2010 সালে তেলুগু ছবি 'ঝুমান্ডি নদম'-এর মাধ্য়মে অভিনয়ে হাতেখড়ি তাপসীর । আর 2016 সালে বলিউডে অভিষেক । প্রথম ছবিটাই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি । সেখানে ব্যাপক প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয় ।
স্টারডমের হাতছানি থেকে অনেকটা দূরে থাকেন তাপসী । নিজের ছবির প্রিমিয়ার বা প্রোমোশনের বাইরে তাঁকে কোনও পার্টি বা গেট-টুগেদারে দেখা যায় না সেভাবে । তাপসীর এই অভ্যেসটা বেশ পছন্দ করেন সুজিত সরকার বা অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকরা ।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও পিছ পা হন না এই অভিনেত্রী । ক্যারিয়ারের শুরুর দিক থেকেই তিনি প্রতিবাদী । এমনকী, তাঁর সেই প্রতিবাদী সত্ত্বা যেন বার বার ফিরে ফিরে আসে তাঁর অনস্ক্রিন চরিত্রগুলিতেই । আর সেই কারণেই, কখনও মিণাল অরোরা ('পিঙ্ক' ছবিতে তাপসীর চরিত্রর নাম) আবার কখনও অমৃতা সান্ধু ('থাপ্পড়' ছবিতে তাপসীর চরিত্রর নাম) হিসেবে স্ক্রিনে ফিরে এসেছেন তিনি । করেছেন প্রতিবাদও । তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাউকে কাটাছেঁড়া করার সুযোগও দেন না তাপসী । যাই হোক না কেন সেই দিক থেকে তাঁকে পরিষ্কার ভাবমূর্তির অধিকারী বলাই চলে ।
এইটুকু বয়সে একজন 80 বছরের বৃদ্ধা সাজতে একটুও ঘাবড়ে যাননি তাপসী । 'ষাণ্ড কি আঁখ' ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ওই অবতারেই । এই রিস্ক নেওয়ার অভ্যেস তাঁকে প্রশংসিত করেছে সিনেপ্রেমীদের কাছে । সেখানে মহিলা শুটারের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি ।
'মিশন মঙ্গল' ছবিতে একটি ছোটো চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাপসীকে । সেখানেও অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি । তবে ছোটো রোল করে তাপসী কখনই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না । বরং অভিনেত্রী হিসেবে রোলের গুরুত্বটাই আসল তাঁর কাছে ।
অন্যদিকে, 'থাপ্পড়' ছবিতে একজন সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি । একটা চড় যার জীবনটাই বদলে দিয়েছিল । হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবাদী । বক্স অফিসেও ভালোই সাফল্য পায় এই ছবি । এছাড়াও 'হাসিন দিলরুবা', 'রেশমি রকেট' ও 'শাবাস মিঠু'-র মতো একাধিক ছবি রয়েছে তাঁর হাতে ।
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র থেকে একজন সফল অভিনেত্রী...তাপসীর এই জার্নিকে কুর্নিশ । এভাবেই এগিয়ে যান তিনি । জন্মদিনে ETV ভারত সিতারার তরফে তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা ।