মুম্বই : ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিষয়বস্তু নির্বাচনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন আয়ুষ্মান। তাঁর প্রতিটা ছবিতেই তিনি ভাঙতে চেয়েছেন সামাজিক মিথ। কোনও ভারী সংলাপ ছাড়াই হাসির ছলে আয়ুষ্মান বলেছেন অনেক কিছু। আর সেখানেই তাঁর অভিনবত্ব। তাঁকে কোনও অংশে স্টার বলে মনে হবে না, বরং পাশের বাড়ির ছেলেটাই মনে হবে। কিন্তু, তারকা হওয়ার সামাজিক দায়িত্বটা পালন করেন তিনি। আয়ুষ্মানের ঝুলিতে আজ তাই এমন অনেক ছবি রয়েছে, যেগুলোতে অভিনয় করার আগে দু'বার ভাববেন অন্যান্য অভিনেতারা।
2012 সালে সুজিত সরকারের 'ভিকি ডোনার' ছবি দিয়ে বলিউডে পা তাঁর। তারপরই তিনি টক অফ দ্য টাউন হয়ে ওঠেন। ছবিটি তিনটি জাতীয় পুরস্কার পায়।
কিন্তু, তার মানে এই নয় যে আয়ুষ্মান ব্যর্থতার মুখোমুখি হননি। 'নটঙ্কি সালা','বেওকুফিয়াঁ' বা 'হাওয়াইজ়াদা'-র মতো ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। তবে থেমে যাননি আয়ুষ্মান।
2015 সালে 'দুম লাগা কে হাইস' ছবি দিয়ে আবার ফিরে আসেন তিনি। বক্স অফিসে স্লিপার হিট এই ছবি আবার জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় আয়ুষ্মানের ঝুলিতে।
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি আয়ুষ্মানকে। 'বরেলি কি বরফি', 'অন্ধাধুন', 'বধাই হো'-র মতো ছবি আয়ুষ্মানকে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন করে তোলে। শুধু তাই নয়, 'অন্ধাধুন' তাঁকে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও এনে দেয়।
সম্প্রতি আয়ুষ্মানকে 'আর্টিকল 15'-এ দেখা গেছে একেবারে অন্য ধরনের চরিত্রে। একেবারে সিরিয়াস কপের চরিত্রে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন তিনি। আর গতকাল মুক্তিপ্রাপ্ত 'ড্রিমগার্ল'-এ তো তিনি এক মহিলা বেশে অভিনয় করছেন। সত্যি...আয়ুষ্মানই পারেন বটে!
এভাবেই এগিয়ে যান তিনি। আরও নতুন নতুন চরিত্রে তাক লাগিয়ে দিন আমাদের...শুভ জন্মদিন আয়ুষ্মান।