কলকাতা, 26 নভেম্বর: দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে স্ট্রোক, এনসেফ্যালাইটিসের কারণে যেমন প্যারালিসিস হতে পারে। তেমনই, পুষ্টির অভাবেও হতে পারে প্যারালিসিস। শরীরের কোনও অঙ্গ অথবা গোটা শরীর যেমন প্যারালিসিসে আক্রান্ত হতে পারে। তেমনই, আচমকা অথবা ধীরে ধীরেও হানা দিতে পারে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অসাড় করে দেওয়ার এই অসুখ।
বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অসাড় হয়ে যাওয়াকে বলা হয় প্যারালিসিস। সাধারণত প্যারালিসিস আমরা বলি যদি দুটো পা অসাড় হয়ে যায় । দুই হাত, দুই পা অসাড় হয়ে গেলে আমরা বলি কোয়াড্রিপ্লেজিয়া।" বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "প্যারালিসিস মানে কোনও একটি অঙ্গের চলাচল ব্যাহত হওয়া। এই প্যারালিসিসের অর্থ হচ্ছে মাংশপেশির কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া।"
বিভিন্ন কারণে প্যারালিসিস হতে পারে। প্যারালিসিস গোটা শরীরে হতে পারে। অথবা, একটি বিশেষ অঙ্গে হতে পারে। এ কথা জানিয়ে অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "যেমন, শুধুমাত্র চোখের প্যারালিসিস হতে পারে। যেটা ডায়াবেটিসে আমরা দেখে থাকি। বা হয়ত মুখের একটা সাইড প্যারালিসিস হয়ে যায়। এতে মুখ বেঁকে যায়। যেটা আমরা জিবি সিনড্রোম, ফেসিয়াল পালসিতে পায়। এ ছাড়াও প্যারালিসিস সারা শরীরে হতে পারে। সারা শরীরে প্যারালিসিস আমরা সাধারণত দেখি যখন কারও স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক হলে শরীরের অর্ধেক অংশ অচল হয়ে যায়। শরীরের যে কোনও একটা দিকে হতে পারে। আবার চার হাত-পা একসঙ্গেও হতে পারে। যার সঙ্গে রোগী হয়ত সাময়িকভাবে অজ্ঞান হয়ে যায়।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ইনফেকশনের কারণেও কেউ প্যারালিসিস হয়ে পড়তে পারেন। ভিটামিন বি টুয়েলভ-এর অভাবের কারণেও হতে পারে প্যারালিসিস। অগাস্ট থেকে এই নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্বরের পরে গুলেনবরি সিনড্রোম বলা হয়, পরিরেটিকিউলো নিউরোপ্যাথি, এই সমস্যায়ও হাত-পা প্যারালিসিস হয়ে পড়ে। প্রথমে হয়ত দুটো পা প্যারালিসিস হয়ে গেল। এরপর ধীরে দুটো হাত । প্যারালিসিস হয়ে গেল।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "যদি কোনও নার্ভের লিশন হয়ে থাকে, সেখানও প্যারালিসিস হতে পারে। নিউরোমাস্কুলার জাংশনেও আচমকা প্যারালিসিস দেখা দিতে পারে।"
ধীরে ধীরে কারও প্যারালিসিস হতে পারে। আবার, আচমকাও হতে পারে। অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আচমকা প্যারালিসিস হয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের একটিকে বলা হয় লোয়ার মোটর টাইপ অফ লিসন। লোয়ার মোটর টাইপ অফ লিসন, যখন স্পাইনাল কর্ড থেকে যে নার্ভ বেরিয়ে আমাদের মাসল পর্যন্ত আসছে, তার প্রতিটি স্টেজে একটি রুট থাকে, একটি প্লেক্সাস থাকে, একটি নার্ভ থাকে। এরপরে মাসলে গিয়ে নার্ভ আর মাসলের জাংশন, যেটাকে নিউরোমাস্কুলার জাংশন বলে, এই পর্যন্ত যেতে গিয়ে কোনও স্থানে যদি কোনও লিসন হয়, তখন লোয়ার মোটর টাইপ অফ লিসন প্যারালিসিস হয় । আর, আপার মোটর টাইপ হলে স্পাইনাল কর্ড থেকে উপরের দিকে ব্রেনের মধ্যে গেলেও সেখানে প্যারালিসিস হতে পারে।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আচমকা প্যারালিসিস যে কারণে হয়, আমরা যদি স্পাইনাল কর্ড বা ব্রেন থেকে ধরি, দু'দিকের ব্রেনের মাঝখানে ভেনাস সাইনাস আছে। ভেনাস সাইনাস ব্লক হয়ে গেলে দুটো পা অসাড় হয়ে যায়। তবে, দুই হাত সক্ষম থাকে, ভালো থাকে। ওই খানে যদি কোনও টিউমার হয়ে থাকে, তাহলে প্যারালিসিস হয়ে যায়। সাধারণত একটি দিকে শুরু হয়। হঠাৎ করে হয় না। কিন্তু, সেই টিউমারের মধ্যে যদি রক্ত বের হয়, তা হলে হঠাৎ করে দুটো পা অসাড় হয়ে যায়। এই ধরনের প্যারালিসিস ব্রেন থেকে হতে পারে।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে যদি স্পাইনাল কর্ডের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও দুটো পা অসাড় হয়ে যায়। এই সমস্যা হঠাৎ হয়। রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্টের কারণে হঠাৎ করে প্যারালিসিস হয়ে পড়তে পারেন কেউ। স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে টিউমার হলেও প্যারালিসিস হয়ে যেতে পারে।"
অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "ব্রেনের মধ্যে যে স্নায়ুতন্ত্র আছে, সেখানে রক্ত চলাচলে যদি কোনওরকম ত্রুটি হয়, তখন তাকে আমরা স্ট্রোক বলি। এটা সাধারণত হঠাৎ করেই হয়। আবার কখনও কখনও ২-৩-৪ দিন ধরে ধীরে ধীরে হতে পারে। শিরা ও ধমনীর গঠনগত কোনও সমস্যা অথবা, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা, ধমনীর কোনও রোগের কারণে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক হলে কখনও কখনও ধমনীর মধ্যে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ আটকে যায়। হঠাৎ করে একটি অংশ বা শরীরের অর্ধেক অচল হয়ে যেতে পারে। আবার এখানে রক্ত চলাচল হঠাৎ করে বন্ধ না হয়ে ধীরে ধীরে হতে পারে। এর পরে কয়েকদিন ধরে রোগীর অসাড় ভাব আসতে পারে। যখন ব্রেনের দুটি অংশে রোগের আক্রমণ হয়, যেমন, এনসেফ্যালাইটিস, এনসেফ্যালোপ্যাথি।" অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "এই সব রোগে রোগীর জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া এবং চার হাত-পা একসঙ্গে অসাড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা সিরিয়াস রোগ এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা জানি থ্রম্বোলিসিস নামে এক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। তিন ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে নিয়ে আসতে পারলে, ওষুধ দিয়ে জমাট বাঁধা রক্তকে গলিয়ে দিয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে পারি। আর যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মাধ্যমে রোগীর ব্রেনের যে অংশ আধা জীবিত, আধা মৃত অবস্থায় রয়েছে, সেই অংশটিকে ধীরে ধীরে সচল করে তোলা হয়, যাতে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়।"
অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "এ ছাড়াও ধীরে ধীরে মানুষের অঙ্গ অচল হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে বিশেষ করে আমি বলব, লেড পয়জ়নিং। খাবারের জলে আর্সেনিক বা অটোমোবাইলের যে ধোঁয়াটা বের হয়, যার মধ্যে আগেকার দিনে লেড থাকত। এই লেডের কারণে ধীরে ধীরে হাতের কব্জি অচল হয়ে যেতে পারে। হাতের আঙুলগুলি ঝিন ঝিন করতে পারে। পা-টাও অচল হয়ে যেতে পারে। এগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে মাসের পর মাস ধরে ডেভেলপ করে। খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব থেকেও এই ধরনের প্যারালিসিস হতে পারে। যার মধ্যে সবার প্রথমে আমি বলব ভিটামিন বি টুয়েলভ। এই ভিটামিনের অভাবে মানুষের শরীরের অঙ্গ ধীরে ধীরে অচল হয়ে যেতে পারে।" তিনি বলেন, "তাছাড়া পুষ্টির অভাবে যেমন, পটাশিয়াম। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়ামের অভাবে হঠাৎ করে মানুষের চারটি হাত-পা অচল হয়ে যেতে পারে। আর একটি বিষয় না বললেই নয়, তা হল জিবি সিনড্রোম। অর্থাৎ, হঠাৎ করে এবং খুব তাড়াতাড়ি মানুষের চারটি হাত-পা, মুখ সব অসাড় হয়ে যেতে পারে। ইনফেকশন বা ইনফেকশন জনিত শরীরের ইমিউনোলজিক্যাল সিস্টেমের গন্ডগোল থেকে এটা হয়।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ধীরে ধীরেও প্যারালিসিস হয়ে পড়তে পারেন কেউ। কোনও টিউমার বা ব্লাড প্রেশার থেকে হতে পারে।"
অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "এই সব রোগের ক্ষেত্রে সবার আগে যেটা দরকার, যেমন বললাম, হেভি মেটাল বা, ইনসেকটিসাইডে যে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য ভালোভাবে মুখোশ পড়ে নিতে হবে। যাঁরা গ্যারেজে কাজ করেন, তাঁদের মুখোশ পরতে হবে, যাতে শ্বাসের সঙ্গে শরীরে এগুলি প্রবেশ না করে। ভিটামিন বি টুয়েলভ, ভিটামিন ডি, এগুলির অভাব যাতে না হয়। থাইরয়েডের হরমোনে থাইরক্সিনের জন্য আয়োডিনের প্রয়োজন। আয়োডিনের অভাবেও শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে, অচল হয়ে যেতে পারে।" অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "নিউট্রিশনাল প্রপার ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ, খাদ্যে যে যে অভাব অথবা অধিক পরিমাণে হতে পারে, সেগুলি ঠিক করা দরকার। তবে প্যারালিসিসের সবচেয়ে বড় কারণ স্ট্রোক, এনসেফ্যালাইটিস। এটা অতি সিরিয়াস রোগ। এর জন্য রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা। রোগীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে আগে দরকার। সেখানে যদি নিউরোলজির কোনও সুবিধা না থাকে, নিউরোলজিকাল কোনও সেন্টারে রোগীকে নিয়ে যাওয়া দরকার।"
অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অ্যাকিউট প্যারালিসিসের ক্ষেত্রে প্রতিরোধের উপায় বলতে, রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট যাতে না হয়, তার জন্য সজাগ থাকতে হবে। লোয়ার মটোর টাইপ লিশন যদি হয়, সেক্ষেত্রে যখনই রোগীর দুর্বলতা থেকে যাবে, আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। কারণ, জ্বরের তিন সপ্তাহ পরে এই জিবি সিনড্রোম হয়। জ্বরের সঙ্গেও হয়। সমস্যা দেখা দিলে সঠিকভাবে রোগনির্ণয় এবং ওষুধ দেওয়া হলে, এই সমস্যায় ৯৫ শতাংশ আক্রান্তকে আমরা ভালো করে দিতে পারি।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ভেনাস সাইনাস যাতে না হয়, তার জন্য কারণগুলিকে আমাদের দেখতে হবে। যেমন, প্রচণ্ড ডায়ারিয়া ডিহাইড্রেশন হলে হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা নিয়মিত কন্ট্রাসেপটিভ ওরাল পিল খান, তাঁদের ক্ষেত্রে হতে পারে। যদি ব্রেন টিউমার থাকে, তা হলে শুরুতেই যদি সঠিক রোগনির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়, তা হলে অনেকাংশেই ভালো করে তোলা যায়।"
প্যারালিসিসে আক্রান্ত আবার কি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন? অধ্যাপক তেজেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, "এই যে প্যারালিসিসের কথা বললাম, এর মধ্যে যেমন ধরা যাক, শরীরে পটাশিয়ামের অভাব ঘটলে, তার চিকিৎসায় রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। ভিটামিন বি-এর অভাবে বেরিবেরি, থাইরয়েডের ঘটিত, এগুলিতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা ফিরে আসে। ১০০ ভাগ কর্মক্ষম না হলেও, স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের বড় অংশ মোটামুটি চলাফেরার উপযোগী হয়ে উঠতে পারেন। জিবি সিনড্রোম, এই রোগে যত তাড়াতাড়ি ওষুধ দেওয়া যায়, তত তাড়াতাড়ি রোগের বিষক্রিয়া নষ্ট করে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। যেমন, ফেসিয়াল পালসি। শুধু মুখ প্যারালিসিস হয়ে, মুখটা বেঁকে যাওয়া। এক্ষেত্রেও খুব অল্প সময়, ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। সঠিক চিকিৎসা দরকার। এক্ষেত্রে দেরি যত কম হবে, ততই ভালো।"
প্যারালিসিসের সঙ্গে প্রাণসংশয়ের কোনও যোগ? অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অবশ্যই প্রাণসংশয়ের যোগ রয়েছে। তবে, প্যারালিসিসের সঙ্গে প্রাণ সংশয়ের যোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরাসরি নয়। প্যারালিসিস যদি কোনও কারণে হয়, যদি ডিমাইলেন্স হয়, এর ফলে সঙ্গে সঙ্গে দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না রোগী বা বছর দুই পরে চোখে দেখতে পাচ্ছে না, ব্রেন টিউমার হল। ব্রেন টিউমার যদি খুব বেশি বেড়ে যায়, তাহলে রোগীর প্রাণসংশয় হতে পারে। জিবি সিনড্রোমে অটোনমিক ডিস্টার্ভেন্স হতে পারে। এর জন্য ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেট ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারে।" অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "দুই পা প্যারালাইসিস হয়ে গেল। অসাড় থাকার কারণেই পায়ের মধ্যে রক্তনালীতে রক্ত চলাচল করে না, থ্রমবোফ্লোবাইটিস হয়। এই থ্রমবোফ্লোবাইটিস থেকে, রক্ত জমে আছে সেখান থেকে যদি একটি টুকরো যদি শ্বাসনালী, হার্ট, ব্রেনে চলে যেতে পারে। এর জন্য রোগীর মৃত্যু হতে পারে। সংক্রমণের সঙ্গে প্যারালাইসিস হয়ে পড়লে সেপটিসেমিয়া হয়ে যেতে পারে। প্যারালিসিস হয়ে পড়ার কারণে ইউরিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ক্যাথেটার ব্যবহার করা হলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। চার হাত-পা প্যারালিসিস হয়ে যাওয়ার জন্য গলার হার যদি প্যারালিসিস হয়ে যায়, খাওয়ার সময় খাবারের টুকরো শ্বাসনালীতে ঢুকে গিয়ে সেপসিস হয়ে যেতে পারে। বেডে পড়ে থাকার জন্য রোগী যদি ঠিকমত এপাশ-ওপাশ না হতে পারেন, তাহলে বেডসোর হয়ে যেতে পারে। এর পরেও প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।"