মুম্বই : বলিউডের সবথেকে ভয়ঙ্কর ভিলেন অমজদ খানের আজ মৃত্যুবার্ষিকী । 1992 সালে মাত্র 51 বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি । আসুন আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে দেখা নেওয়া যাক তাঁর জীবনের এক ঝলক ।
1940 সালের 12 নভেম্বর পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অমজদ । তিনি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন 'শোলে'-র গব্বর হিসেবে । তবে জানলে অবাক হতে হয় তিনি প্রথম পছন্দ ছিলেন না পরিচালকের । সবার প্রথম অভিনেতা ডেনিকে এই চরিত্রটি অফার করা হয় । কিন্তু সে সময় ডেনি আফগানিস্তানে ফিরোজ খানের ছবি 'ধর্মাত্মা'-তে অভিনয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি এই চরিত্রটিকে না করে দেন । তারপর চরিত্রটি অফার করা হয় অমজদ খানকে । গব্বর চরিত্রটির জন্য অমজদের গলার আওয়াজ পছন্দ হয়ে যায় জাভেদ আখতারের ।
তবে গব্বর হিসেবে বেশি পরিচিতি পেলেও অনেক ছোটো বয়স থেকে অভিনয় করছেন অমজদ । শিশু শিল্পী হিসেবে 1951-এ 'নাজনীন' এবং 17 বছর বয়সে 'অব দিল্লি দূর নেহি'-তে অভিনয় করেছিলেন । বলিউডের সবার প্রিয় ভিলেন আজ বেঁচে থাকলে 77 বছর বয়স হত তাঁর । 'শোলে'-তে গব্বরের চরিত্র তাঁকে সারা দুনিয়ায় জনপ্রিয় করে তোলে । 1973 সালে 'হিন্দুস্তান কি কসম'-এ অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পথ চলা শুরু করলেও তিনি জনপ্রিয়তা পান 1975-এ 'শোলে'-তে অভিনয়ের পর ।
গব্বর চরিত্রটি তিনি এতটাই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যে, বাস্তবেও অনেকে তাঁকে ডাকাত ভাবতেন এবং ভয় পেতেন । তবে 'শোলে' ছাড়াও 'কসম খুন কী', 'পরবরিশ', 'হুঙ্কার', 'কসমে বাদে', 'কালিয়া নসীব', 'ইয়ারানা', 'সত্যে পে সত্যা' ও সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় 'সতরঞ্জ কে খিলাড়ী'-তেও অভিনয় করেছেন ।
অমজদ খান একবার নয়, দু'টি ছবিতে গব্বরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন । 'শোলে'-র পর 'রামগড় কি শোলে' নামে একটি ছবিতেও তিনি গব্বরের চরিত্রটি করেছিলেন । এরপর তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে যান যে, ব্রিটানিয়া গ্লুকোজ বিস্কুটের বিঞ্জাপনেও তিনি গব্বর হিসেবে নজরে এসেছিলেন ।
শোনা যায়, সত্যজিৎ রায়ের অমজদকে এতটাই পছন্দ ছিল যে তিনি বলেছিলেন, "অমজদ না থাকলে শতরঞ্জ কি খিলাড়ীতে বাজিদ আলি খানের চরিত্রটিও থাকত না ।"
শুধু হিন্দি নয়, ইংরেজি, তেলুগু, কন্নড় ও মলয়ালম ছবিতেও অভিনয় করেছেন গব্বর ।