ETV Bharat / sitara

"ঋষির মৃত্যুর খবর শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম"

author img

By

Published : May 1, 2020, 3:14 PM IST

প্রিয় বন্ধু ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকাহত রাকেশ রোশন ।

sdf
sdf

মুম্বই : তাঁদের বন্ধুত্ব 45 বছরের । লকডাউনের আগে পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেন তাঁরা । কিন্তু, হঠাৎই ছেদ পড়ল তাঁদের সেই বন্ধুত্বে । একজনকে ফাঁকি দিয়ে অন্যজন পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে । আর তাই প্রিয় বন্ধু ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকাহত রাকেশ রোশন ।

একাধিক বিষয় ঋষি কাপুরের সঙ্গে মিল ছিল রাকেশ রোশনের । তাঁরা দু'জনেই অসম্ভব খেতে ভালোবাসতেন । এমনকী, সুরা পান করতেও পছন্দ করতেন । তাই বন্ধুত্বটাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় । 1975-তে 'খেল খেল মে' সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই বন্ধুত্বটা আরও গাঢ় হতে শুরু করে । তারপর একসঙ্গে একধাকি ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তাঁরা । তার মধ্যে 'ঝুটা কাহি কা', 'আপ কেদিওয়ানে' অন্যতম । তবে কোনও দিন শুটিংয়ের আগে নিজের শট ঝালিয়ে নিতেন না ঋষি । এ প্রসঙ্গে রাকেশ বলেন, "শুটিংয়ের আগে কখনও নিজের শট একবারও ঝালিয়ে নিত না চিন্টু । ক্যামেরা রোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ও জীবন্ত হয়ে উঠত । খুব স্বাভাবিকভাবেই চরিত্রকে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলত । একবার আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কোনও টেক না নিয়ে তুমি কীভাবে অভিনয় করে যাও ? উত্তরে বলেছিল, 'এভাবেই বন্ধু, ক্যামেরার সামনে আমি শুধু মজা করি'।"

ঋষি কাপুরকে বাদ দিয়ে কোনও কিছুই ভাবতে পারতেন না রাকেশ । তাই জীবনে যখন প্রথমবার পরিচালনার কথা চিন্তা করলেন সেখানেও ক্যামিও চরিত্রের জন্য ঋষিকে বলেছিলেন তিনি । 1987-এ মুক্তি পাওয়া 'খুদগার্জ়' ছবির মাধ্যমেই পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় রাকেশের । আর সেখানে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঋষিকে ।

সবথেকে বড় বিষয় হল একই বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত হন দু'জনেই । 2018-র অগাস্টে ক্যানসার ধরা পড়ে ঋষির । আর ডিসেম্বরে রাকেশের । দীর্ঘদিন ধরে হাসিমুখে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁরা । এরপর সুস্থ হয়ে ওঠেন দু'জনেই । লকডাউনের আগে মার্চ মাসে শেষবার ঋষির সঙ্গে দেখা করেন রাকেশ । সেখানে তাঁদের কথায় বার বার ফিরে ফিরে এসেছে পুরোনো দিনগুলি ।

এরপর রাকেশ বলেন, "চিন্টুর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার খবর পেয়েছিলাম । নীতুর সঙ্গেও কথা হয়েছিল । তার দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছিলাম । এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এক বন্ধু ফোন করে ঋষির খোঁজ করে । তখন আমি রণধীরকে ফোন করি । কিন্তু, ওর ফোন পাইনি । তখন চিন্তায় প্রায় আমার হার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা । তারপরই রণবীরকে ফোন করি । সেই আমাকে খবরটা দেয় । এই কথা শোনার পর আমি কেঁদে ফেলেছিলাম । তখন রণবীরই আমাকে সান্ত্বনা দেয় ।"

মুম্বই : তাঁদের বন্ধুত্ব 45 বছরের । লকডাউনের আগে পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেন তাঁরা । কিন্তু, হঠাৎই ছেদ পড়ল তাঁদের সেই বন্ধুত্বে । একজনকে ফাঁকি দিয়ে অন্যজন পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে । আর তাই প্রিয় বন্ধু ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকাহত রাকেশ রোশন ।

একাধিক বিষয় ঋষি কাপুরের সঙ্গে মিল ছিল রাকেশ রোশনের । তাঁরা দু'জনেই অসম্ভব খেতে ভালোবাসতেন । এমনকী, সুরা পান করতেও পছন্দ করতেন । তাই বন্ধুত্বটাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় । 1975-তে 'খেল খেল মে' সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই বন্ধুত্বটা আরও গাঢ় হতে শুরু করে । তারপর একসঙ্গে একধাকি ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তাঁরা । তার মধ্যে 'ঝুটা কাহি কা', 'আপ কেদিওয়ানে' অন্যতম । তবে কোনও দিন শুটিংয়ের আগে নিজের শট ঝালিয়ে নিতেন না ঋষি । এ প্রসঙ্গে রাকেশ বলেন, "শুটিংয়ের আগে কখনও নিজের শট একবারও ঝালিয়ে নিত না চিন্টু । ক্যামেরা রোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ও জীবন্ত হয়ে উঠত । খুব স্বাভাবিকভাবেই চরিত্রকে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলত । একবার আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কোনও টেক না নিয়ে তুমি কীভাবে অভিনয় করে যাও ? উত্তরে বলেছিল, 'এভাবেই বন্ধু, ক্যামেরার সামনে আমি শুধু মজা করি'।"

ঋষি কাপুরকে বাদ দিয়ে কোনও কিছুই ভাবতে পারতেন না রাকেশ । তাই জীবনে যখন প্রথমবার পরিচালনার কথা চিন্তা করলেন সেখানেও ক্যামিও চরিত্রের জন্য ঋষিকে বলেছিলেন তিনি । 1987-এ মুক্তি পাওয়া 'খুদগার্জ়' ছবির মাধ্যমেই পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় রাকেশের । আর সেখানে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঋষিকে ।

সবথেকে বড় বিষয় হল একই বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত হন দু'জনেই । 2018-র অগাস্টে ক্যানসার ধরা পড়ে ঋষির । আর ডিসেম্বরে রাকেশের । দীর্ঘদিন ধরে হাসিমুখে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁরা । এরপর সুস্থ হয়ে ওঠেন দু'জনেই । লকডাউনের আগে মার্চ মাসে শেষবার ঋষির সঙ্গে দেখা করেন রাকেশ । সেখানে তাঁদের কথায় বার বার ফিরে ফিরে এসেছে পুরোনো দিনগুলি ।

এরপর রাকেশ বলেন, "চিন্টুর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার খবর পেয়েছিলাম । নীতুর সঙ্গেও কথা হয়েছিল । তার দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছিলাম । এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এক বন্ধু ফোন করে ঋষির খোঁজ করে । তখন আমি রণধীরকে ফোন করি । কিন্তু, ওর ফোন পাইনি । তখন চিন্তায় প্রায় আমার হার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা । তারপরই রণবীরকে ফোন করি । সেই আমাকে খবরটা দেয় । এই কথা শোনার পর আমি কেঁদে ফেলেছিলাম । তখন রণবীরই আমাকে সান্ত্বনা দেয় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.