাদের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্টেরই দাবী করি। আমি মনে করি যারা নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করতে পারে, যাই হতে পারে, পিডোফিলিয়া বা অন্য কিছু, আমি মনে করি তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। আলীগড়ের টুইংকেলের সঙ্গে যা হয়েছে, বা আসিফার সঙ্গে যা ঘটনা ঘটেছে দিনের পর দিন ওইভাবে নিশংসভাবে, ড্রাগ করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এই সব আসামিদের কোন ক্ষমা হতে পারে না। এখানে আমি বাবা-মাদের ও কিছু বলতে চাই। বাবা-মাদের চোখ কান সব সময় খোলা রাখা উচিত। এই ঘটনাগুলিতে বাবা-মায়েরা যেন একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়। আজ তোমার বাচ্চার হচ্ছে বলে আমার বাচ্চার হবে না, তা নয়। এব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। বাচ্চাদের সব সময় নিজেদের কাছে রাখবেন। কেউ চাইলেও, তার কাছে দিয়ে দেবেন না। বাবা-মায়েরও দায়িত্ব থাকে তাদের বাচ্চাকে দেখাশোনা করার এবং বাচ্চাদের কথা শোনা। এরকম আমি অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, যে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বিশ্বাস করতে চায় না। বাচ্চাদের উপর যারা নৃসংসতা করে, তারা কিন্তু অনেকসময় পরিবারেরই লোকজন হয়। আমি এরকমও শুনেছি, আমি আমার বাচ্চাকে খুব সাবধানে ঘরে বন্ধ করে রাখি। বাচ্চা টাকে বন্ধ করে রাখলে তো হবে না। যে নৃশংসতা করছে, সে তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মানুষদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।"

নন্দিতা রায় (পরিচালক) :
"আমি এখনও রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। আলীগড়ের ছোট্ট টুইঙ্কল শর্মার মিষ্টি মুখ খানি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে কাটোয়ার আসিফার মুখটাও। গোড়াতে কিছু গণ্ডগোল আছে আমাদের সমাজে। যে কারণে টুইঙ্কল-আসিফাদের এই পরিণতি হয়। আমি এদের আসামিদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি কামনা করি। যাতে এই ধরনের নৃসংসতা করার আগে মানুষের আত্মা কেঁপে ওঠে। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে তাদের জন্য আমার কোন সহমর্মিতা নেই। এঁরা সমাজের ঘৃণ্য পদার্থ।"




Conclusion:পৃথা চক্রবর্তী (পরিচালক)
"কাটোয়া কেসে যে নাবালককে জুভেনাইল অ্যাক্টের আওতায় ফেলে রেহাই দেওয়া হয়েছে, আমি তার শাস্তি কামনা করি। সেও কম দোষী নয়। এরপরে যেটা হবে, আঠারোর নিচে বয়স বলে যে কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে রেহাই পেয়ে যাবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি অন্তত সমর্থন করি না। দিল্লি রেপ কেসেও একই রায় দেওয়া হয়েছিল। আমি সেটাকেও সমর্থন করিনি। নির্ভায়া যে কারণে মারা গেল, সেই ছেলেটি জুভেনাইল হওয়ার কারণে তার ফাঁসি হল না। এটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমি টুইংকেলের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। ওরকম ফুলের মতো মিষ্টি শিশুকে যারা মেরেছে, তাদেরকেও যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। যা কিনা শাস্তি হিসেবে নিদর্শন হয়ে থাকবে সমাজের কাছে। তবে ডেথ পেনাল্টিতে আমি বিশ্বাস করি না। কাউকে মেরে ফেলার অধিকার আমাদের নেই। আমার মনে হয় কোনও মানুষকে যদি শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সেটা ফাঁসির থেকেও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।"




ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.