নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: আজও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটে (Enforcement Directorate) হাজিরা দিলেন না বলিউডের অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)৷ সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekar) বিরুদ্ধে 200 কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের মামলার (Money-laundering Case) তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকলিনকে বারবার সমন পাঠিয়েছে ইডি (ED) ৷ তবে আজকে নিয়ে চতুর্থবার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়া এড়িয়ে গেলেন অভিনেত্রী ৷ গত চার দিনে শুক্রবার, শনিবার ও আজ অর্থাৎ সোমবার ইডি-র দেওয়া তারিখ এড়িয়ে গেলেন তিনি ৷
সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে যে, নিজের পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন বলিউডের এই ডিভা ৷ গত অগস্ট মাসে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন 36 বছরের জ্যাকলিন ৷ এই মামলায় নিজের বয়ান রেকর্ডও করান তিনি ৷ তারপর থেকে 25 সেপ্টেম্বর, 15 ও 16 অক্টোবর ও আজকের সমন এড়িয়ে গেলেন জ্যাকলিন ৷ খুব শিগগিরই আবারও ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়া তারিখ দেবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত চন্দ্রশেখর ও তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী লীনা মারিয়া পালের মুখোমুখি বসিয়ে জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের আর্থিক লেনদেনে নজর পড়েছে ইডি-র ৷
তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ পিছিয়ে দিয়ে যাতে পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে করা হয়, শুক্রবার আধিকারিকদের কাছে এই আর্জিই জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন ৷ তবে ইডি সময় নষ্ট না-করে অবিলম্বে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়ায় পরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারিখ দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Katrina Kaif-Vicky Kaushal: ক্যাটরিনার সঙ্গে বাগদান ! ভিকি বললেন, ‘শীঘ্রই খবর পাবেন’
এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার 29 বছরের অভিনেত্রী নোরা ফতেহির (Nora Fatehi) বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি ৷ নোরার প্রতিনিধি জানান, অভিনেত্রী এই মামলার ভুক্তভোগী এবং তিনি একজন সাক্ষীও ৷ তদন্তে তিনি আধিকারিকদের যথাসাধ্য সাহায্য করছেন ৷ ফোর্টিস হেল্থকেয়ারের প্রোমোটার শিবিন্দ্র মোহন সিং-এর স্ত্রী অদিতি সিং-সহ হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন চন্দ্রশেখর ও তাঁর স্ত্রী ৷ সম্প্রতি তাঁদের ইডি-র অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Aryan Khan : 'আর্তের সেবায় নিজেকে ডুবিয়ে দেব', এনসিবি আধিকারিককে বললেন আরিয়ান
গত অগস্ট মাসে চন্দ্রশেখরের চেন্নাইয়ের বাংলোয় হানা দেয় ইডি ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁদের নগদ 82.5 লাখ টাকা ও এক ডজনেরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি ৷ একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল যে, চন্দ্রশেখর হলেন একজন পরিচিত কনম্যান ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তোলাবাজি ও প্রতারণা সংক্রান্ত 200 কোটি টাকার মামলায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ ৷ ইডি জানিয়েছিল যে, "এই প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড চন্দ্রশেখর ৷ তাঁর 17 বছর বয়স থেকেই তিনি অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত ৷ তাঁর বিরুদ্ধে বহু এফআইআর রয়েছে এবং তিনি বর্তমানে রোহিণী সংশোধনাগারে রয়েছেন ৷" জেলে থেকেও তিনি অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে ইডি ৷