জেনেভা (অস্ট্রিয়া), 5 মে: কোভিড-19 নিয়ে এবার ইতিবাচক খবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ শুক্রবার তারা জানিয়েছে, কোভিড-19 কে আর গ্লোবাল এমার্জেন্সি বা বিশ্বব্য়াপী জরুরি পরিস্থিতি বলে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা নেই ৷ তবে এই রোগ নিয়ে কোনোভাবেই অসতর্ক হওয়া যাবে না বলেও তারা মনে করিয়ে দিয়েছে ৷ সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের বেশ কিছু অংশে কোভিড-19 এর সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ এ দিন সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে ৷
2020 সালের শুরু থেকে ভাইরাস ঘটিত এই রোগ সারা বিশ্বে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ৷ প্রায় 7 মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছেন ৷ লকডাউনের জেরে বিশ্বের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এখনও প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ সারা বিশ্বে কোভিড-19 এর জেরে মারা যাচ্ছেন ৷ সেই কারণেই এই রোগকে অবহেলা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার মহানির্দেশক টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস ৷
প্রসঙ্গত, 2020 সালের 30 জানুয়ারি রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থা করোনা ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক সংকট হিসেবে ঘোষণা করে ৷ তার পরের তিন বছরে সারা বিশ্বের 764 মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন ৷ দ্রুত গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ৷ বিশ্বের 5 বিলিয়ন মানুষ সেই প্রতিষেধক নেন ৷ কিন্তু তার আগেই বিভিন্ন দেশে থাবা বসিয়ে বহু মানুষকে মেরে দেয় এই ভাইরাস ৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকায় তিন বছরে যত মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে, সেই সংখ্যা সারা বিশ্বে এই রোগে মৃতের তিন শতাংশ ৷ অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো দেশকে এই রোগের মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে মনে করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এই দুই দেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলে কোভিড-19 ৷ মৃত্যুর মিছিল কয়েকমাসে মারাত্মক আকার ধারণ করে ৷ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷
যদিও করোনা অতিমারীর সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল ৷ বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেন যে ওই সংস্থার ভুল পরামর্শের জন্য বহু মানুষকে ভুগতে হয়েছে ৷ যেমন - শুরুর দিকে সকলের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছিল ৷ পরে সেই অবস্থান থেকে তারা সরে আসে৷ ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে ৷