মুম্বই : তাঁর 'শত্রুরা' সুযোগ পেলেই নিজেদের 'এক্সপোজ়' করে । তাঁদের জন্য নিজের "মুখ খারাপ" করার কোনও প্রয়োজন নেই । গতকাল মুম্বইতে 'জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া'-র ট্রেলার মুক্তির সময় একথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ।
তিনি বলেন, "আমার শত্রুরা নিজেরাই নিজেদের এক্সপোজ় করে । আমি তো শুধু সাধারণ জ্ঞানের কথা বলি ।"
2016-তে কঙ্গনা ও হৃতিক একে অপরকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন । কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, হৃতিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এবং তিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন হৃতিক । তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুধু কাজের সম্পর্ক ছিল । বলিউড "কুইন"-কে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন হৃতিক ।
কঙ্গনা বলেন, "আমার জীবনে এমন একটা সময় গেছে, যখন সকলে আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলত । তারা বলত আমি চিকিৎসার মধ্যে আছি । আমি কোনওরকম চিকিৎসার মধ্যে ছিলাম না । যদি থাকতাম তাহলেও আমি বিব্রত হতাম না ।"
"কণিকা ধিলনের কাছে চরিত্রটির বর্ণনা শোনার পর আমার মনে হয় এটা আমার গল্প । যদি সেসময়টা আমার জীবনে না আসত, আর আমি এই গল্পটা শুনতাম তাহলে হয়তো আমি এই বিষয়টা নিয়ে বিবেচনা করতাম না । আমাকে যদি দর্শক ঝাঁসির রানি বা মেন্টাল বা তনু বা দত্তো মনে করে, আমি এসবকে প্রশংসা বা অপমান কোনওভাবেই নিই না ।" বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করতে বাড়ি ছেড়েছিলেন কঙ্গনা । তিনি জানান, সেসময় তাঁর সঙ্গে বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই ছিল না ।
তিনি বলেন, "মানুষের উপর বিশ্বাস রাখার ক্ষমতা স্বাস্থ্যকর । যদি আপনি মানুষকে বিশ্বাস না করেন, জীবনের প্রতি বিশ্বাস না রাখেন তাহলে আপনি শেষ হয়ে যাবেন । আমি এই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি ।"
প্রথমে ছবিটির নাম ছিল 'মেন্টাল হ্য়ায় কেয়া' । কিন্তু এধরনের নাম মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের প্রতি অসংবেদনশীল বলে দাবি ওঠে । ইন্ডিয়ান সাইকিয়্যাট্রিক সোসাইটির সদস্যরা ছবির নাম পরিবর্তনের জন্য চিঠি পাঠান সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনে । অভিযোগের ভিত্তিতে পরে ছবির নাম পালটে 'জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া' রাখা হয় । দেশজুড়ে 26 জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি ।