ETV Bharat / jagte-raho

'ধর্ষিতার দেহ জোর করে অন্ত্যেষ্টি পুলিশের', ভোপালে হাথরসের ছায়া

author img

By

Published : Jan 22, 2021, 8:31 PM IST

ফের হাথরস কাণ্ডের ছায়া। এ বার মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ জোর করে অত্যধিক ঘুমের ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া ধর্ষিতা কিশোরীর অন্ত্যেষ্টি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মৃতার মা।

Bhopal rape victim forcefully cremated, says her mother
'ধর্ষিতার দেহ জোর করে অন্ত্যেষ্টি পুলিশের', ভোপালে হাথরস কাণ্ডের ছায়া

মধ্যপ্রদেশ, 22 জানুয়ারি: ফের হাথরস কাণ্ডের ছায়া। এ বার মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ জোর করে অত্যধিক ঘুমের ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া ধর্ষিতা কিশোরীর অন্ত্যেষ্টি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মৃতার মা।

17 বছরের নিগৃহীতার মৃত্যুর পর তার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন তার বাবা ও কাকা। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার মা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর মেয়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তারা নিজেরাই দেহ হামিদিয়া সরকারি হাসপাতাল থেকে সোজা নিয়ে যায় ভাদভাদা শ্মশানঘাটে। পরিবার প্রথা মেনে শেষকৃত্য করতে চাইলেও তাদের দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নিয়ে নিগৃহীতার দেহের অন্ত্যেষ্টি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামসনেহি মিশ্র এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন, মেয়েটির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। সেই কারণে তাঁর মৃত্যুর পরবর্তী ঘটনাগুলির উপর নজর রাখা পুলিশের দায়িত্ব ছিল। আইনশৃঙ্খলা যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না-যায়, সেই কারণেই পুলিশের তত্ত্বাবধানে মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর জুলাই মাসে 68 বছরের পেয়ারে মিঞাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাদের বারবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সংবাদপত্রের ওই মালিকের বিরুদ্ধে। সেই পাঁচ ধর্ষিতার মধ্যেই একজন ছিল মৃত কিশোরী, যে প্রচুর ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেয়। ধর্ষিতা পাঁচ কিশোরীকে সরকারি হোমে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দু জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত সোমবার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দুটি মেয়ের মধ্যে একজন বেশি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার কালেকটর। অভিযুক্ত জেলবন্দি রয়েছে।

আরও পড়ুন: মহিলাদের যৌন প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা থেকেই সামাজিক বিকৃতি ?

এই ঘটনায় চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। শিবরাজ সিং সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেছেন, ''কতবার হাথরসের মতো অমানবিক ঘটনা ঘটবে? মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে বিজেপির সরকার শুধু ব্যর্থই নয়, তারা নিগৃহীতাদের পরিবারের প্রতিও মানবিক আচরণ করতে জানে না।''

মধ্যপ্রদেশ, 22 জানুয়ারি: ফের হাথরস কাণ্ডের ছায়া। এ বার মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ জোর করে অত্যধিক ঘুমের ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া ধর্ষিতা কিশোরীর অন্ত্যেষ্টি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মৃতার মা।

17 বছরের নিগৃহীতার মৃত্যুর পর তার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন তার বাবা ও কাকা। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার মা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর মেয়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তারা নিজেরাই দেহ হামিদিয়া সরকারি হাসপাতাল থেকে সোজা নিয়ে যায় ভাদভাদা শ্মশানঘাটে। পরিবার প্রথা মেনে শেষকৃত্য করতে চাইলেও তাদের দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নিয়ে নিগৃহীতার দেহের অন্ত্যেষ্টি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামসনেহি মিশ্র এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন, মেয়েটির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। সেই কারণে তাঁর মৃত্যুর পরবর্তী ঘটনাগুলির উপর নজর রাখা পুলিশের দায়িত্ব ছিল। আইনশৃঙ্খলা যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না-যায়, সেই কারণেই পুলিশের তত্ত্বাবধানে মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর জুলাই মাসে 68 বছরের পেয়ারে মিঞাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাদের বারবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সংবাদপত্রের ওই মালিকের বিরুদ্ধে। সেই পাঁচ ধর্ষিতার মধ্যেই একজন ছিল মৃত কিশোরী, যে প্রচুর ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেয়। ধর্ষিতা পাঁচ কিশোরীকে সরকারি হোমে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দু জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত সোমবার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দুটি মেয়ের মধ্যে একজন বেশি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার কালেকটর। অভিযুক্ত জেলবন্দি রয়েছে।

আরও পড়ুন: মহিলাদের যৌন প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা থেকেই সামাজিক বিকৃতি ?

এই ঘটনায় চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। শিবরাজ সিং সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেছেন, ''কতবার হাথরসের মতো অমানবিক ঘটনা ঘটবে? মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে বিজেপির সরকার শুধু ব্যর্থই নয়, তারা নিগৃহীতাদের পরিবারের প্রতিও মানবিক আচরণ করতে জানে না।''

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.