ETV Bharat / sitara

গিরীশ কারনাডের মৃত্যুতে কী বলছে বাংলার নাট্যজগৎ?

author img

By

Published : Jun 10, 2019, 10:10 PM IST

জ্ঞানপীঠ সম্মানে ভূষিত ভারতবর্ষের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ কারনাড চলে গেলেন ৮১ বছর বয়সে। তাঁর এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলার নাট্যব্যক্তিত্বরা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সোহিনী সেনগুপ্ত, প্রত্যেকেই শ্রদ্ধা জানালেন গিরিশ কারনাডকে কথা বললেন ETV ভারতের সঙ্গে।

গিরীশ কারনাড
  • সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় : আমার সমসাময়িক গিরিশ। সমবয়সীও বলা যেতে পারে। খুবই ভারাক্রান্ত বোধ করছি এই মুহূর্তে। গত সপ্তাহে, সোমবারই আমার আরেক বন্ধু রুমা পরলোক গমন করেছেন। আর এই সপ্তাহে গিরিশ। ধীরে ধীরে সব আলো নিভে যাচ্ছে। অসামান্য নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ওঁর অভিনয় অবাক হয়ে দেখতাম।
  • বিভাস চক্রবর্তী : অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভিতর ভিতর। মানুষটা যে আর নেই, এটা ভাবতেই কেমন লাগছে। বাংলায় বাদল সরকার, মারাঠিতে বিজয় তেন্ডুলকার এবং কন্নড়ে গিরীশ। ষাটের দশকের এই নাট্য কিংবদন্তীরা মঞ্চ কাঁপিয়েছেন ভারতজুড়ে। আজ এক যুগের অবসান হল। গিরিশ অত্যন্ত কঠোর এবং পরিশ্রমী নাট্যকর্মী ছিলেন। সেভাবেই আমি তাঁকে মনে রেখেছি। কী সব অসামান্য নাটক উপহার দিয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে গিরীশ কারনাডের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
  • রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত : একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষিত নাট্যকর্মীকে হারাল ভারতীয় নাট্যজগৎ। চার দশক ধরে অসামান্য কিছু নাটক উপহার দিয়েছেন গিরিশ কারনাড। তাঁর এই চলে যাওয়াকে একটা যুগের অবসানও বলা যেতে পারে। একটা অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার নাট্যজগৎ, তথা ভারতবর্ষের নাট্যজগৎ এই মহান নাট্যপ্রেমীকে যুগ যুগ মনে রাখবে।
  • কৌশিক সেন : আজ সকালে খবরটা পাওয়ার পর থেকে মনটা ব্যথিত। বেশি কিছু বলতে পারছি না। গিরিশ কারনাডের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা আমাদের শিক্ষক, আমাদের গুরু। আমরা যেমন বাদল সরকারের থেকে থার্ড থিয়েটারের মুনশিয়ানা শিখেছি, তেমনই গিরীশ স্যারের থেকে কীভাবে মাইথোলজির সাহায্যে সমাজের কনটেম্পোরারি ইস্যুকে মঞ্চে তুলে ধরা যায়, সেটা শিখেছি।
  • দেবশংকর হালদার : আমরা আজ যে ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করি, তাঁর ভিত স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন গিরিশ কারনাড, বাদল সরকার, বিজয় তেন্ডুলকরের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা। একজন অসাধারণ নাট্য নির্মাতা এবং অভিনেতাকে আমরা হারালাম, এটা ভারতীয় নাট্যজগতের ক্ষতি। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম এবং গিরিশ কারনাডের আত্মার শান্তি কামনা করি।
  • সোহিনী সেনগুপ্ত : ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ছিল। অসম্ভব ভালো পার্সোনালিটি ক্যারি করতেন। এঁরাই আমাদের পথের প্রদর্শক। আমার পিতৃস্থানীয় একজনকে হারালাম। মনটা ভালো নেই।
  • স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত : সকাল থেকে খবরটা পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। অসামান্য নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ। আমাদের সমসাময়িক। আস্তে আস্তে সব আলোগুলো নিভে যাচ্ছে। সময় এসে গেছে আমাদের চলে যাওয়ার।
  • অর্পিতা ঘোষ: গিরীশ কারনাডের চলে যাওয়া ভারতীয় থিয়েটারের ক্ষতি। উনি থিয়েটারকে যা দিয়ে গেছেন, তা চিরকাল থেকে যাবে। ভারতের মঞ্চে দ্বিতীয় গিরীশ কারনাড তৈরি হবে না।

  • সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় : আমার সমসাময়িক গিরিশ। সমবয়সীও বলা যেতে পারে। খুবই ভারাক্রান্ত বোধ করছি এই মুহূর্তে। গত সপ্তাহে, সোমবারই আমার আরেক বন্ধু রুমা পরলোক গমন করেছেন। আর এই সপ্তাহে গিরিশ। ধীরে ধীরে সব আলো নিভে যাচ্ছে। অসামান্য নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ওঁর অভিনয় অবাক হয়ে দেখতাম।
  • বিভাস চক্রবর্তী : অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভিতর ভিতর। মানুষটা যে আর নেই, এটা ভাবতেই কেমন লাগছে। বাংলায় বাদল সরকার, মারাঠিতে বিজয় তেন্ডুলকার এবং কন্নড়ে গিরীশ। ষাটের দশকের এই নাট্য কিংবদন্তীরা মঞ্চ কাঁপিয়েছেন ভারতজুড়ে। আজ এক যুগের অবসান হল। গিরিশ অত্যন্ত কঠোর এবং পরিশ্রমী নাট্যকর্মী ছিলেন। সেভাবেই আমি তাঁকে মনে রেখেছি। কী সব অসামান্য নাটক উপহার দিয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে গিরীশ কারনাডের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
  • রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত : একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষিত নাট্যকর্মীকে হারাল ভারতীয় নাট্যজগৎ। চার দশক ধরে অসামান্য কিছু নাটক উপহার দিয়েছেন গিরিশ কারনাড। তাঁর এই চলে যাওয়াকে একটা যুগের অবসানও বলা যেতে পারে। একটা অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার নাট্যজগৎ, তথা ভারতবর্ষের নাট্যজগৎ এই মহান নাট্যপ্রেমীকে যুগ যুগ মনে রাখবে।
  • কৌশিক সেন : আজ সকালে খবরটা পাওয়ার পর থেকে মনটা ব্যথিত। বেশি কিছু বলতে পারছি না। গিরিশ কারনাডের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা আমাদের শিক্ষক, আমাদের গুরু। আমরা যেমন বাদল সরকারের থেকে থার্ড থিয়েটারের মুনশিয়ানা শিখেছি, তেমনই গিরীশ স্যারের থেকে কীভাবে মাইথোলজির সাহায্যে সমাজের কনটেম্পোরারি ইস্যুকে মঞ্চে তুলে ধরা যায়, সেটা শিখেছি।
  • দেবশংকর হালদার : আমরা আজ যে ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করি, তাঁর ভিত স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন গিরিশ কারনাড, বাদল সরকার, বিজয় তেন্ডুলকরের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা। একজন অসাধারণ নাট্য নির্মাতা এবং অভিনেতাকে আমরা হারালাম, এটা ভারতীয় নাট্যজগতের ক্ষতি। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম এবং গিরিশ কারনাডের আত্মার শান্তি কামনা করি।
  • সোহিনী সেনগুপ্ত : ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ছিল। অসম্ভব ভালো পার্সোনালিটি ক্যারি করতেন। এঁরাই আমাদের পথের প্রদর্শক। আমার পিতৃস্থানীয় একজনকে হারালাম। মনটা ভালো নেই।
  • স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত : সকাল থেকে খবরটা পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। অসামান্য নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ। আমাদের সমসাময়িক। আস্তে আস্তে সব আলোগুলো নিভে যাচ্ছে। সময় এসে গেছে আমাদের চলে যাওয়ার।
  • অর্পিতা ঘোষ: গিরীশ কারনাডের চলে যাওয়া ভারতীয় থিয়েটারের ক্ষতি। উনি থিয়েটারকে যা দিয়ে গেছেন, তা চিরকাল থেকে যাবে। ভারতের মঞ্চে দ্বিতীয় গিরীশ কারনাড তৈরি হবে না।
Intro:জ্ঞানপীঠ সম্মানে ভূষিত ভারতবর্ষের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ কারনাড চলে গেলেন ৮১ বছর বয়সে। তাঁর এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলার নাট্যব্যক্তিত্বরা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সোহিনী সেনগুপ্ত, প্রত্যেকেই শ্রদ্ধা জানালেন গিরিশ কারনাডকে কথা বললেন ETV ভারতের সঙ্গে।


Body:সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বললেন, "আমার সমসাময়িক গিরিশ। সমবয়সিও বলা যেতে পারে। খুবই ভারাক্রান্ত বোধ করছি এই মুহূর্তে। গত সপ্তাহে, সোমবারই আমার আরেক বন্ধু রুমা পরলোক গমন করেছেন। আর এই সপ্তাহে গিরিশ। ধীরে ধীরে সব আলো নিভে যাচ্ছে। অসামান্য নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ওঁর অভিনয় অবাক হয়ে দেখতাম।"

গিরিশ কারনাডের আরেক সমসাময়িক বিভাস চক্রবর্তী গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, "অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভিতর ভিতর। মানুষটা যে আর নেই, এটা ভাবতেই কেমন লাগছে। বাংলায় বাদল সরকার, মারাঠিতে বিজয় তেন্ডুলকার এবং কন্নড়ে গিরিশ। ষাটের দশকের এই নাট্য কিংবদন্তীরা মঞ্চ কাঁপিয়েছেন ভারতজুড়ে। আজ এক যুগের অবসান হল। গিরিশ অত্যন্ত কঠোর এবং পরিশ্রমী নাট্যকর্মী ছিলেন। সেভাবেই আমি তাঁকে মনে রেখেছি। কী সব অসামান্য নাটক উপহার দিয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে গিরিশ কারনাডের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।"

একই সুরে কথা বললেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, "একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষিত নাট্যকর্মীকে হারাল ভারতীয় নাট্যজগৎ। চার দশক ধরে অসামান্য কিছু নাটক উপহার দিয়েছেন গিরিশ কারনাড। তাঁর এই চলে যাওয়া একটা যুগের অবসানও বলা যেতে পারে। একটা অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার নাট্যজগৎ, তথা ভারতবর্ষের নাট্যজগৎ এই মহান নাট্যপ্রেমীকে যুগ যুগ মনে রাখবে।"

নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বললেন, "আজ সকালে খবরটা পাওয়ার পর থেকে মনটা ব্যথিত। বেশি কিছু বলতে পারছি না। গিরিশ কারনাডের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা আমাদের শিক্ষক, আমাদের গুরু। আমরা যেমন বাদল সরকারের থেকে থার্ড থিয়েটারের মুনশিয়ানা শিখেছি। তেমনই গিরিশ স্যারের থেকে কীভাবে মাইথোলজির সাহায্যে সমাজের কনটেম্পোরারি ইস্যুকে মঞ্চে তুলে ধরা যায়, সেটা শিখেছি।"

দেব শংকর হালদার বললেন, "আমরা আজ যে ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করি, তাঁর ভিত স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন গিরিশ কারনাড, বাদল সরকার, বিজয় তেন্ডুলকরের মতো নাট্যব্যক্তিত্বরা। একজন অসাধারণ নাট্য নির্মাতা এবং অভিনেতাকে আমরা হারালাম, এটা ভারতীয় নাট্যজগতের ক্ষতি। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম এবং গিরিশ কারনাড আত্মার শান্তি কামনা করি।"




Conclusion:নাটকের মঞ্চে সোহিনী সেনগুপ্ত একজন অন্যতম অভিনেত্রী। বললেন, "ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ছিল। অসম্ভব ভালো পার্সোনালিটি ক্যারি করতেন। এঁরাই আমাদের পথের প্রদর্শক। আমার পিতৃস্থানীয় একজনকে হারালাম। মনটা ভালো নেই।"

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর স্ত্রী এবং সোহিনী সেনগুপ্তর মা বলে নয়, নাটকের গুরুমা বলা হয় স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে। গিরিশ কারনাড এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ স্বাতীলেখাও। বললেন, "সকাল থেকে খবরটা পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। অসামান্য নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ। আমাদের সমসাময়িক। আস্তে আস্তে সব আলোগুলো নিভে যাচ্ছে। সময় এসে গেছে আমাদের চলে যাওয়ার।"

অর্পিতা ঘোষ বললেন, "গিরিশ কারনাডের চলে যাওয়া ভারতীয় থিয়েটার এর ক্ষতি। উনি থিয়েটারকে যা দিয়ে গেছেন, তা চিরকাল থেকে যাবে। ভারতের মঞ্চে দ্বিতীয় গিরিশ কারনাড তৈরি হবে না।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.