ETV Bharat / sitara

"ক্ষতিপূরণ যেন সরকার নিজেদের পকেট থেকে দেয়, ট্যাক্সের টাকায় নয়" : অনীক

শিল্পীর শিল্পকর্ম সে যে শিল্পীই হোন, পেইন্টার, কার্টুনিস্ট, ফিল্মমেকার, সং রাইটার, নাট্যকার - তাঁদের প্রত্যেকের আর্ট অফ এক্সপ্রেশন থাকে। কারোর সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বলছে সুপ্রিম কোর্ট।

অনীক দত্ত, সংগৃহীত ছবি
author img

By

Published : Apr 11, 2019, 2:29 PM IST

কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের সদ্য পাওয়া রায় অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে জরিমানা হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে ছবির প্রযোজক অর্থাৎ আইডিবিলি ক্রিয়েটিভ প্রাইভেট লিমিটেডের বিলি চ্যাটার্জি এবং ইন্দিরা উন্নিনায়ারকে। সেই সঙ্গে সিনেমা হল মালিকগুলির ক্ষতিপূরণ দেবে সরকারই। আর সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন প্রযোজক পরিচালক সকলেই। তবে ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অনীক দত্ত বলেন, "20 লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রোডিউসারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দিতে বলেছে সেটা যেন রাজ্য সরকার নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেয়। কারণ, বাকি সবটাই তো রাজ্যবাসীর ট্যাক্সের টাকা।"

মুক্তির প্রায় দেড়মাসের লড়াইয়ের পর গত ৫ এপ্রিল 'ভবিষ্যতের ভূত' ফিরেছে সিনেমা হলে। আজ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ঘোষণার পর পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, "খুবই ভালো খবর। অন্যায় তো করিনি। তাই সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। আমার প্রডিউসার বন্ধুদের এর দরুন অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানসিক ক্ষতি, শারীরিক শ্রম অনেককিছু ব্যয় করতে হয়েছে। শেষমেশ আশার আলো দেখলাম। তবে এই যে 20 লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রোডিউসারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দিতে বলেছে সেটা যেন রাজ্য সরকার নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেয়। কারণ, বাকি সবটাই তো রাজ্যবাসীর ট্যাক্সের টাকা। সুতরাং, নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেওয়াই ভালো। এটুকুই বলতে চাই।"

দীর্ঘদিনের আইনি যুদ্ধ করার পর শীর্ষ আদালত থেকে এরকম একটা রায় পেয়ে প্রযোজক ইন্দিরা বলেন, "অসম্ভব ভালো লাগছে। এটা সত্যিই আমাদের জয়। এতদিনের দীর্ঘ লড়াই। হাল ছেড়ে দিইনি। আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অন্যায় তো করিনি। আজ শীর্ষ আদালত থেকে যে রায় বেরিয়েছে তাতে দু'তিনটে জিনিস উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে খুবই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন শিল্পীর শিল্পকর্ম সে যে শিল্পীই হোন, পেইন্টার, কার্টুনিস্ট, ফিল্মমেকার, সং রাইটার, নাট্যকার - তাঁদের প্রত্যেকের আর্ট অফ এক্সপ্রেশন থাকে। কারোর সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বিশেষ করে পুলিশের কোনও অধিকারই নেই বাধা দেওয়ার বা হস্তক্ষেপ করার। তাদের এটা ভাবার কোনও কারণ নেই, যে শিল্পকর্মে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে তাদের নৈতিক ক্ষমতা আছে। বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার আছে এদেশের মানুষের। এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোনও রাজ্য সরকারের নেই। এছাড়াও বিচারপতি বলেন, উপরন্তু রাজ্য কাজ এটাই, যে তারা রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। শিল্পীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। এই নির্দিষ্ট কেসে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এটাই, যে রাজ্যের পুলিশ তাদের ক্ষমতার বাইরে এসে, আইনের বাইরে এসে, সাংবিধানিক নিয়মের বাইরে এসে, একটি ছবিকে অনৈতিকভাবে ব্যান করার চেষ্টা করেছে। বিচারপতি আরও বলেন এই ঘটনাটিতে সংবিধানিক অধিকারকে লংঘন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবং এটি অত্যন্ত সাংঘাতিক ঘটনা। এর কারণ মানুষ অসহিষ্ণু উঠেছে। তাদের যেটা পছন্দ হচ্ছে না সেটা তারা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এর কারণে মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিচারপতি যা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে ইন্দিরা আরও বলেন, "ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শনী ব্যান করার কারণে শিল্পীর বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছবির প্রযোজকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারকে কুড়ি লাখ টাকা দিতে হবে আইড বিলি ক্রিয়েশনস প্রাইভেট লিমিটেডকে। এছাড়াও আইনি যুদ্ধ লড়তে গিয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেজন্য তাঁদের 1 লাক টাকাও দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে, এই ছবি প্রদর্শনীতে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না করা হয়। প্রয়োজনে যেন নিরাপত্তাও দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।"

কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের সদ্য পাওয়া রায় অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে জরিমানা হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে ছবির প্রযোজক অর্থাৎ আইডিবিলি ক্রিয়েটিভ প্রাইভেট লিমিটেডের বিলি চ্যাটার্জি এবং ইন্দিরা উন্নিনায়ারকে। সেই সঙ্গে সিনেমা হল মালিকগুলির ক্ষতিপূরণ দেবে সরকারই। আর সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন প্রযোজক পরিচালক সকলেই। তবে ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অনীক দত্ত বলেন, "20 লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রোডিউসারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দিতে বলেছে সেটা যেন রাজ্য সরকার নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেয়। কারণ, বাকি সবটাই তো রাজ্যবাসীর ট্যাক্সের টাকা।"

মুক্তির প্রায় দেড়মাসের লড়াইয়ের পর গত ৫ এপ্রিল 'ভবিষ্যতের ভূত' ফিরেছে সিনেমা হলে। আজ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ঘোষণার পর পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, "খুবই ভালো খবর। অন্যায় তো করিনি। তাই সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। আমার প্রডিউসার বন্ধুদের এর দরুন অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানসিক ক্ষতি, শারীরিক শ্রম অনেককিছু ব্যয় করতে হয়েছে। শেষমেশ আশার আলো দেখলাম। তবে এই যে 20 লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রোডিউসারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দিতে বলেছে সেটা যেন রাজ্য সরকার নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেয়। কারণ, বাকি সবটাই তো রাজ্যবাসীর ট্যাক্সের টাকা। সুতরাং, নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেওয়াই ভালো। এটুকুই বলতে চাই।"

দীর্ঘদিনের আইনি যুদ্ধ করার পর শীর্ষ আদালত থেকে এরকম একটা রায় পেয়ে প্রযোজক ইন্দিরা বলেন, "অসম্ভব ভালো লাগছে। এটা সত্যিই আমাদের জয়। এতদিনের দীর্ঘ লড়াই। হাল ছেড়ে দিইনি। আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অন্যায় তো করিনি। আজ শীর্ষ আদালত থেকে যে রায় বেরিয়েছে তাতে দু'তিনটে জিনিস উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে খুবই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন শিল্পীর শিল্পকর্ম সে যে শিল্পীই হোন, পেইন্টার, কার্টুনিস্ট, ফিল্মমেকার, সং রাইটার, নাট্যকার - তাঁদের প্রত্যেকের আর্ট অফ এক্সপ্রেশন থাকে। কারোর সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বিশেষ করে পুলিশের কোনও অধিকারই নেই বাধা দেওয়ার বা হস্তক্ষেপ করার। তাদের এটা ভাবার কোনও কারণ নেই, যে শিল্পকর্মে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে তাদের নৈতিক ক্ষমতা আছে। বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার আছে এদেশের মানুষের। এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোনও রাজ্য সরকারের নেই। এছাড়াও বিচারপতি বলেন, উপরন্তু রাজ্য কাজ এটাই, যে তারা রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। শিল্পীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। এই নির্দিষ্ট কেসে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এটাই, যে রাজ্যের পুলিশ তাদের ক্ষমতার বাইরে এসে, আইনের বাইরে এসে, সাংবিধানিক নিয়মের বাইরে এসে, একটি ছবিকে অনৈতিকভাবে ব্যান করার চেষ্টা করেছে। বিচারপতি আরও বলেন এই ঘটনাটিতে সংবিধানিক অধিকারকে লংঘন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবং এটি অত্যন্ত সাংঘাতিক ঘটনা। এর কারণ মানুষ অসহিষ্ণু উঠেছে। তাদের যেটা পছন্দ হচ্ছে না সেটা তারা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এর কারণে মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিচারপতি যা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে ইন্দিরা আরও বলেন, "ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শনী ব্যান করার কারণে শিল্পীর বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছবির প্রযোজকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারকে কুড়ি লাখ টাকা দিতে হবে আইড বিলি ক্রিয়েশনস প্রাইভেট লিমিটেডকে। এছাড়াও আইনি যুদ্ধ লড়তে গিয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেজন্য তাঁদের 1 লাক টাকাও দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে, এই ছবি প্রদর্শনীতে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না করা হয়। প্রয়োজনে যেন নিরাপত্তাও দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।"

Intro:আইডিবিলি ক্রিয়েটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাজ্য সরকারের আইনি সংঘর্ষের রায় বেরোল কিছুক্ষণ আগে। ভারতের শীর্ষ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ভবিষ্যতের ভূত ছবিটির দীর্ঘদিন প্রদর্শনী বন্ধ করার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে কুড়ি লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে।


Body:সুপ্রিম কোর্টের সদ্য পাওয়া রায় অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে জরিমানা হিসেবে কুড়ি লক্ষ টাকা দিতে হবে ছবির প্রযোজক অর্থাৎ আইডিবিলি ক্রিয়েটিভ প্রাইভেট লিমিটেডের বিলি চ্যাটার্জী এবং ইন্দিরা উন্নিনায়ারকে। প্রযোজক হওয়ার পাশাপাশি ইন্দিরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। রায় চলাকালীন তিনি উপস্থিত ছিলেন কোর্টেই। কোর্ট থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন ETV Bharat'এর প্রতিনিধির সঙ্গে। ইন্দিরার কণ্ঠে তখন খুশির আমেজ। দীর্ঘদিনের আইনি যুদ্ধ লড়ার পর শীর্ষ আদালত থেকে এরকম একটা রায় পেয়ে ইন্দিরা বললেন, " অসম্ভব ভালো লাগছে। এটা সত্যিই আমাদের জয়। এতদিনের দীর্ঘ লড়াই। হাল ছেড়ে দিইনি। আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অন্যায় তো করিন। আজ শীর্ষ আদালত থেকে যে রায় বেরিয়েছে, তাতে দু'তিনটে জিনিস উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে খুবই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন শিল্পীর শিল্পকর্ম সে যে শিল্পীই হোন, পেইন্টার, কার্টুনিস্ট, ফিল্মমেকার, সং রাইটার, নাট্যকার - তাঁদের প্রত্যেকের আর্ট অফ এক্সপ্রেশন থাকে। কারোর সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বিশেষ করে পুলিশের কোনও অধিকারই নেই বাধা দেওয়ার বা হস্তক্ষেপ করার। তাদের এটা ভাবার কোনও কারণ নেই, যে শিল্পকর্মে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে তাদের নৈতিক ক্ষমতা আছে। বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার আছে এদেশের মানুষের। এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোনও রাজ্য সরকারের নেই। এছাড়াও বিচারপতি বলেন, উপরন্তু রাজ্যের কাজ এটাই, যে তারা রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। শিল্পীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। এই নির্দিষ্ট ক্ষমতার বাইরে এসে, আইনের বাইরে এসে, সাংবিধানিক নিয়মের বাইরে এসে, একটি ছবিকে অনৈতিকভাবে ব্যান করার চেষ্টা করেছে। বিচারপতি আরও বলেন, এই ঘটনাটিতে সাংবিধানিক অধিকারকে লংঘন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবং এটি অত্যন্ত সাংঘাতিক ঘটনা। এর কারণ মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। তাদের যেটা পছন্দ হচ্ছে না, সেটা তারা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এর কারণে মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।" বিচারপতি যা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে ইন্দিরা আরও বলেন, "ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শনী ব্যান করার কারণে শিল্পীর বাক-স্বাধীনতা এবং নৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছবির প্রযোজকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে। তাদের কুড়ি লাখ টাকা দিতে হবে আইডবিলি ক্রিয়েশনস প্রাইভেট লিমিটেডকে। এছাড়াও আইনী যুদ্ধ লড়তে গিয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেজন্য তাঁদের 1 লাক টাকাও দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে, এই ছবি প্রদর্শনীতে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না করা হয়। প্রয়োজনে যেন নিরাপত্তাও দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।"


Conclusion:ETV Bharat'এর সঙ্গে কথা বলেন ছবির পরিচালক অনীক দত্ত। তিনি বলেন, "খুবই ভালো খবর। অন্যায় তো করিনি। তাই সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। আমার প্রডিউসার বন্ধুদের এর দরুন অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানসিক ক্ষতি, শারীরিক শ্রম অনেককিছু ব্যয় করতে হয়েছে। শেষমেশ আশার আলো দেখলাম। তবে এই যে 20 লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রোডিউসারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দিতে বলেছে, সেটা যেন রাজ্য সরকার নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেয়। কারণ, বাকি সবটাই তো রাজ্যবাসীর ট্যাক্সের টাকা। সুতরাং, নিজেদের পার্সোনাল পকেট থেকে দেওয়াই ভালো। এটুকুই বলতে চাই।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.