মুম্বই : 17 জুন মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন সরোজ খান । ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন । কিন্তু শেষরক্ষা হল না । হার্ট অ্যাটাক হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই কিংবদন্তি কোরিওগ্রাফার ।
বেশ কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ভুগছিলেন 71 বছরের সরোজ খান । তাই 17 জুন তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । কোরোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর । কিন্তু, সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ।
এরপর খবর আসে যে, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন কোরিওগ্রাফার । এতগুলো বছর ধরে তিনি যে সমস্ত অভিনেত্রীদের নাচের ট্রেনিং দিয়েছেন, তাঁরাও সবাই সোশাল মিডিয়ায় 'মাস্টারজী'-র আরোগ্য কামনা করতে থাকেন । মনে হতে থাকে যে, ফাঁড়াটা কাটল বোধহয় ।
কিন্তু, সবাইকে চমকে দিয়ে 3 জুলাই রাত 1.52 মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সরোজ খান । এমনিতেই ডায়বেটিস ও আরও আনুসাঙ্গিক সমস্যা ছিল, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল শ্বাসকষ্ট । ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন কোরিওগ্রাফার ।
বলিউডের কোরিয়োগ্রাফার হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেন সরোজ খান । 1983 সালে জ্যাকি শ্রফ ও মীণাক্ষি শেষাদ্রির 'হিরো' ছবি দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন সরোজ ।
এরপর 'মিস্টার ইন্ডিয়া', 'চাঁদনি', 'বেটা', 'তেজাব', 'নাগিনা', 'ডর', 'বাজ়িগর', 'আঞ্জাম', 'মোহরা', 'দেবদাস', 'লগান', 'সোলজার', 'তাল', 'সাথিয়া', 'স্বদেশ', 'এবিসিডি' সহ একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি ।
মাধুরী দীক্ষিতের 'মাস্টারজী' হিসেবে পরিচিত সরোজ খান । কাজ করেছেন হালফিলের কঙ্গনা রানওয়াতের 'মণিকর্নিকা' বা করণ জোহরের 'কলঙ্ক' ছবিতেও ।
সরোজ খানের আত্মার শান্তি কামনা করে ETV ভারত সিতারা ।